প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনশক্তি রফতানির সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার সউদীর প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা চরম হতাশায় অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। দেশটিতে প্রায় ২০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করছে। দেশটির সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে ইকামার মেয়াদ শেষ হলেই তিন মাসের বাড়তি মেয়াদ পাবে সউদী প্রবাসী অভিবাসী কর্মীরা। সউদী আরব থেকে একাধিক সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
সউদী সরকার জানিয়েছে, যাদের ইকামার মেয়াদ ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে ৩০ জুন ২০২০ এর মধ্যে শেষ হবে তাদের ইকামার মেয়াদ অটোমেটিক আরও তিনমাস বৃদ্ধি পাবে কোনো ফি ছাড়াই। এজন্য যাওয়াজাত অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। অন্যদিকে যাদের ইকামার মেয়াদ গত ১৮মার্চ থেকে আগামী ৩০ জুন এর মধ্যে শেষ হবে তাদের যদি কফিল ফাইনাল এক্সিট দিয়ে থাকে, তাহলে তা কফিল বাতিল করতে পারবে। কেননা তাদেরও ইকামার মেয়াদ তিন মাস অটোমেটিক বৃদ্ধি পাবে। এই জন্য যাওয়াজাত অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এদিকে, সউদী সরকারের কড়া নির্দেশে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট গত ২০ মার্চ থেকে আগামী ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্ত জেদ্দাস্থ কনস্যুলেটের শ্রম উইং এর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম অজ্ঞাত কারণে সউদী সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে শ্রম ঊইংয়ের কর্মকর্তাদের জোরপূর্বক দৈনিক অফিস করতে বাধ্য করছেন। এতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝে কর্মকর্তারা চরম ঝুঁকির মধ্যে অফিস করতে বাধ্য হচ্ছে।
এ নিয়ে কনসাল জেনারেল ফয়সাল আহমদকে বিষয়টি অবহিত করার পরেও কেন অফিস খোলা রাখা হচ্ছে তা কেউ কিছু বলতে পারছে না। এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার দূতালয় প্রধান কামরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন