সিদ্ধান্ত ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ও খালি পড়ে থাকা একটি আবাসিক হলকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহারের। কিন্তু এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরেই আসতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং প্রশাসনকে।
এ অবস্থায় এখন ভাবতে হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যদি বাড়তে শুরু করে চট্টগ্রামে ওদেরকে আলাদা রাখা এবং সংক্রমণ বিস্তাররোধের জন্য বড় পরিসরে আর কোথায় মিলবে হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার?
ক্যাম্পাস ও এলাকাবাসীর মাঝে প্রস্তাবিত সেই হোম থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বা ছাড়ানের ঝুঁকির প্রশ্ন এবং এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের রয়েছে জোর আপত্তি।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে চবি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে, এলাকারও সংশ্লিষ্ট অনেকেই এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত। তারা ঝুঁকির আশঙ্কার কথা বলছেন।
তিনি বলেন, দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সরকারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের ওই আবাসিক হল ব্যবহার করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য বলা হয়। মানবিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্মাণাধীন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
তবে অনেকেরই আপত্তি থাকায় ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি জানিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি।
চবি শিক্ষক সমিতিও ক্যাম্পাসে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার না করার দাবি তুলে এ নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কার কথা জানায়।
গত ২৪ মার্চ উত্তর চট্টগ্রামের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে চবির হলটি ব্যবহারের প্রস্তাব দেয় জেলা প্রশাসন। এতে সম্মতি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন