বগুড়ায় মরহুম পীর কেবলা সিরাজুল হক চিশতী ওরফে মস্তে হুজুর ( রহঃ ) এর দরবারে বার্ষিক ওরস চলাকালে পুলিশী অভিযানে মুরিদদের সাথে সংঘর্ষে ২ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
২৫ মার্চ রাতে সংঘটিত এই ঘটনার জেরে পুলিশ সাবেক পৌর কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম নয়ন ও নুরুল আামিন নুরু সহ ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা সবাই মরহুম পীর কেবলার মুরিদ ভক্ত ও অনুসারী।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে মরহুম পীর কেবলার নাতি মরহুম ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ছেলে রাহুল গাজী জানান, বগুড়া শহরের সুলতাগনজ পাড়ায় তার পৈত্রিক নিবাস ও পীর কেবলা হুজুরের মাজার চত্বরে পুর্ব ঘোষনা মোতাবেক পুলিশকে জানিয়ে সীমিত পরিসরে ওরসের আয়োজন করা হয়।
বুধবার এশার নামাজের পর তরিকা কেন্দ্রিক সংক্ষিপ্ত বয়ান শুরু হলে নিকটস্থ উপশহর পুলিশ
ফাঁড়ির পরিদর্শক নান্নু মিয়া এসে
উরস বন্ধ করতে বলেন।
এসময় সেখানে ২৫ জনের মত মুরিদ ও আশেকান ছিল।
এসময় মুরিদরা দ্রুত সবকিছু শেষ করার কথা বললেও নান্নু মিয়া তখনই উরস বন্ধ করার কথা বলেন। এনিয়ে বাদ প্রতিবাদ শুরু হলে বিপুল সংখ্যক মানুষ মাজার চত্বরে ঢুঁকে পড়ে।
এসময় সৃষ্ট হাতাহাতির ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহত পুলিশ সদস্যদের শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত পুলিশ কর্মকর্তাদ্বয়ের মধ্যে পুলিশ পরিদর্নাশক নান্নু মিয়ার আঘাত গুরুতর। তার একটি হাত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় পুলিশের এস আই আব্দুল গফুর বাদী হয়ে মরহুম পীর কেবলা সিরাজুল হক চিশতী (রহঃ) এর মুরিদ বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম নয়ন ও নুরুল আমিন নুরু সহ ২২ জনকে গ্রেফতার করে বৃহষ্পতিবার দুপুরেে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
এছাড়া ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা সম ২২ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন