করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সহযোগিতায় মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে রামু সেনানিবাস (১৪ বীরের) টুআইসি মেজর আরিফ এবং জেলা প্রশাসনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সারের যৌথ নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একাধিক গাড়ি শহরের প্রধান সড়কসহ প্রতিটি এলাকাতে টহল দিতে দেখাগেছে।
এসময় সেনাসদস্যরা মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ করে এবং বাহিরে অবস্থানরত লোকদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য তাগিদ দেন। এ ছাড়া রাস্তাঘাটসহ যে কোনো জায়গায় বেশি লোকজন যেন সমবেত হতে না পারে তারা সেদিকে নজর রাখছেন।
সবাই যেন নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে এবং যথাযথভাবে সরকারী নির্দেশনাসমূহ মেনে চলে সেনাবাহিনী এই বিষয়গুলো নিশ্চিতে কাজ করতে দেখা গেছে।
তাদেরকে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে। সীমিত করা হয়েছে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সাধারণ মানুষের চলাচল।
সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর থেকেই সাধারণ মানুষের বাহিরে আসার প্রবণতা কমে এসেছে। রাস্তাঘাটে খুব কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। অনেক এলাকা প্রায় জনমানবশূন্য। গোটা জেলায় রাস্তাঘাট ফাঁকা জনমানব শুন্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে জেলার ৫ উপজেলা যতাক্রমে-কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া ও উখিয়ায় সেনা সদস্যরা এবং উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফসহ ৩ উপজেলায় নৌবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন