যৌন রোগে সিফিলিসের প্রথম ডিগ্রী সংক্রমনের ক্ষেত্রে সাধারণত ঠোঁট ও জিহবায় আলসারযুক্ত নডিউল দেখা যেতে পারে। ঘাঁড়ের লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফনোডগুলো বড় হতে পারে। সিফিলিসের দ্বিতীয় ডিগ্রী সংক্রমনের ক্ষেত্রে মুখগহবরের ওরাল মিউকোসাতে আলসারের সৃষ্টি হয়। আবার লালচে দাগ দেখা যেতে পারে। এ ধরণের আলসারকে স্মাইল ট্র্যাক আলসার বলা হয়। সিফিলিসের তৃতীয় ডিগ্রী সংক্রমনের ক্ষেত্রে তালু ও জিহবায় পঁচনশীল সংক্রমণ দেখা যেতে পারে, এমনকি পরবর্তীতে তালু ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। সিফিলিসে সামনের দাঁতে অনেক সময় অসামঞ্জস্য দেখা যায় যা হাছিসনস্ ইনছিসর নামে পরিচিত। হাছিসনস্ টিথ বা দাঁত, হাছিসনস্ কর্তন দাঁত হিসাবে পরিচিত। কনজেনিটাল সিফিলিসের ক্ষেত্রে হাছিসনস্ টিথ দেখতে পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে শিশুদের দাঁত স্বাভাবিক দাঁতের চেয়ে ছোট হয়ে থাকে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে দুই দাঁতের মধ্যবর্তী স্পেস বা ফাঁকা স্থান বেশী থাকে। কর্তন দাঁতের কামড় দেওয়ার স্থানে নচ বা খাঁজ দেখা যায়। কনজেনিটাল সিফিলিস বা প্রিন্যাটাল সিফিলিস হয়ে থাকে মা থেকে সৃষ্ট সংক্রমন থেকে। কর্তন দাঁতের ইনসিজাল এজ-এ নচ বা খাঁজ গঠন হয়ে থাকে দাঁত উঠার পূর্বেই। এটি এক্সরের মাধ্যমে দেখা যায়। কনজেনিটাল সিফিলিসে মোলার দাঁতের সমস্যা দেখা যেতে পারে যা মুন মোলার নামে পরিচিত। জন্মগত সিফিলিসের ক্ষেত্রে নাক সাধারণত চ্যাপ্টা আকৃতির হয়ে থাকে। কপালের উপরিভাগে অসমতল হয়ে থাকে। তাই মুখ বা জিহবার কোনো আলসারকে অবহেলা না করে বরং অন্য কোনো রোগের জন্য মুখের আলসার দেখা দিল কিনা তা জানা অত্যন্ত জরুরী।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ dr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন