বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেওয়া হবে -চীনা রাষ্ট্রদূত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২০, ১২:০৬ এএম

চীনের রাষ্টদূত লি জির্মিং বলেছেন, বাংলাদেশ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ। বাংলাদেশের সাথে চীনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব অনেক শক্তিশালী। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। আর এরই অংশ হিসেবে চলমান দুর্যোগে চীন বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই পিপিই, কীট, থার্মোমিটার ও মাস্ক দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করে-ন চীনা রাষ্টদূত। গতকাল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনের দেওয়া মেডিকেল সরঞ্জাম দেশে এসে পৌছে। এতে ১০ হাজার টেস্ট কিট, প্রথম সারির ডাক্তারদের জন্য ১০ হাজার পিপিই, এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার এবং ১৫ হাজার এন-৯৫ মাস্ক রয়েছে।
চীনের কুনমিং থেকে আসা একটি বিশেষ কার্গো উড়োজাহাজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে এসব মেডিকেল সরঞ্জামাদি বুঝে নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ। বিমানবন্দরে চীনের রাষ্টদূত লি জির্মিং উপস্থিত থেকে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে দেওয়া এসব মেডিকেল সরঞ্জামাদি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে প্রথম দফায় চীন বাংলাদেশকে দুই হাজার কিট ও চিকিৎসাসামগ্রী দিয়েছিল।
ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। আর বন্ধুত্বের নিদর্শনসরুপ এসব মেডিকেল সরঞ্জাম চীন আমাদের দিয়েছে।
প্রায় যাত্রীশূন্য বিমানবন্দর
চারটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল থাকলেও প্রায় যাত্রীশূন্য হয়ে গেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গত বুধবার সকাল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুদিনে এই বিমানবন্দরে প্রায় ৩৪টির মতো ফ্লাইট আসা-যাওয়া করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কার্গো ফ্লাইট। অল্প কিছু যাত্রীবাহী ফ্লাইট এলেও সেগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে চীন, যুক্তরাজ্য, হংকং ও থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর দুদিন পর গত মঙ্গলবার থেকে থাই এয়ারওয়েজও ঢাকা-ব্যাংকক রুটের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। বাকি তিনটি দেশের সঙ্গে অল্প কিছু ফ্লাইট চলাচল করলেও সেগুলোতে যাত্রীসংখ্যা বেশ কম থাকছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ থেকে আজ ২৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত পাঁচ দিনে ৫৪৮ জন যাত্রী ঢাকায় এসেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছেন মাত্র ৭৬ জন। তবে বিশেষ ফ্লাইটে মালয়েশিয়া ও ভুটানে গেছেন ৩৬৪ জন। এদের সবাই ছিলেন ঢাকায় মালয়েশিয়া ও ভুটানের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বেবিচকের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে গত বুধবার রাতে ঢাকা ছাড়েন ২২৫ জন মালয়েশিয়ান। এর পর গতকাল সকালে ড্রুক এয়ারের দুটি বিশেষ ফ্লাইটে করে থিম্পু গেছেন ১৩৯ জন ভুটানি। এদের মধ্যে ভুটান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ভুটানের কিছু শিক্ষার্থী।##

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন