শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

“মানবতা যেখানে অসহায়”

গৌরনদী (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২০, ৬:২৮ পিএম

নৌ-পথে ট্রলারযোগে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে হামলার স্বীকার হয়েছেন পাঁচটি পরিবারের সদস্যরা। ট্রলারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতবরন করা ব্যক্তির লাশ আছে, মসজিদের মাইকে এমন গুজবের ঘোষণা দিয়ে নদীর একপাড়ের অতিউৎসাহী মানুষের দফায় দফায় ছোঁড়া ইটের আঘাতে ট্রলারের পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক স্থানীয় থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর সংলগ্ন এলাকায়।

আহত সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে সড়ক ও নৌ-পথে সারাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। জীবিকার তাগিদে নারায়নগঞ্জ শহরে দিনমজুরের কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা বানারীপাড়া ও স্বরূপকাঠী উপজেলার পাঁচটি পরিবারের সদস্যরা গত দুইদিন সেখানে (নারায়নগঞ্জ) অবরুদ্ধ হয়ে পরেন। দু’দিনেই তাদের পরিবারের চরম দৈন্যতা নেমে আসে। পরবর্তীতে ওইসব পরিবারের সদস্যরা মিলে বৃহস্পতিবার ভোরে নৌ-রুটে ট্রলার রিজার্ভ করে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর সংলগ্ন এলাকা অতিক্রমকালে ট্রলারের জ্বালানী তেল শেষ হয়ে যায়। এসময় নতুন টরকীর চরে (কালকিনি উপজেলার রমজানপুর) ট্রলারটি থামানোর পর পরই নদীপাড়ের বাসিন্দারা কিছু জিজ্ঞাসা না করেই স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয় ট্রলারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতবরন করা ব্যক্তির লাশ আছে। এদের প্রতিহত করুন। পরবর্তীতে অর্তকিতভাবে দফায় দফায় ট্রলারটি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে পাঁচজন রক্তাক্ত জখম হয়। ট্রলারে থাকা নারী-পুরুষ ও শিশুদের আত্মচিৎকারে নদীর অপরপ্রান্তে (টরকী বন্দর এলাকা) অবস্থান করা থানা পুলিশের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। হামলাকারী নদীপাড়ের মানুষের দাবি, ট্রলারে শোয়ানো অবস্থায় রাখা একটি আলমিরা দেখে তাদের মধ্যে কেউ ভেবেছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেছে, সেই লাশ নিয়ে ট্রলারযোগে কেউ এখানে এসেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম দিলীপ বলেন, থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার পর আহতদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নিরাপদে ওইসব পরিবারগুলোর সদস্যদের বানারীপাড়া ও স্বরুপকাঠীর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাউকেই গ্রামের বাড়িতে আসা উচিত নয়। একইসাথে কিছু না জেনে বা বুঝে মসজিদের মাইকে এমন গুজব ছড়িয়ে হামলা চালানোও ঠিক নয়।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন