বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

১০ টাকা কেজির চাল ৩০ টাকা!

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাস নিয়ে যখন প্রশাসনসহ সর্বমহল আতঙ্কে এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ নিয়ে ব্যস্ততা সময় পার করছে, তখনই হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি চালের ডিলারদের যেন পোয়াবারো হয়ে গেছে। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” স্লােগানের নির্ধারিত ব্যানার না টানিয়ে সরকারি খাদ্য গুদামজাতকৃত নির্দিষ্ট পরিমাণ ৩০ কেজি চালের বস্তা প্রতি গ্রহিতাকে না দিয়ে বস্তা খুঁলে ঢেলে পরিমাণে কম দেয়া হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে ভিজিডির প্রতি কার্ডধারী ১০ টাকা কেজি মূল্যের নির্ধারিত ৩০ কেজি চাল ক্রয় করতে গিয়ে পরিমাণে ২/৩ কেজি কম পাচ্ছে। এ নিয়ে কার্ডধারীদের মাঝে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে। উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মার্চ মাস থেকে নান্দাইল উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সদরের খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি পরিমাণের প্যাকেটকৃত চালের বস্তা সংগ্রহ করে নিয়ে যান ডিলাররা।
সরেজমিনে এ ধরণের দৃশ্য দেখা যায়, ময়মনসিংহের নান্দাইলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে খাদ্য বিভাগের বস্তা খুঁলে রেখে বালতি দিয়ে ওজন মেপে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। মাপার কৌশলে ক্রেতাদের দু-তিন কেজি চাল ওজনে কম পড়েছে। এ সময় চাল নিতে আসা বেশ কয়েকজন বয়স্ক ক্রেতার সাথে কথা হয়। ক্রেতারা সকলেই প্লাস্টিকের বস্তা সাথে করে নিয়ে এসেছেন আবার কেউবা খালি হাতে। ডিলারদের দোকানে কোনো তদারক কর্মকর্তা (টেগ অফিসার) পাওয়া যায়নি। এ সব খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সরেজমিনে যান উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ আবু হাসান সারোয়ার। তিনি বেশ কয়েকটি স্থানে গিয়ে বস্তা খুঁলে চাল দেয়ার সত্যতা পান। পরে তিনি জানান, ফের এ ঘটনা ঘটলে ডিলারশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। তিনি প্রতিটি চালের ডিলারের দোকানে বাধ্যতামূলকভাবে ট্যাগ অফিসারদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় মাস্টার রোলে স্বাক্ষর না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন