শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মধ্য চৈত্রে তাপদাহ

ফরিদপুরে সর্বোচ্চ ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি : চট্টগ্রামে কুয়াশা!

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

মধ্য চৈত্রে এসেই শুরু হয়েছে খরতাপ। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ঢাকা, সিলেট, খুলনা, ফরিদপুর, রাঙ্গামাটি, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালী, ভোলা, গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ফরিদপুরে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৬.৬ এবং সর্বনি¤œ ২৩.২ ডিগ্রি সে.।
আজ শনিবার সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। আর এ সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া সারাদেশে শুষ্ক থাকতে পারে।
অন্যদিকে চারদিক আঁধার করেই হঠাৎ কুয়াশার চাদরে মুড়ে যায় চট্টগ্রাম। আগের মাঝরাত থেকে গতকাল সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম। হালকা শীতও পড়ে। গাছের পাতায় জমে শিশিরবিন্দু।
অথচ ১৩ চৈত্রে খরতাপ না হোক, গরমের তেজ থাকারই কথা পঞ্জিকার ছকে। আবহাওয়ায় এ খেয়ালীপনায় অনেকেরই ছিল কৌতূহল। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে চলমান লকডাউনে সড়ক, মহাসড়ক, রাস্তাঘাটসহ পুরো শহরই ফাঁকা। সুনসান নীরব। মানুষ ঘরবন্দী।
করোনার কারণে সিন্ধুতে জামাত নিষিদ্ধ
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের আগ্রাসন ঠেকাতে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ সরকার গত বৃহস্পতিবার সীমিত আকারে নামাজ পড়তে অনুমতি দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পুনরায় ঘোষণা দিয়ে জামাত নামাজ স্থগিত করেছে। তারা বলেছে, মসজিদে জামাতে নামাজসহ শুক্রবারের নামাজ পড়া যাবে না।
সিন্ধু সরকারের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মুর্তজা ওহাব টুইটারে প্রাদেশিক সরকারের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন এবং যোগ করেন যে, ওলামা ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, মসজিদ কর্মীসহ কেবল ৫ জনকে জামাতে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হবে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে গতকাল থেকে এবং তা বলবৎ থাকবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
সিন্ধু সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনেও একই কথা বলা হয়। তাতে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রাদেশিক সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মসজিদের জন্য মনোনীত কেবল ৩ থেকে ৫ জনকে জামাতে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণ আলেম-ওলামার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাড়িতে নামাজ পড়বেন। এ বিধিনিষেধগুলো অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় স্থানগুলিতেও প্রযোজ্য হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয় যে, প্রদেশটি সিন্ধু মহামারী রোগ আইন, ২০১৪ এর ৩ (১) ধারা প্রয়োগ করেছে।
এই আইনের আওতায় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ আদেশকে কার্যকর করার জন্য আরও নির্দেশাবলী/ আদেশ/নোটিশ ইত্যাদি জারি করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। কেউ এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে তাকে পাকিস্তান দÐবিধি ধারা ১৮৮ (সরকারি কর্মচারীর দ্বারা দেয়া আদেশ যথাযথভাবে অমান্য) এর অধীনে শাস্তিযোগ্য হবে।
পাকিস্তানের জিও নিউজের এক সাক্ষাৎকারে সিন্ধুর তথ্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ নাসির হুসেন শাহ বলেছেন, সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত কঠিন এবং এটি বাস্তবায়নে অসুবিধা হবে। তিনি নাগরিকদের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করার অনুরোধ করেন।
এর আগে, অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একটি সংবাদ সম্মেলনে ভাষণে ধর্মীয় বিষয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মন্ত্রী নূরুল হক কাদরী জানিয়েছিলেন যে, করোনাভাইরাস সম্পর্কিত জাতীয় সমন্বয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে দেশের মসজিদ বন্ধ হবে না। কাদরী বলেছিলেন যে, মসজিদে আযান এবং তিলাওয়াত থাকবে। মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে কাদরী বলেছিলেন যে, মসজিদগুলো উন্মুক্ত থাকবে এবং জামাতে সীমিত আকারে নামাজে আদায় করা হবে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তারা। সূত্র : ডন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন