বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কোলাহলমুক্ত ঢাকা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ১০ দিনের সাধারণ ছুটির দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। এদিনে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশই কার্যত আংশিক লকডাউনে ছিল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি কেউ। মানুষকে ঘরে রাখতে রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লা, হাটবাজারে টহল জোরদার করেছে পুলিশ। কোথাও কোথাও জনসমাগম এড়াতে বল প্রয়োগও করেছে পুলিশ। টহল দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
ছুটির দ্বিতীয় দিনে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সড়কগুলো ছিল কার্যত জনশূন্য। ফাঁকা রাস্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমের দু-একটি গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। ফুটপাতে একজন-দুজন মানুষকে চলতে দেখা যাচ্ছে। গাড়ি না চলায় রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশও তেমন দেখা যায়নি। শুধু ঢাকার রাস্তা নয়, ফাঁকা হয়ে পড়েছে ফুটপাত, বাজার-শপিংমল সবই। গলি-মোড়ের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় সুপারমার্কেট ছিল বন্ধ। সব মিলে যানবাহন, বিশৃঙ্খলা, কোলাহলে ভরা ঢাকা পরিণত হয়েছে কোলাহলমুক্ত শান্ত নগরীতে।
তবে জরুরি প্রয়োজনে মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় মানুষজনের দেখা মিলছে। জরুরি প্রয়োজনে মানুষজন ঘর থেকে বের হলেও প্রয়োজন শেষে সবাই আবার ঘরে ফিরে গেছেন।
রাজধানীর বাইরেও কমবেশি একই চিত্র। আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, হাটবাজারে মানুষের উপস্থিতি একেবারে কম। জনসমাগম এড়াতে পুলিশ-প্রশাসন দিনভর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিল। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে বেশির ভাগ মানুষ ঘর থেকেই বের হয়নি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হয়নি গ্রামাঞ্চলের মানুষও।
এদিকে ১০ দিনের সাধারণ ছুটিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সারা দেশ। জনসমাগম এড়াতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ-র‌্যাব-সেনাবাহিনী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, করোনা আতঙ্ক আর মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় দেশের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক নিত্যপণ্যের দোকানও। ফলে জরুরি পণ্য সংগ্রহে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগি।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন