করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। কখনো মাইক হাতে নিয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছেন । কখনো আবার বিদেশে ফেরতের খোয়াড়ে তথা হোম কোয়ারেন্টাইনে নিতে কাজ করছেন। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ছিটিয়ে দিচ্ছেন জীবাণুনাশক।
এবারের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও নগরবাসীর সুরক্ষায় তার এ প্রচেষ্টা সবার নজর কাড়ছে। অথচ ৫৫ জন কাউন্সিলরের কাউকেই এমন দুর্যোগে কাছে পাচ্ছে না সত্তর লাখ নগরবাসী।
তাদের মধ্যে অনেকেই এবারের নির্বাচনেও দলীয় সমর্থন পেয়েছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ভোট ভোট খেলা আয়োজনে কিছু দিন আগেও তারা মাঠে ছিলেন। নগরবাসীর সেবা করার সুযোগ চেয়ে গলা ফাটিয়েছন। কিন্তু সেবা করার সময়ে তাদের খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।
সিটি মেয়র পদে নৌকা তথা আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া এম রেজাউল করিম চৌধুরীও নিরব। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে নগরবাসীর পাশে নেই তিনি।
বিএনপি তথা ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ডা শাহাদাত হোসেন ভোট স্থগিত হওয়ার পরেও কিছু দিন মাঠে ছিলেন। কিছু সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ করেন।
এখন তিনি এবং তার দলের কাউন্সিল প্রার্থীরা কেউ জনগণের পাশে নেই।
বড় দুটি দলের দুই জন সহ মেয়র প্রার্থী আছেন সাত জন। বাকি পাঁচ জন মাঠে নেই। কদিন আগেও মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা বলেছেন।
৪১টি ওয়াডে কাউন্সিল প্রার্থী আছেন ১৬১জন। ভোটের মাঠে ছিলেন তারাও।ভোটারদের কাছে গিয়ে সমর্থন চেয়েছেন।পাশে থাকবেন বলেও অঙ্গীকার করেছেন।
সরকারি দলের কাউন্সিল প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে মারামারিও করেছেন তারা।নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লাশ পড়েছে। তারাও নেই মানুষের পাশে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের নীরবতা নিয়েও সমালোচনা সবার মুখে মুখে। কঠিন এ সময়ে তারাও জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে।
তবে মেয়র নাছির উদ্দীন নগরবাসীর সুরক্ষায় যা করছেন তাতে তারা খুশি।
ইতিমধ্যে তিনি দরিদ্র মানুষের জন্য খাবার সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছাতে কাজ শুরু হচ্ছে।
করপোরেশনের উদ্যোগ করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিত্সার ভার নেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন