করোনাভাইরাসের ভয়াল সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে স্পেনে। শুক্রবার সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। করোনাভাইরাসে সংক্রমণ থেকে রীতিমতো মৃত্যু মিছিল শুরু হয়ে গেছে এই দেশে। এখনো পর্যন্ত ৬৫০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশের সবকটি হাসপাতালেই চূড়ান্ত ব্যস্ততা। হাসপাতালে ভর্তির লাইন ক্রমশই লম্বা হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না স্পেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে গৃহযুদ্ধ ও পরবর্তী সময় ছাড়া এত মৃত্যু কখনো দেখেনি স্পেন।
হাসপাতালে সব রোগীর স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ভেন্টিলেটর, আইসোলেশন বেড, টেস্ট কিট, সুরক্ষা পোশাক, মাস্কও নেই খুব একটা। এমতাবস্থায় কোন রোগী চিকিৎসা পাবেন এবং কে পাবেন না, তা বিবেচনা করার দায়ভার সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসকদের ওপরই ছেড়ে দিলো স্পেন।
এক প্রকার বাধ্য হয়েই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে স্পেনের চিকিৎসকদের। পরিস্থিতি এমনই যে বৃদ্ধদের বদলে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মাদ্রিদ লা পাজ হাসপাতালের চিকিৎসক দ্যানিয়েল বার্নাবিউ জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে নতুন গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, হাসপাতালে রুম কম থাকলে, কম বয়সী রোগীদেরই প্রাধান্য দিতে হবে।
ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চীনের উহান প্রদেশকে ধরা হলেও বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। সংখ্যা ৮২১৫। আক্রান্ত ৮০ হাজার ৫৮৯ জন। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৩৬১ জন। ইতালির পর ইউরোপে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে স্পেনে। সেখানে আক্রান্ত ৫৭ হাজার ৭৮৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৩৬৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭০১৫ জন।
এত রোগীকে একসঙ্গে চিকিৎসা দেয়া স্পেনের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্পেনের বিভিন্ন হাসপাতালের চিত্রটা একই রকম। চিকিৎসার জন্য করোনা-আক্রান্ত মুমুর্ষ রোগীও হাসপাতালের মেঝেয় পড়ে রয়েছেন। কিন্তু তার চিকিৎসা করার যথেষ্ট অবকাঠামো নেই স্পেনের কাছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন