শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলে সামাজিক সংক্রমন নিয়ে শংকা আনসার-ভিডিপি’কে কাজে লাগানোর তাগিদ

হোম কোয়ারেন্টাইনে ২ হাজার ৭৫৫ ছাড়পত্র পেল এক হাজার ২০১

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২০, ৪:৫৯ পিএম

করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কোন খবর না মিললেও গত এক সপ্তাহে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে কয়েক লাখ মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের নিজ ভিটায় ফিরেছে, তাদের নিয়ে শংকিত আছে স্বাস্থ্য বিভাগ সহ স্থানীয় প্রশাসন। আকষ্মিক ঢালাওভাবে সংক্রমিত এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের দক্ষিণাঞ্চলমুখি এ শ্রোত ‘সামাজিক সংক্রমন’এর আশংকা বৃদ্ধি করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন একাধীকমহল। 

তবে শণিবার দুপুর পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নাম তালিকাভ’ক্ত করেছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় যূক্ত হয়েছে ৩৭ জন। যা আগের যেকোন সময়ের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। তবে ইতোমধ্যে আরো ১ হাজার ২০১ জন সুস্থ্যবস্থায় তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। যাদের প্রায় সকলেই বিদেশ ফেরত। অপরদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখনো পাঁচজন সন্দেহভাজন রোগী রয়েছে। যাদের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে হাসপাতাল পরিচালক জানিয়েছেন। ইতোপূর্বে আরো দু জন অনুরূপ রোগী ভর্তি করা হলেও তাদের দেহে করোনা ভাইরাসের কোন অস্বিত্ব পাওয়া যায়নি বলে পরিচালক জানান। এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে করোনা ভাাইরাসÑ‘কেভিড-১৯’ আক্রান্ত কোন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেও বিভাগীয় পরিচালক জানান।
স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ কর্মী ছাড়াও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানÑব্রাক কর্মীরাও গ্রাম পর্যায়ে এ বিষয়ে খোজ খবর রাখছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। সামাজিক প্রতিষ্ঠান ‘কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন’ কেভিড-১৯ আক্রান্ত যেকোন রোগীর সহায়তায় তাদের সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে বলে বরিশাল বিভাগীয় দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে। তবে এর পাশাপাশি ‘আনসার ও ভিডিপি’কেও এ কাজে ব্যবহারের তাগিদ দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে স্থাণীয় প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনীও মাঠ পর্যায়ে প্রচারনা সহ বিভিন্ন ধরনের দায়িত্বপালন করছে। এমনকি সেনা বাহিনী করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রচারনাও শুরু করেছে। র‌্যাব-৮ বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলায় করোনা প্রতিরোধে প্রচারনা সহ স্থাণীয় প্রশাসনের সাথে কাজ করছে। সেনা বাহিনী ও র‌্যাব বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ গুলোর দিকেও নজর রাখছে। এসব স্পর্ষকাতর স্থাপনার নিরাপত্তা ছাড়াও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টির প্রতিও নজর রাখছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন কিছুটা বিলম্বে হলেও করোনা সংক্রমন রোধে কিছুটা তৎপড়তা শুরু করেচে। এমনকি নগরীরর রাস্তাঘাটে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানিও স্প্রে করা হচ্ছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকেও বিশেষ নজরদারী করা হচ্ছে বলে জানান হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ২ হাজার ৭৫৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিলো। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২০১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেসন ওয়ার্ডে এখনো ৫ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানা গেছে।
এছাড়া বরগুনা জেলায় হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা তিনজনকেও ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত বিভাগে কোয়ারেন্টাইনে থেকে মোট ১ হাজার ২০১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হল। ভোলায় একজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
*হতদরিদ্র দীনমজুর কহে* ২৮ মার্চ, ২০২০, ৫:১২ পিএম says : 0
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কে সোচচার হতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন