শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে একই পরিবারের ৫ জনকে করোনা সন্দেহে রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ তে পাঠানো হয়েছে

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২০, ৯:৫১ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত সন্দেহে একই পরিবারের ৫ জনকে রংপুরের আইসিইউতে পাঠিয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল। সদর উপজেলার ৭নং চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান নদী পাড়ার আব্দুল বাসেদের ছেলে ঢাকার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী রুহুল আমিনসহ তার পরিবারের অপর ৪ জনকে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় তাঁর বাসা থেকে প্রশাসনের নির্দেশে নিজস্ব এম্বুলেন্সে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রাখা হয় । ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডাঃ নাদিরুল আজিজ জানান, তাদেরকে তাঁর নেতৃত্বাধীন একটি মেডিকের টিম দেখে প্রাথমিকভাবে তাদের লক্ষণগুলো নিয়ে আইইডিসিআরের সাথে আলোচনা করা হয়। প্রাথমিক লক্ষণের বর্ণনা শুনে আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দেন তাদের আইসিইউয়ের সাপোর্ট দরকার হতে পারে মর্মে পরামর্শ দিলে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় তাদেরকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঐ ৫ জন করোনা সন্দেহভাজন রোগীবাহী এম্বুলেন্সটি বর্তমানে রংপুর মেডিকেলের পথে রয়েছে বলে তিনি জানান। তত্বাবধায়ক আরো জানান, আইইডিসিআরের একটি টিম এ মুহূর্তে রংপুরের পীরগঞ্জে রয়েছে , তারাই ৫ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করবেন। এ ব্যাপারে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা যে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
আক্রান্তের প্রতিবেশি ভেলাজান গ্রামের বাসিন্দা মোখলেসুর রহমান ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, রুহুল আমিন ৫ দিন আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে ঢাকা থেকে সপরিবারে তার গ্রামের বাড়িতে এসেছেন।ঢাকা থেকে আসার পর থেকেই তার জ্বর ও সর্দি।শনিবার থেকে স্বাসকষ্ট সমস্যা হচ্ছে।এ থেকে তিনি শনিবার নিজে হট লাইন নাম্বাওে ফোন করেন এবং তার ফেসবুক আইডিতে তার অবস্থার কথা জানিয়ে পোষ্ট করেন।পরে ঐদিনই বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের অনুরোধে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের একটি টিম বিশেষ সতর্কতায় রুহুল আমিনসহ তার পরিবারের ৫ জনকে সদর হাসপাতালে আনেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন, রুহুল আমিনের স্ত্রী মোমেনা খাতুন, ছেলে রোহান,তার ভাই ইসমাইল ও তার ভাই স্ত্রী আখিঁ। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার আব্দুুল্লাহ আল মামুন বলেন,যে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হবে।তার পরেই ফলাফল এলে জানা জাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমন কিনা।
এদিকে রোগীদের এক প্রতিবেশি শামসুল আলম জানান, রুহুল আমিন তাঁকে জানিয়েছিলেন , ১৩ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের আয়োজনে মাদারীপুরে পিকনিকে গিয়েছিলেন। সেখানে অনেক মানুষজন উপস্থিত ছিল। এরমধ্যে একজন জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন, তার সংস্পর্শে এসেছিলাম; এরপর থেকে জ্বরে আক্রান্ত হই।”

অসুস্থ্ ওই ব্যক্তি ফেসবুক আইডিতে লেখেন , “আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের সবারই জ্বর সর্দি প্রচÐ বুক ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।আমিসহ আমার পরিবারের সবাই মহাবিপদের সামনে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।”

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ডঃ কামরুজ্জামান সেলিম ব্যাপারটি নিয়ে আতংকিত না হয়ে করোনা প্রশ্নে পূর্ণ সতর্কতার সাথে আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু’র নির্দেশনা মেনে চলতে জেলাবাসির প্রতি আহবান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন