শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

করোনায় মাদক জগৎ

দুষ্টচক্র থেমে নেই, আরো কঠোর হচ্ছি -ডিজি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১১:৩১ এএম | আপডেট : ১১:৪৬ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউনের মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক কারবারিরা। মহামারী থেকে মানুষের জীবন রক্ষার মতো কাজে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগ নিচ্ছে তারা।

টানা দশ দিনের ছুটিতে দেশে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাড়ি ঘরে। সড়কে বন্দ সব ধরনের যানবাহন চলাচল। অচল রেল ও নৌ পথও। একান্তই প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসছে না। সেনাবাহিনী মাঠে। মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে সেনা এবং প্রশাসনের অভিযান চলছে।
সুনসান নীরবতা সড়ক মহাসড়কে। সাগর পথেও নেই আগের মতো ব্যস্ততা। বিশেষ করে রাতের বেলায় একেবারে জনশূন্য সড়ক। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যরা ছোট বড় চালান পাচার করছে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া
করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে সব দেশের সীমান্ত পাহারা এখন অনেকটাই ঢিলেঢালা। এর সুযোগ নিচ্ছে মাদকের কারবারিরা। মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে ইয়াবার চালান আসছে। সাগর পাহাড় আর সড়ক পথে নানা কৌশলে পাচার হচ্ছে এ ভয়ঙ্কর নেশার ট্যাবলেট।
সম্প্রতি ট্রাক যোগ কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বগুড়ায় পাচার হওয়ার পথে এমন একটি চালান ধরা পড়ে।
সীমান্ত এলাকা কক্সবাজার জেলার টেকনাফে শনিবার সকালে দুটি কথিত বন্দুক যুদ্ধে মারা যায় চার পাচারকারী।
মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে ইয়াবার চালান আনার পথে বিজিবি এবং পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুক যুদ্ধ হয়।
জানা যায়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একমুখী ব্যস্ততাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে মাদক কারবারি চক্রের সদস্যরা ছোট বড় চালান নিয়ে আসছে। ভারত থেকে ফেনন্সিডিলের চালান পাচার হয়ে আসছে।
পাহাড়ী এলাকায় তৈরি মাদক আসছে নানা কৌশলে ।
ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (সরকারের সচিব) মোঃ জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্যোগের সময় দুষ্ট চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। জনমানবশূন্য সড়কে এবং সমুদ্র পথেও তারা মাদক দ্রব্য পাচারের সুযোগ নেয়। তবে এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান কঠোর। স্পষ্ট করে বলতে চাই আমার এ দুষ্ট চক্রকে কোন সুযোগ দেবো না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ কমর্কতারা বলেছেন তারা মাদক দ্রব্য পাচার হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই সতর্কতা হিসেবে টহল ও অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা দিচ্ছেন।
নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন লকডাউনের সুযোগ নিয়ে মাদক কারবারিরা যাতে সক্রিয় হতে না পারে সেজন্য তারা সতর্ক আছেন। নগরীর মাদকের আখরাগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
mdsaimun ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:০২ পিএম says : 0
ami ki buji na
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন