করোনায় যেন খুশি ট্রাক্টর/ট্রলির মালিক ও চালক! বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ব্যস্ত থাকার ট্রাক্টর ও ট্রলির মালিক ও চালকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
করোনা সংকটের মধ্যেও রামগঞ্জ উপজেলায় নিষিদ্ধ ট্রাক্টর ও ট্রলির যন্ত্রণা চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলার অভ্যন্তরীণ রাস্তায় প্রতিদিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ শতাধিক এ দানব যান।
নিষিদ্ধ ট্রাক্টর ও ট্রলির ধুলাবালিতে লোকজন শ্বাস-কষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রাস্তায় ধুলাবালির কারণে হাটাও যেন দয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চলতি মাসে রামগঞ্জ পুলিশ বক্স চত্বর ও বালুয়া চৌমুহনি সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক্টরসহ অবৈধ যানবাহন চালকদের নামে ১৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭৬ হাজার ৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, রামগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যম সারির দুই-তিনজন নেতা ট্রাক্টর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ যান চলাচলে সহযোগিতা করছেন। উপজেলা মোটর চালক সমবায় সমিতির নামে ট্রাক্টর গুলো চালায়। ওই সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানায়, রামগঞ্জে তাদের অধীনে ১৯৫ টি ট্রাক্টর অর্šÍভূক্ত রয়েছে। উপজেলাব্যাপী এসব চলাচল করে। তবে অন্য একটি সূত্রের ভাষ্যমতে, সমিতির বাহিরে আরো দুই শতাধিক ট্রাক্টর চলাচল করে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রামগঞ্জে বৈধ অবৈধ মিলে ২৪ টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় শুষ্ক মৌসুমে প্রতিদিন ট্রাক্টর দিয়ে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্নস্থান মাটি ও ইট পরিবহন করা হয়। এতে রাস্তাঘাট ধুলাবালিতে একাকার থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ফসলি জমির উপরিভাগে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করায় এবার উপজেলায় চাষাবাদ কম হয়েছে। এতে বিস্তির্ণ জমি খালি পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের এমপি আনোয়ার হোসেন খান বলেন, অবৈধ ট্রাক্টরের কারণে রামগঞ্জের মানুষ অতিষ্ট। ট্রাক্টর, ইটভাটা বন্ধ এবং দখল হওয়া খাল উদ্ধারের জন্য আমি প্রশাসনকে বলেছি। এরসঙ্গে দলের কোন নেতাকর্মী জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন