ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ঘোজাডাঙায় লকডাউনের শিকার হয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় দু' হাজার ট্রাক। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য তথা তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা প্রায় ৩০০ ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওই ট্রাকগুলোতে পিয়াজ, হলুদ, আদা কাঁচামাল রয়েছে। গত বুধবার থেকে থমকে গেছে ট্রাকের চাকা। ইতিমধ্যে পচন শুরু হয়েছে সেইসব কাঁচা মালের। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করা কিছু ট্রাক ঢুকে রয়েছে সেগুলো আর দেশে ফিরতে পারছে না। যাঁতাকলে দু'দেশের ট্রাকচালক ও হেলপাররা। ইচ্ছে থাকলেও দেশে ফিরতে পারছে না। আর ভারতীয় ট্রাকচালকরা তাদের নিজের রাজ্যে যেতে পারছে না। সবমিলিয়ে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। আমদানি-রপ্তানি সীমান্ত বাণিজ্যে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এই চার দিনে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ভারতের ২০০০ ট্রাকের চালক ও হেলপার নিজের রাজ্যে ফিরতে পারছে না। এমনকি এর জন্য বেশ কিছু ট্রাক খালি অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে সীমান্তে। দুই যাঁতাকলে তারাও ঘরে ফিরতে পারছে না। সবমিলিয়ে লকডাউন এর জেরে করোনা সতর্কবার্তার মধ্যে আটকে পড়েছে প্রায় ৪ হাজার চালক ও খালাসী। একদিকে যেমন খাদ্যের যোগান ফুরিয়ে আসছে। অন্যদিকে করোনা আতঙ্কে দিন গুনছেন সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকচালক ও খালাসী। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আসা যেসব পণ্যবাহী ট্রাক খালি হয়েছে সেইগুলো এদেশে আটকে পরেছে। জটিল পরিস্থিতির মুখে সীমান্ত বাণিজ্যের ব্যবসা। তেমনি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ট্রাকগুলোও ফিরে যেতে পারছেনা। কোনরকমভাবে খাওয়া-দাওয়া করে দিন গুজরান করছেন। লকডাউন যদি আরো বেশি দিন চলতে থাকে তাহলে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের চালক ও খালাসিরাও।
ঘোজাডাঙ্গা আমদানি-রপ্তানিকারক সংস্থার ব্যবসায়ী মিহির ঘোষ বলেন, ব্যাপক ক্ষতির মুখে সীমান্ত বাণিজ্য সেটা যেমন ঠিক কিন্তু অন্যদিকে যেভাবে দেশের করোনা আক্রান্ত লাফিয়ে বাড়ছে তাতে সুরক্ষিত থাকা উচিত সবার। সব মিলিয়ে পুরো বিষয়টা আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য জোগান দিতে যাতে ট্রাকগুলো দ্রুত যেতে পারে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করার কথা আলোচনা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন