মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বরিশালের করোনা ইউনিটে মৃত জাকির হাওলাদারের দাফন গলাচিপায় সম্পন্ন

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ৯:৪৫ পিএম

পটুয়াখালীর গলাচিপায় করোনা সন্দেহে মৃত ব্যাক্তির আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ি দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানান, বরিশাল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি মো.জাকির হোসেন (৪০) বরিশালের মুলাদি উপজেলায় গ্রামীন ব্যাংকে চাকরি করতেন। জাকির গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাতাবুনিয়া গ্রামে মৃত্যু মাওলানা আ.মোতালেব হাওলাদারের ছেলে। তিনি অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং পটুয়াখালী সদরের বহালগাছিয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সর্দি জ্বর কাশি নিয়ে শনিবার তিনি পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে তাকে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। অফিসার ইনচার্জ আরও জানান, আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ি গ্রামের বাড়িতে ওই ব্যক্তির দাফন করা হয়েছে। দাফনের পরে বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। দাফন ও জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মনির হোসেন জানান, এ ব্যক্তি শাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দিকাশি নিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে তার মৃত্যু করোনায় কিনা সেটা বলা যাচ্ছেনা। নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তার মৃতদেহ আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ি দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গলাচিপার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফর খান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুয়ায়ি মৃত ব্যক্তির জানাজায় সীমিত সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। বাড়িতে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
*হতদরিদ্র দীনমজুর কহে* ৩০ মার্চ, ২০২০, ১২:০৩ পিএম says : 0
করোনা পরিখ্খার মেশিন বরিশাল কবে পৌছাবে।জরুরী ভিত্তিতে করোনা পরিখ্খার ব্যাবস্থা করা হোক।প্রতিটি জেলা হাসপাতালে এ ব্যাবস্থা করা প্রয়োজন ।তা হলে বিভাগীয় হাসপাতালে চাপ কমবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন