করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মানবজাতির উপকারে কিভাবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমান আন্তোনভ এএন-২২৫ কাজে লাগানো যায়, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বিমানটি যারা তৈরি করেছে সেই সোভিয়েত ডিজাইনাররা সম্ভবত বিমানটির এমন ব্যবহার কল্পনাও করতে পারেননি।
বিমানটি ১৯৮৫ সালে নির্মিত হয়। এর প্রতিটি ডানায় তিনটি করে ইঞ্জিন রয়েছে। এটি ৬৪০ টন (দশটি বড় আর্মি ট্যাঙ্কের সমান) ওজন বহন করতে পারে। এর বিশেষত্বের কারণে ন্যাটো এর নাম দিয়েছে ‘কসাক’। কসাকরা হচ্ছে প্রাচীন রাশিয়ান যোদ্ধা গোষ্ঠী। যদিও ইহুদি সংস্কৃতিতে ‘কসাক’দের ঘৃণা করা হয় কিন্তু ইউক্রেনীয় সংস্কৃতিতে তারা ভয়ানক যোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত হয় ও সম্মান করা হয়।
এই বিমানটির একটি ছোট সংস্করণও তৈরি করা হয়েছিল এবং চেক রিপাবলিকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য ইতিমধ্যে এটি ব্যবহার করা হয়েছে, এটি তিনবার চীন থেকে চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে চেক রিপাবলিকে সরবরাহ করেছে।
মূল বিমান, এতটাই বিশাল যে এটি একবারই কোন মিশনে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত মহাকাশযান বুরান পরিবহনের এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার জন্য এটি আবারও ব্যবহার করা হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন