শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে করোনার সাথেই ডেঙ্গুর তাড়া

মশাময় নগরে আতঙ্ক

রফিকুল ইসলাম সেলিম : | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ঘরে বাইরে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ চাটগাঁ নগরবাসী। টানা দশ দিনের ছুটিতে স্থবির সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন অভিযান। এতে করোনা মহামারীর সঙ্গে প্রাণঘাতী ডেঙ্গু আতঙ্কে বন্দর নগরীর ৭০ লাখ মানুষ।

অঘোষিত লকডাউনের মধ্যে মানুষ এখন কার্যত ঘরবন্দি। এ বন্দিদশার সাথে দিনে রাতে মশার যন্ত্রণায় ত্যক্ত বিরক্ত সবাই। বস্তি থেকে অভিজাত আবাসিক এলাকা, বহুতল অ্যাপাটর্মেন্ট সব খানে মশার উপদ্রব চলছে সমান তালে। কোন কোন এলাকায় দিনের বেলায়ও মশারি টাঙিয়ে রাখতে হচ্ছে। ধূপ ধোঁয়া, কয়েল আর স্প্রে করোও মশার কামড় থেকে রেহাই মিলছে না।

এদিকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পূর্ণাঙ্গ মশা ধ্বংসকারী ওষুধ ‘এডালটিসাইড’ ছিটানো বন্ধ রেখেছে সিটি কর্পোরেশন। নগরবাসীর অভিযোগ মশক নিধন অভিযান বলতে গেলে বন্ধ। এমনকি খাল, নালা পরিষ্কার করতেও দেখা যায় না। মশার উৎসগুলো অক্ষতই রয়ে যাচ্ছে।
মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধ থাকলে সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন নালা-নর্দমায় কিলবিল করছে মশার লার্ভা এবং পূর্ণাঙ্গ মশা। পানিবদ্ধতা নিরসনে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বেশ কয়েকটি খালের মুখ বন্ধ আছে। এতে পানি চলাচল না থাকায় স্থির হয়ে আছে। জমে থাকা বা আবদ্ধ পানিতেই জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। বিভিন্ন ওয়ার্ডেও চলমান নালা-নর্দমার সংস্কার কাজও বন্ধ। ফলে সেখানেও স্থির পানির কারণে বাড়ছে মশার উপদ্রব। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরাও বলছে ভ্যাপসা গুমোট গরমে এডিস মশার উৎপাদনের সময়। এ সময় ভয়ঙ্কর এ মশার লার্ভা জন্ম নেয়। তাই এখন থেকে মশক নিধন অভিযান জোরদার করা না হলে নগরীতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়বে।

কীটতত্ত¡বিদদের মতে, এখন শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় নালা-নর্দমায় জমাট হয়ে আছে পানি। সেখানে ডিম ছাড়ছে ‘ফাইলেরিয়া’সহ বিভিন্ন রোগের বাহক মশা। এ সময়টাতে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী ওষুধ ছিটানোর উপর জোর দিতে হবে।

জানা যায়, এক মাস আগে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় মন্ত্রণালয়ে ২০ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা চেয়েছে চসিক। এর বাইরেও চলতি বাজেটে ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মশক নিধনে ‘এডালটিসাইড’ (পূর্ণাঙ্গ মশা ধ্বংসকারী) এবং ‘লার্ভিসাইড’ (ডিম ধ্বংসকারী) নামে দুই ধরনের ওষুধ ছিটানো হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর ‘এডালটিসাইড’ ছিটানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এডালটিসাইড ছিটানো হয় ফগার মেশিনে। এতে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়, যা মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। করোনা আক্রান্তদের ঝুঁকি বিবেচনা করে ওষুধটি ছিটানো বন্ধ রাখা হয়েছে।

গতবছর সারাদেশে প্রকোপ বাড়ে ডেঙ্গুর। চট্টগ্রামেও আড়াই হাজারের অধিক ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। মারা গেছেন কয়েকজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন