রাজশাহীর মহিলা রিকশাচালক সুমি ক্রুসকে নিয়ে গতকাল একটি অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের। তিনি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে নির্দেশনা দেন তার পাশে দাঁড়ানোর। নির্দেশনা পেয়ে ডাবলু সরকার সুমিকে ব্যাটারিচালিত একটি নতুন রিকশা কিনে দেন। এ ছাড়া সুমির পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই।
সুমির দেশের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার পার্বন্নী গ্রামে। প্রায় ১৫ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। তারপর কোলের দুই সন্তানকে নিয়ে কিছুদিন বাবার বাড়িতে থাকেন সুমি। বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি হয়ে পড়েন আশ্রয়হীন। দুই সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন রাজশাহী। নগরীর পাঠারমোড় এলাকায় একটি দোকানের পাশে পলিথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে থাকেন। জীবিকার তাগিদে রিকশা চালান।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খুব প্রয়োজন ছাড়া সরকার সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করছে। ফলে রাস্তায় কমেছে যাত্রী সংখ্যা। গত তিনদিন ধরে সুমির রিকশার মালিককে দেয়ার ২০০ টাকাই তুলতে পারছিলেন না। তাকে নিয়ে রোববার স্থানীয় একটি অনলাইনে মানবিক সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই কপাল খোলে সুমির। অনেকেই তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক সুমিকে তার কার্যালয়ে ডাকেন। এ সময় তিনি সুমিকে তিন হাজার টাকা, একটি মশারি এবং বেশকিছু খাদ্যসামগ্রী দেন।
মানুষের এমন সহানুভূতিতে সুমি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, রাজশাহী শহরে আসার পর এই প্রথম এতো মানুষের ভালোবাসা পেলাম। দুনিয়ায় এখনও মানুষ আছেন, যারা মানুষের পাশে থাকেন। মানুষকে ভালোবাসেন। আজকে তার প্রমাণ পেলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন