করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে দেড় লক্ষাধিক বাংলাদেশি গৃহবন্দি জীবন যাপন করছে। গত শনিবার রাতে কাতারে ৫৭ বছর বয়সী একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভী বাজারে। গত ১৬ মার্চ তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এনিয়ে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ বাংলাদেশি মারা গেলো। কাতারে প্রবাসী কর্মীরা চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। কাতার থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
কাতারে এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের মতো মানুষের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের অন্তত ৪৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কাতার থেকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের জাজিরা গ্রামের প্রবাসী শাহ আলম অরুন জানান, কাতারের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দীর্ঘ এক বছর যাবত বহু কোম্পানীতেই কাজ নেই। ফলে বহু বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গৃহবন্দি হয়ে অনাহার অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছে।
জানা গেছে, কাতারে যেসব মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে তার বেশিরভাগ হলেন, অভিবাসী শ্রমিক। কাতার সরকার দেশটির বৃহত্তম একটি শিল্প এলাকা লকডাউন করে রেখেছে। গতকাল সোমবার বায়রার যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান কাতারে অবরুদ্ধ দেড় লক্ষাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের সর্ম্পকে বলেন, করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে মহান আল্লাহপাকের কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হবে। এছাড়া, স্থানীয় সরকারের বিধি বিধান মেনে চলাই এখন সবচেয়ে জরুরি। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী থেকে প্রায় এক কোটি প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন