শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ছুটি আরো বাড়তে পারে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ছুটি শেষ না হতেই এ ছুটি আরো কয়েকদিন বাড়তে পারে সরকারের মন্ত্রী এবং সচিবরা জানিয়েছেন। এছাড়া সরকারি অফিসপাড়ায় লোকজনের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাস হতে রক্ষায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর আগে ১৮ হতে ৩১ মার্চ এবং পরে তা বাড়িয়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নেয়া হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে একেবারে রোজা ও ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সচিব ইনকিলাবকে বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ডিসিদের সাথে কথা বলবেন। তার পরে হয়তো ছুটির বিষয় সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে সেজন্য ২ বা ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গত ২৩ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে জানান, ২৬ মার্চ থেকে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। ওইদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি, এর সঙ্গে ২৭-২৮ তারিখ সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। আর ২৯ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। ৩-৪ এপ্রিল আবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। তবে ওষুধের দোকান ও কাঁচাবাজার সব খোলা থাকবে। ছুটি ঘোষণার দিন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে ৩৩ জনের সংক্রমণ ও তিনজনের মৃত্যুর মধ্যে সরকারের শীর্ষ পর্যায় হতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

ছুটির বিষয়ে সরকারের একজন মন্ত্রী বলেন, ১০ দিনের ছুটি দিয়ে সরকার যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে আর একটু বাড়ালে হয়তো বিপজ্জনক সময়টা কেটে যাবে বলে মনে করছে সরকার। তবে ছুটি বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কারণ একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। সরকারের একজন সিনিয়র সচিব বলেন, ছুটির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সবার আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
মোঃ মোবারক হোসেন ৩০ মার্চ, ২০২০, ১০:৪৫ পিএম says : 1
আমাদের লাখো গার্মেন্ট শ্রমিকদের সামনে কি হবে সরকারের কাছে আকুল আবেদন মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দিন সকল মলিকদের,আপনার কাছে একটিই চাওয়া আপনাকে ধন্যবাদ,মানোনিয় সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।।
Total Reply(0)
Helal Ahmed ৩১ মার্চ, ২০২০, ১:১৯ এএম says : 0
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে এক অদৃশ্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবের সাথে এটা কি কেউ কল্পনা করেছিল।
Total Reply(0)
Mohammad Zahid Hossain ৩১ মার্চ, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
যা বুঝতেছি আগামী কয়েক মাসে এই অবস্হার কোন উন্নতি হবে না। কারন এই সমস্যা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ছড়িয়েছে। এখন চীন রোগ নির্মূল করলো কিন্তু অন্য দেশগুলোতে রোগ আছে। এ অবস্হায় চীনের পক্ষে সে সব দেশের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না। কারন তাহলে আবার ভাইরাস তাদের দেশে ঢুকে পড়বে। তাই পুরো বিশ্ব এই রোগ থেকে মুক্ত না হলে কখনোই আর আগের অবস্হায় ফিরে যাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। আর টীকা বের হতে বছর খানেক সময় লাগবে। এর মধ্যে এই ভাইরাসের কারনে কতজন মারা যাবে তা আল্লাহই জানেন। আর বিশ্ব অর্থনীতির অবস্হা কোথায় যাবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে আশার কথা হলো ম্যালেরিয়ার ঔষধ ক্লোরোকুইন এই রোগে নাকি ভালো কাজ দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তার ভাষণে। আর যদি কোন অলৌকিক উপায়ে ভাইরাসটি উধাও হয়ে যায় একটি সময় পরে তাহলে হয়তো দ্রুত সমাধান সম্ভব।
Total Reply(0)
Md Shariful Alam ৩১ মার্চ, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
সিঙ্গাপুর সরকার প্রতিটা কোম্পানিকে নোটিশ করেছে যারা ইতিমধ্যে ছুটিতে গেছে তাদের না আনার জন্য, যাদের নতুন কাজের ভিসা হইছে তাদের মেয়াদ বাড়িয়ে হোল্ড করে রাখার জন্য। আমারদের মতো ছোট কন্ট্রাক্টর দিন গুনছে কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে, অর্ধেক কোম্পানি পরে যাবে। এই ধকল কাটিয়ে উঠা অনেক কষ্টের। পুল্যান্ডের দোকানের মালিক মেইল করেছে আপাতত দোকান বন্ধ রাখার জন্য, ওনারা এইদিন গুলির ভাড়া নেবেনা। কিন্তু কয়েকমাস পর দোকান খুলার জন্য কর্মচারিতো পাওয়া যাবেনা আর এখন বসিয়ে বসিয়ে বেতনও দেয়া যাবেনা। পরিস্থিতি দিন কি দিন আরো খারাপ হচ্ছে
Total Reply(0)
Iftekharul Alam Parvez ৩১ মার্চ, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
আল্লাহ ই একমাত্র আমাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন ,
Total Reply(0)
Zahed Hossain Khan ৩১ মার্চ, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
Next 1 year ei virus thakbe..London imperial college er professor er comment..we're really sorry.
Total Reply(0)
Md Ashik Ansary ৩১ মার্চ, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
গার্মেন্টস মালিক রা তো "দিন আনে দিন খায়" অবস্থা না। বিজনেসম্যান রা এতো বছর ব্যাবসা করছে, প্রফিট করছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তাদের সামর্থ্য আছে অন্তত তিন মাস শ্রমিক দের স্যালারী দেঁয়ার। এই মুহূর্তে তাদের সামর্থ্য নাই মানে তারা তো সব টাকা বিদেশে পাচার করছে। এখন টাকা পাইবো কই?
Total Reply(0)
Shaikh Rafiqul Islam ৩১ মার্চ, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
আগে তো জানে বাচুক, তারপরে খাবার। দেশের ভেতর যা আছে, সুষম বন্টন করলে, ৩ মাস ইজিলি যাবে। সেনাবাহিনী থাকলে, এম্নিতেই সিস্টেম অটো ঠিক
Total Reply(0)
Md Riad Hosen ৩১ মার্চ, ২০২০, ৩:০১ পিএম says : 0
আশা করি সরকার দেশের সকল শ্রমিকদের জন্য।। একটা আশানুরূপ ঘোষনা দিবেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন