বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অপবাদ দিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে রাতের আধারে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২০, ১০:৩৬ পিএম

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এমন অপবাদ দিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা এক অসহায় নারীকে রাতের আধারে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তার স্বজনরা। 

নিরুপায় ওই নারী রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। রবিবার রাতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। স্বামী পরিত্যক্তা রেনিচ বেগম(৪০), উপজেলার ঊনিশ নম্বর গ্রামের নুর হোসেন হাওলাদারের মেয়ে।
 
জানা গেছে, রেনিচ বেগম গত চার/পাঁচ দিনে আগে ঢাকা থেকে রাঙ্গাবালীতে আসেন। এসে তার সৎ ভাই জসিম হাওলাদারের বাড়িতে যান। জসিম তার বাড়িতে যায়গা না দিয়ে এক ভাগিনার বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সেখানে কয়েকদিন কাটিয়েছেন রেনিচ। পরে রবিবার রাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এমন অপবাদ দিয়ে ভাগিনার বাড়ি থেকেও রেনিচকে বেড় করে দেয়া হয়। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে সে উপজেলার খালগোড়া বাজারে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, রেনিচ বেগম অনেকটা মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ , এ কারণে তার স্বজনরা তাকে গুরুত্ব দেয়না। গত রাতে তাকে অহেতুক করোনা ভাইরাসের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। সংবাদ পেয়ে সোমবার সকালে প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে নিয়ে যান। আসলে রেনিচকে বাড়ি থেকে নামানোর জন্যই এই মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গাবালী থানা অফিসার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ জানান, রেনিচ বেগম নামের ওই মহিলা রাস্তার পাশে আছে এমন খবর পেয়ে আমরা তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেই। পরে তার সৎ ভাই জসিম হাওলাদার আসেন। আমরা তার হেফাজতে রেনিচ বেগমকে দিয়েছি।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাশফাকুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনে আমি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসাকেন্দ্রে আনা হয়। সেখানে উপজেলার কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন তার শরীরে জ¦র,সর্দি,কাশি বা করোনার কোন লক্ষন নেই।খাওয়া,দাওয়া সঠিক ভাবে না হওয়ায় তার পেটে গ্যাসের সমস্যায় পেট ব্যাথার কারনে সে কিছুটা অসুস্থ হয়।পরিবারের লোকজনকে খবর দিয়ে রেনিচ বেগমকে তাদের হেফাজতে দেয়া হয়েছে,রেনিচ বেগমের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ঔষুধ কিনে দেয়া হয়েছে,এছাড়া তার ১০ দিনের খাবারের প্রয়োজনীয় চাল,ডাল সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সাঈদ, মুক্তিযোদ্ধা ৩১ মার্চ, ২০২০, ৬:৪২ এএম says : 0
This in inhumanity, they are not human being. Allah will take care of this lady and others.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন