লক্ষ্মীপুরে করোনায় সংকটের মধ্যেও বন্ধ হয়নি ইটভাটা, এতে করোনা ভাইরাস সংক্রামনের ঝুঁকিতে রয়েছে শতশত শ্রমিক। শ্রমিকদের সমাগম সৃষ্টির মাধ্যমে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ চলছে। ঋণগ্রস্থ শ্রমিকদের চাপ সৃষ্টি করে চালাচ্ছেন ইটভাটার কার্যক্রম।
জেলার সদর উপজেলা, রামগঞ্জ, রায়পুর, রামগতিসহ ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ নির্দেশনা অমান্য করে শ্রমিকদের সমাগম করে চালানো হচ্ছে ইটভাটা।
সরেজমিনে কয়েকটি ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, ইটভাটার মালিকরা গেইট বন্ধ করে দিয়ে ভাটার ভেতর শ্রমিকদের দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শতাধিক শ্রমিকের সমাগম করে চালানো হয় ইট তৈরির কাজ। সেখানে শ্রমিকদের মাঝে শারীরিক দূরত্ব ও নিরাপত্তা মাক্স বা স্যানেটাইজার ব্যবস্থা নেই।
স্থানীয়রা জানান, অধিক লাভের আশায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না ইটভাটার মালিকরা। ইট তৈরির কাজে আগেই ৬ মাসের অগ্রিম শ্রম কিনে নেন ভাটা মালিকরা। এজন্য মালিকদের কাছে জিম্মি শ্রমিকরাও। শ্রমিকদের টাকা ফেরত দেয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক কাজ আদায় করে নেন তারা। এদের মধ্যে শিশুশ্রমিকও রয়েছে। এসব বিষয়ে প্রশাাসন উদাসিন বলে জানান স্থানীয়রা।
ইটভাটা শ্রমিক সফিক মাঝি, রহমান গাজী জানান, ৬ মাসের জন্য ভাটা মালিকের কাছে বিক্রি হয়েছেন তারা। কাজ না করলে অগ্রিম টাকা ফেরত দিতে হবে। এতে মারধরসহ নির্যাতিত হতে হয় তাদের। এতেগুলো টাকা ফেরত দেয়ার সামর্থ নেই। তাছাড়া করোনা সম্পর্কে তাদের মালিক পক্ষ থেকেও কোন কিছু বলা হয়নি। তাই পেটের দায়ে কাজ করেন তারা।
আরবিএম বিক্স ইটভাটা মালিক আবদুর রহমানসহ তিনজন মালিক জানান, সরকারের নির্দেশনা থাকলেও বন্ধ করা সম্ভব নয়। এতে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এখন কাজ বন্ধ রাখলে ক্ষতির সম্মখিন হতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা ইটভাটায় ছড়াবে না।
জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে ইটভাটা বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনের নিতিমালা মেনে চলবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন