তুরস্ক করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্পেন ও ইতালির দিকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান করোনা মোকাবেলায় স্পেনে মেডিক্যাল সরঞ্জামসহ পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। করোনায় থাবায় ইউরোপের অন্যতম বিপর্যস্ত দেশ স্পেনকে সহায়তার কথা জানান এরদোগান । মন্ত্রী পরিষদের আলোচনা শেষে তিনি জানান, এই মেডিক্যাল সহায়তাটি আগামী বুধবার স্পেনে পৌঁছাবে। তুরস্ক ইতালিকেও সাহায্য করছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এছাড়া অন্যান্য দেশগুলোতে আমারা সাহায্য সরঞ্জাম পাঠিয়েছি। তুরস্কের রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে ইতালিতে আমরা একটি মেডিক্যাল সরবরাহের জাহাজও পাঠিয়েছি। তিনি আরো বলেন, তুরস্ক যতো শক্তিশালী হবে তার মিত্রদের প্রতি সাহায্যের হাতও তত বেশি বাড়াবে। এদিকে ইতালির রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল সরঞ্জাম রোমে পৌঁছায় টুইটার বার্তায় তুরস্ককে ধন্যবাদ দিয়ে জানিয়েছে। ডেইলি সাবাহ এ খবর জানিয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তহবিল সংগ্রহে সাত মাসের বেতন দান করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে ন্যাশনাল সলিডারিটি ক্যাম্পেইনেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ৩০ মার্চ সোমবার এ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবেই বেতন দান করলেন তিনি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এরদোগান বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার সাত মাসের বেতন দানের মাধ্যমে এই প্রচারণা শুরু করছি। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, এরদোগানের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দেশটির আইনপ্রণেতারাও ইতোমধ্যেই এ তহবিলে ৫ দশমিক ২ মিলিয়ন তার্কিশ লিরা দান করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ছয় কোটি ৭৪ লাখ আট হাজার ৯২ টাকা। এরদোগান বলেন, করোনা মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বাড়তি সহায়তা দেওয়াই এই কর্মস‚চির ম‚ল লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৮২৭। এর মধ্যে ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়েছে উঠেছে ১৬২ জন। ভাইরাসটির সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজধানী আঙ্কারায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাফে, বার ইত্যাদি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো বাতিল করা হয়েছে। এক শহর থেকে অন্য শহরে না যেতে নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একান্ত প্রয়োজনে যেতে হলে স্থানীয় গভর্নরের অনুমতি নিতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের জন্য পিকনিক স্পট, বনাঞ্চল ও প্রতœতাত্তি¡ক স্থাপনাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ডেইলি সাবাহ, আনাদোলু এজেন্সি, সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন