মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দিন যাচ্ছে দূর্ভোগ বাড়ছে

সরকারের বিভিন্ন ভাতার সুবিধাপ্রাপ্ত লোকজন ব্যাতীত স্বল্প আয়ের দিন মজুরদের

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

সারা দেশে করোনা পরবর্তী সরকারী নিষেধাজ্ঞার পরে পটুয়াখালী জেলায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শ্রমজীবি মানুষ সহ স্বল্প পুজির ব্যবসায়ীদের দৈনিক আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে দিনকাটাচ্ছে মানবেতর ভাবে।

সরকারের সুবিধা প্রাপ্ত ভিজিএফ,ভিজিডি,বয়স্কভাতা ,বিধবাভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্ত লোকজন ব্যাতীত ,সরকারের ফেয়ার কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে চাল, ব্যবস্থা সহ অসহায় দরিদ্রমানুষের জন্য চাল,ডাল ,তেল দেয়া হলে ও প্রতিদিন যারা রোজগার করে বিভিন্ন রকম কায়িক পরিশ্রম সহ স্বল্প পুজির মাধ্যমে ব্যবসা -বানিজ্য করে সেই শ্রেনীর লোকজনের জন্য কোন সুবিধা অদ্যাবধি প্রদান না করায় তাদের পরিবার গুলিতে দেখা দিয়েছে চরম অচল অবস্থা।
কথা হয় পটুয়াখালী শহরের ব্যায়মাগার মোড়ের সেলূন ব্যবসায়ী কার্তিক শীলের সাথে মোবাইল ফোনে তিনি জানান,৫ জনের সংসারে প্রতিদিন যেখানে তাকে রোজগার করে বাজার করতে হয় গত ১ সপ্তাহ পর্যন্ত সরকারের নির্দেশনায় দোকান বন্ধ রেখেছি ,এখন তো আর চলে না।চৈত্র মাস কোন দোকানে বাকীতে বাজার সদাই দিতে চায় না। বুঝি করোনার জন্য সতকর্তা হিসেবে সরকার দোকান বন্ধ রাখতে বলেছেন,মাস শেষে ২ হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে হয় সাথে রয়েছে ইলেকট্রিক বিল। আমাদের জন্য যদি কোন সহায়তা করা হতো তা হলে দোকান বন্ধ রাখলেও সমস্যা ছিল না। আমার বাড়ী ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের দূর্গাপূর এলাকায় এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ও কোন সহায়তা করা হয়নি।
একই অবস্থা পটুয়াখালীর কোস্টগার্ড এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী আ: আউয়ালের ,তিনি জানান,গত প্রায় ১ সপ্তাহ পর্যন্ত সব ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে তাদের । প্রতিদিন রোজগারের উপর সংসার সহ ছেলেদের পড়ালেখা চালান তিনি। ৫ জনের পরিবারকে নিয়ে এখন তার কষ্ঠ হচ্ছে খুবই ,ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অদ্যাবধি কোন সুবিধা তিনি পাননি।
পটুয়াখালী শহরের ব্যায়ামাগার মোড়ের কনফেকশনারী দোকানদার অনোয়ার জানান,মাসে সাড়ে ৬ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়,কয়দিন দোকান বন্ধ রেখে চলতে পারবো,কিছু সময়ের জন্য দোকান খুলি রাস্তায় লোক খুবই কম।বেচা-বিক্রি নাই বললেই চলে।এখন পর্যন্ত সরকারী কোন সাহায্য পাইনি ,সাহায্য সহযোগীতা পেলে দোকান বন্ধ রাখবো আমরা।
শেরেবাংলা রোডস্থ লন্ড্রির দোকানদার অনিল দাস জানান,গত ১ সপ্তাহ যাবৎ দোকান বন্ধ ৫ জনের পরিবার নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। বাড়ী পাংগাশিয়া গ্রামে কোন সরকারী সহায়তা অদ্যাবধি পাইনি।
সদর রোডের মুচির কাজ করেন রবি জানান,৫ জনের সংসার তার,১ সপ্তাহ পর্যন্ত দোকান বন্ধ রয়েছে,শুনেছি আরও সময় লাগবে দোকান খুলতে,কোন সাহায্য পাইনি ,পরিবার নিয়ে খুবই কষ্ঠে আছি।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো: মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান,প্রতিটি সেক্টরের তালিকা করা হচ্ছে। প্রত্যেককে সহায়তা করা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন