করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টানা ছুটিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে দেশের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল বোরো ধান উৎপাদনে। বর্তমান উঠতি বোরো মৌসুমে নিবিড় পর্যবেক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সেচ, সার ও বালাইনাশক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে উৎপাদন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কৃষি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বোরো ধানে ব্যবহৃত সার, জ্বালানি তেল এবং বালাইনাশক পরিবহন ও বিপণনে কোন বাঁধা নেই বলে জানিয়েছে। কিন্তু বিলম্বিত এ ঘোষণা চাষি ও কৃষি উপকরণ ব্যবসায়ীদের খুব একটা আশ্বস্ত করতে পারছে না এখনো। উপরন্তু যানবাহনের সঙ্কটও একটি বড় বাঁধা হয়ে উঠেছে। সুযোগ বুঝে অনেক এলাকায় ট্রাক ও ট্যাংকলড়ির ভাড়াও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকার কৃষি শ্রমিকরা ঘর থেকে নামছেন না। দেশের ৭০ ভাগ এলাকার সেচ ব্যবস্থা এখনো ডিজেল নির্ভর। ফলে আমাদের দেশের সেচ ব্যয় বিশ্বের যেকোন দেশের চেয়ে বেশি। যা মোট উৎপাদন ব্যয়ের প্রায় ৩০%-এর কাছে। দক্ষিণাঞ্চলে বিলম্বিত আবাদের কারণে বোরো পরিচর্যার এখন অত্যন্ত স্পর্ষকাতর সময়। কিন্তু টানা ছুটি ঘোষণার সাথে কৃষি উপকরণ পরিবহন ও বিপণনকে এর আওতামুক্ত ঘোষণা না করায় জটিলতা বেড়েছে। অপরদিকে সার ও বালাইনাশকের দোকান ছুটির আওতামুক্ত করার কথা প্রথমে বলা হয়নি। ফলে এসব ব্যবসায়ীরাও তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে নানামুখী বিরূপ পরিস্থিতিতে বোরো ধানের ভরা মৌসুমে কৃষকের দুঃশ্চিন্তা যথেষ্ট বেড়েছে ইতোমধ্যে। এ সময়ে বোরো ধানের নিবিড় পরিচর্যা জরুরি। চলতি রবি মৌসুমে দেশের ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের মাধ্যমে ২ কোটি ৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই আবাদ লক্ষ্য অর্জিতও হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন