ঢাকা থেকে শশুর বাড়িতে এসে হোম কোয়ারেন্টে না থাকাকে কেন্দ্র করে মহল্লাবাসীর সাথে সংঘর্ষে জামাইসহ ১৩ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ঢাকালে পট্রিতে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আহতরা হলো- তাসলিমা বেগম (৫০) তার ছেলে হাবিবুর রহমান হিরো (৩৫) জনি (২৫) ইমরান (২৮) গৃহবধু শারমিন (২২) চাঁদনী (২১) প্রতিবেশি হাসান (৩৫) রিন্টু (৩৩) সাবিতা (৩৫) শিশু তাসিফ (২) রাজিয়া সুলতানা (৪০) বাবু (২৮) এদের মধ্যে ৪ জনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত হাবিবুর রহমান হিরো জানান, আমাদের মহল্লায় ভাড়ায় বসবাসকারী রাজিয়া সুলতানা নামের এক মহিলার বাসায় তার জামাই মেয়ে এসেছে। মেয়েটা সর্দি কাশিতে আক্রান্ত। তাই মহল্লাবাসী ওই পরিবারকে করোনার ভয় পেয়ে তাদেরকে বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্ত তারা কোন ভাবেই কর্নপাত করছেন না। হিরো আরও জানান,বুধবার সকালে বরং জিদ করে বাড়ির বাইরে এসে জামাই নয়ন চলাফেরা করছিল। এ সময় তার মা তাসলিমা বেগম তাকে ঘরে থাকতে বললে বচসার একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মহল্লাবাসীদের অনেকে বলেন, ঢাকায় বসবাসকারী জামাই মেয়ে এসেছে। এরপর মেয়েটা শুনেছি সর্দি কাঁশি। যে কারনে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাসা থেকে তাদের বের হওয়াটা উচিৎ হয়নি। অপরদিকে এ ঘটনায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়াটাও দুঃখজনক।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জনি নামের একজন এ ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন