শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বেনাপোলে বাজারে চলছে আড্ডা : নেই মনিটরিং

বেনাপোল : | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভয়ংকর করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে নাগরিকদের ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা পাত্তা দিচ্ছে না বেনাপোলের মানুষ। ঘরে নিরাপদে অবস্থান না করে বরং প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনে হরহামেশাই বাইরে বের হচ্ছেন নাগরিকরা। ছুটি ঘোষণার প্রথম দুই-এক দিন লোকজন ঘরে থাকলেও এখন বাজার কেন্দ্রীক আগের মতোই বেড়েছে মানুষের আনাগোনা। শতশত ভ্যান রিকশা, থ্রী হুইলার, সিএনজি অটোরিকশা কিংবা প্রাইভেট কারের জটলাও সৃষ্টি হচ্ছে।

মানুষ করোনার ভয়াবহ ঝুঁকি বুঝতে না পারায় এমন আচরণ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বের বহু দেশ এভাবে প্রথমদিকে করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব না দিয়ে এখন তার পরিণতি ভোগ করছে। গনসচেতনতা সৃষ্টিতে বাজার মনিটরিং এ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সেনা ও পুলিশ থাকলেও বন্দরনগরী বেনাপোল বাজারে শতশত মানুষ ভিড় করছে। ফলে মারাত্মক ঝুকিতে রয়েছে বেনাপোল। বাড়িতে না থেকে তারা অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছে বাজারে। উঠতি বয়সের যুবকরা বিভিন্ন মোড়ে আড্ডা দিচ্ছে প্রকাশ্যে।

সচেতনতার আভাবে মাছ ,কাচা বাজারে ও নিত্য পন্যের দোকানে ব্যপক ভীড় থাকছে সারাদিনই। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখছে না কেউ। সড়কে চলছে টেম্পু, ইজিবাইক ও ইঞ্জিন চালিত ভ্যান। সকালে খোলা খাকছে চায়ের দোকান। সচেতন নাগরিকদের দাবী ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান জোরদার করলে কমবে জনসমাগম ও করোনা ঝুকি।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ করার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্বটা হলো নিজের বাসায় থাকা, ভিড়ে না যাওয়া, এক জন আরেক জনকে স্পর্শ না করা। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অন্যান্য দেশের মতো সরকার ২৬ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, পুলিশ সার্বক্ষনিক টহল দিচ্ছে বেনাপোলে। জনগন প্রশাসনকে সহযোগীতা না করলে কি ভাবে সম্ভব এসব বন্ধ করা। বাজার কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তারা বিষয়টি নজরদারি করবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন