শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ২ এপ্রিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৪৫ এএম | আপডেট : ৯:৫২ পিএম, ২ এপ্রিল, ২০২০

কাপাসিয়ায় ১১ ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রি বিতরণ
কাপাসিয়া (গাজীপুর)  সংবাদদাতা : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানী সরকার বিভাগের অর্থায়নে ও কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় কাপাসিয়া উপজেলার ১১ ইউনিয়ন  চেয়ারম্যানদের মাঝে জীবাণুনাশক স্প্রে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার,হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক সহ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে।
২ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার  বিকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে  করোনা প্রতিরোধ  সামগ্রী বিতরণ করা হয়।



এসব সামগ্রি বিতরণের সময় অন্যান্যের মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব  অ্যাডভোকেট  আমানত হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমত আরা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল রহমান জোয়ার্দ্দার,কাপাসিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ গাফফার, রায়েদ ইউপি চেয়ারম্যান হিরন মোল্লা, কড়িহাতা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম, সিংহশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আল আমীন,সাংবাদিক  নুরুল আমীন সিকদার,শাকিল হাসান, মজিবুর রহমান ও আকরাম হোসাইন হিরন প্রমুখ।

কেরানীগঞ্জে নয়শ’ কর্মহীন শ্রমজীব পরিবারের মাঝে পুলিশের খাদ্য সামগ্রী বিতরন    
কেরানীগঞ্জ(ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে নয়’শ কর্মহীন শ্রমজীবি পরিবারের মাঝে ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার(০২এপ্রিল) বিকেল ৪টায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জের  ইকুরিয়া বিআরটিএ মাঠে ও বিকেল ৫টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা পীএম পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে এই খাদ্য সমাগ্রী বিতরন করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি চাউল,  ১কেজি ডাল,২কেজি আলু,১কেজি পিঁয়াজ,১লিটার তৈল ও ১টি সাবান দেয়া হয়।

দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান জানান, তারা ছয়’শ কর্মহীন শ্রমজীবি পরিবারকে খুঁজে বের করে তাদের প্রতিটি পরিবারের হাতে প্রথমে একটি করে কার্ড দেয়া হয়। এসব কার্ডধারী পরিবারের লোকজনদের ইকুরিয়া বিআরটিএ মাঠে প্রবেশ করিয়ে তাদের সবাইকে সামাজিক দুরুত্বে বসানো হয়। পরে তাদের প্রত্যেকের হাতে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট পোঁছিয়ে দেয়া হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কেরানীগঞ্জ সার্কেল রামানন্দ সরকার, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আশিকুজ্জামান, ওসি অপারেশন আব্দুর রাশিদ প্রমুখ।অপরদিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, তারা ৩’শ কর্মহীন শ্রমজীবি পরিবারকে খুঁজে বের করে প্রতিটি পরিবারের হাতে ত্রান নেয়ার কার্ড দেয়া হয়। এই কার্ডধারীদের তারা জিনজিরা পী এম পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে প্রবেশ করিয়ে তাদের প্রত্যেকের হাতে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট  পৌঁছিয়ে দেয় হয়। তিনি আরো জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রামন প্রতিরোধে সরকার আগামী ৯এপ্রিল দেশব্যাপী বন্ধ ঘোষনা করেছেন। এতে অনেক শ্রমজীবি মানুস কর্মহীন হয়ে পড়ে।তাই তাদেরকে মানবিকভাবে কিছু সহায়তা করার জন্য ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই খাদ্য সামগ্রী দেয়া হলো। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কেরানীগঞ্জ সার্কেল রামানন্দ সরকার,কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ মাসুদ মিয়া ওসি অপারেশন আসাদুজ্জামান টিটু প্রমুখ।


হতদরিদ্র্যদের খাদ্য সামগ্রী দিল সাতক্ষীরা জেলা সমিতি
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকাস্থ ‘সাতক্ষীরা জেলা সমিতি’ এর  সভাপতি এম খলিলুল্লার নেতৃত্বে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঘরবন্দি সাতক্ষীরার আটটি থানার প্রায় ১৪শ’ কর্মবিমুখ অতি দরিদ্র্য পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য ১০ দিনের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ধাপে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ২ হাজারের বেশি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।  

এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এসএম আমজাদ হোসেনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম আর্থিক ও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন।   



প্রশাসন লকডাউন জারি করার পর থেকে সাতক্ষীরা জেলা সমিতির তরফে জেলার প্রতিটি থানায় ঘরবন্দি কর্মবিমুখ মানুষের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস্, হ্যান্ড সেনিটাইজার, সাবান ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ পর্যন্ত ২০ হাজারের অধিক মানুষের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস্, হ্যান্ড  সেনিটাইজার ও সাবান বিতরণ করা হয়েছে।

মীর মোস্তাক আহেেমদ রবি বলেন, বিশ্ব এখন ক্রান্তিকাল পার করছে। আমরাও এর থেকে বাইরে নই। আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ- কর্মবিমুখ মানুষের খাদ্যের অভাব, নিত্য পণ্যের অভাব এবং সকলকে ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা এগুলো বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। খাবার সরবরাহ সহ সচেতনতামূলক সকল কাজের জন্য তিনি জেলা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সংঘঠনটিকে সাধুবাদ জানান। সরকারের পাশাপাশি তিনি সকল সংঘঠন, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।    

এম খলিলুল্লাহ ঝড়– বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত হলো দিন আনে দিন খাওয়া মানুষ। তাদেরকে সহযোগিতা করা খুবই জরুরি। খাদ্য সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য যদি আমরা সরবারহ না করতে পারি তাহলে তাদেরকে আমরা ঘরে রাখতে পারবো না। সেটা না পারলে ঝুকি আমাদের সকলের। একাজে তিনি সমাজের বিত্তশীলদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

২০০ বেদে পরিবারও পেল খাদ্য সামগ্রী
চট্টগ্রাম ব্যুরো : করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন ২০০ বেদে পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে। প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসব ত্রাণ সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ২০০ বেদে পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ সময়ে চট্টগ্রামে একজন মানুষও অভুক্ত থাকবেন না। দিনমজুরসহ নি¤œ আয়ের মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে ত্রাণ দেবো।

মির্জাপুরে ঘরে থাকা পরিবারে কুমুদিনীর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
মির্জাপুর(টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঘরে থাকা ৭শ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে  কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লিমিটেডে।
বৃহস্পতিবার পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড  (৭,৮ ও ৯)নম্বরের বাসিন্দাদের মধ্যে  এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।


কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহাও এসব পরিবারের সদস্যদের মাঝে খাদ্য তুলে দেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক মহাবীর প্রতীক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র চন্দনা দে, কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার অনিমেষ ভৌমিক, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কুমুদিনীর পক্ষ থেকে মির্জাপুর পৌর এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।


ফরিদপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে ৫শত দরিদ্র পরিবারের  মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া দুঃস্থ,দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় শহরের হাবেলী গোপালপুরে ৫শত দরিদ্র পরিবারের  মাঝে খাদ্য বিতরন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ। এ সময় আফজাল হোসেন খান পলাশ বলেন, করোনা ভাইরাস সংকটে মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পড়েছে এই দুর্দিনে দরিদ্র মানুষের মাঝে আমাদের স্বার্মথ অনুয়ায়ী এই খাদ্য বিতরন তাদের কিছুটা কষ্ট লাঘব করবে। তিনি বলেন, যুবদল অতিতের যে কোন সংকটে মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছে।

দরিদ্র মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকেছে। এখন ধর্য্য ও সহনশীলতার মধ্যে দিয়ে আমাদের এই মহা দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে।  তিনি বলেন,করোনা ভাইরাস সংকট এর এই দুর্দিনে মানুষের জন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পাচঁ শত পরিবারের মাঝে দেয়া খাদ্য সামগ্রী মধ্যে ছিল চাউল,ডাউল,তৈল,পিয়াজ,আলু ও সাবান। এই খাদ্য বিতরনের সময় ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ রাজিব হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন, সহ-সভাপতি কেএম জাফর, মোঃ আরমান হোসেন, দিদারুল মাহমুদ খান টিটো,মোঃ ওমর ফারুক,খন্দকার ওমর ফারুক রাজু, মাইদুল ইসলাম কাকন,জব্বার জমাদ্দার,হেমায়েত হোসেন হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুর রহমার শহিদ,যুগ্ন-সম্পাদক শামিমুল হক তালুকদার,আতিকুজ্জামান মিঠু,মোঃ নুরুল আলম,শহিদুল ইসলাম হৃদয়,সহ-সাধারন সম্পাদক নাসির খান,প্রচার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সেন্টুসহ জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

কলাপাড়ায় কর্মহীন হয়ে পরা শতাধিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পরা শতাধীক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার মহিপুর থানার ওসি মো.মনিরুজ্জামেনের নেতৃত্বে কর্মহীন ও হতদরিদ্র ওইসব পরিবারের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন। এসময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওসি বলেন, এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউন থাকায় এ থানার নিন্ম আয়ের মানুষ বেকার হয়ে পরেছে। তাই নিজ উদ্যোগে অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে চাল, ডাল, আলু, লবন, তেল, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি পারিবারের হতে তুলে দেয়া হয়েছে।

গত তিন দিন ধরে পুলিশ সদস্যরা মহিপুর থানার নজিবপুর, মনোহাপুর, সুধিরপুর, ইউসুবপুর, মোয়জ্জেমপুর ও নিজামপুর গ্রামের বেরিবাধের বাইরে থাকা শতাধীক দু:স্থ মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ খাদ্য সয়ায়তা তুলে দেয়া হয়। এসময় তিনি সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও  ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানান।

নবীনগরে অসহায় মানুষের  পাশে যুবলীগ নেতা আলামিন
স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আলামিনুল হক আলামিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার অসংখ্য  দিনমজুরের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছিয়েছেন তিনি। গত কয়েক দিন যাবত নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার  মানুষ খুজে খুঁজে  জন প্রতি চাল ডাল  তৈল পিয়াজ আলু সাবান মাক্স  অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন।


যুবলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আলামিন  জানান, বর্তমানে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্ব আজ কঠিন সময় পার করছে। সব জায়গার মতো নবীনগরে ও লক ডাউন হওয়ায় দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে নামতে পারছেন না। এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের সবার উচিৎ যার যার অবস্থান থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
যতদিন এই করোনা ভাইরাস থেকে আমরা সম্পূর্ণ মুক্ত হতে না পারবো ততদিন এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

ক্ষুধার্ত দিনমুজরদের মাঝে অলিপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নিজ অর্থের খাদ্য বিতরণ
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : ক্ষুধার্ত দিনমুজরদের মাঝে নিজ অর্থের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন সাতক্ষীরার অলিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ। বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ঘুরে ৩০০ পরিবারে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।
খাদ্য বিতরণের সময় ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, করোনা মরণ ব্যধি ভাইরাস। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা আবিস্কার হয়নি। সংক্রমিত হলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই, আপনারা সচেতন হবেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি চলবেন। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসবেন না। সর্দি- কাশি, জ্বর বা যেকোনো ধরণের শারিরীক সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। গুজবে কান দেবেন না। আতংকিত না হয়ে সতর্ক হবেন।  


ইউনিয়নবাসীকে যেকোনো প্রয়োজনে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, এলাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যক্তি হিসেবে আপনাদের পাশে ইতোপূর্বে ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।
এসময় চেয়ারম্যানের সাথে নয়টি ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মাহমুদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিব, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান বেলাল, ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন তুহিন, রেজাউল ইসলাম, আবুবকর ছিদ্দিক প্রমুখ।
খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো পরিবার প্রতি ৮ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ৩ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি লবণ, ৩০০ গ্রাম রসুন ও ১ টা সাবান।

ফরিদপুরে করিম গ্রুপের পক্ষ থেকে দেড়শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের সদর উপজেলার চর আদমপুরে করোনা ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবে খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের দেড়শত পরিবারের মাঝে করিম গ্রুপের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।   
বৃহস্পতিবার বিকালে করিম গ্রপের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মিয়ার গ্রামের বাড়ি উপজেলার চর আদমপুরে তার পক্ষ থেকে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়।


বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মুরাদ মিয়া, ফারুক মিয়া, তুহিন মিয়া, মনজেল শেখ, কামাল, ইউনুছ, হাসান প্রমুখ।
এসময় গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার প্রতি পাচঁ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, আলু, তেল ও লবন বিতরন করা হয়। #

টাঙ্গাইলে বিএসইও-এর উদ্যোগে কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সোশ্যাল ইমপাওয়ারম্যান্ট অর্গানাইজেশন (বিএসইও) এর উদ্যোগে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় ঘরে থাকা কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।


এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোশ্যাল ইমপাওয়ারম্যান্ট অর্গানাইজেশন (বিএসইও) এর সভাপতি মাছুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব সজীব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল রায়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন দাস, দপ্তর সম্পাদক নাঈম ইসলাম বাবু, সদস্য আব্দুর রহমান সানি, রাব্বি ইসলাম, প্রসেনজিৎ, সায়েমসহ অনান্যরা।
শতাধিক কর্মহীন মানুষের মাঝে সহায়তা হিসেবে প্রতিটি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, দেড় কেজি আলু, ১ কেজি লবন, হাফ কেজি য়োজ, হাফ কেজি রশুন, হাফ লিটার তেল, কালিজিরা ও বল সাবান দেওয়া হয়।

সুন্দরগঞ্জে আ’লীগ নেতার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আ’লীগ নেতা খয়বর হোসেন মওলার উদ্যোগে করোনা থেকে রক্ষা পেতে  কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে ।


বৃহস্পতিবার(২ এপ্রিল) বিকেলে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মটর, হোটেল, রিক্সা, নাপিত,  হরিজনসহ এক হাজার  শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতিজনকে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, লবন, সাবান, মসুর ডাল দেয়া হয়েছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নাদী বাচাও মানুষ বাচাও আন্দোলনের নেতা সাদেকুল ইসলাম দুলাল, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি পবিত্র কুমার, আ’লীগ নেতা গোলাম মর্তুজা টুকু প্রমূখ।

তিন হাজার পরিবারের হাতে প্রয়োজনীয় খাবার ও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দিলেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার : প্রাণঘাতি বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দুস্থ এবং অসহায়  মানুষেরা। তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একইভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন গত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়ার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। নিয়মিত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর তিনটি এলাকায় খাবার সামগ্রী এবং সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ  করেছেন তিনি। বিকেলে রাজধানীর টিপু সুলতান রোড এলাকায় ঘুরে ঘুরে সেখানকার অসহায় প্রায় বার'শ পরিবারের হাতে তুলে দেন এসব সহায়তা। প্রত্যেকের হাতেই কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ দিনের জন্য খাবার সামগ্রী দেয়া হয় বলে জানানো হয় তার ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেইজে।



ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক প্রথমে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৮ নং ওর্য়াড এর এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি। এরপর ত্রাণ দেন রাজধানীর বলধা র্গাডেন এলাকায় সুইপার কলোনীতে। এসময় সে এলাকার বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলিকে সাথে নিয়ে কলোনির প্রায় ৬৫০ পরিবারের হাতে তুলে দেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। সেখান থেকে যাত্রাবাড়ি এলাকার বিএনপির নেতা  নবিউল্লাহ নবিকে সাথে নিয়ে সেই এলাকার কমপক্ষে দেড় হাজার দুস্থ পরিবাবের হাতে তুলে দেন খাবার ও সুরক্ষা সামগ্রী।

বিতরণ করা ত্রাণের মধ্যে রয়েছে- চাল, ডাল, তেল,আলু, মুড়ি, টোস্ট বিস্কুট, সাবান, স্যাভলোন, মাস্ক ওবং হ্যান্ড গ্লাভস উল্লেখযোগ্য। আর এ ব্যবস্থাপনা চলছে তার মরহুম বাবা ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে। যতদিন পর্যন্ত না স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে ততদিন পর্যন্ত তার এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি নগরবাসীকে করোনা মোকাবেলায় ভয় না পেয়ে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। সেইসাথে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারা দেশের প্রত্যকটি বিত্তবানকে দুস্থ-অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক। পরে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন রাস্তায় স্প্রে করেন

মতলবে করোনায় কর্মহীন ৫শ’ পরিবারকে মুইয়্যার খাদ্য সহায়তা
মতলব উত্তর (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুরের মতলব উত্তর ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড আর্কিটেক্টস এসোসিয়েশন (মুইয়্যা) কতৃক করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন অসহায় ৫শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ছেংগারচর বাজার থেকে উপজেলা ছেংগারচর পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন মুইয়্যার সভাপতি ইঞ্জি. এনামুল হক থান সুমন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মো. আরিফ হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জি. আরিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জি. ইমরান, সহ-প্রচার সম্পাদক ইঞ্জি. ইমরান, গৃহায়ন সম্পাদক ইঞ্জি. ইয়াজ উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জি. কামরুজ্জামান, সদস্য ইঞ্জি. আলাউদ্দিন, জাকির ও সমাজসেবক মাইন উদ্দিন চৌধুরী।
মতলব উত্তর ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড আর্কিটেক্টস এসোসিয়েশন (মুইয়্যা) সভাপতি ইঞ্জি. এনামুল হক থান সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মো. আরিফ হোসেন খান বলেছেন, ছেংগারচর বাজার হইতে ইউনিয়ন ভিত্তিক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সমাগ্রী হলো- চাল ৫ কেজি, তেল ১ কেজি, আটা ২ কেজি, আলু ৩ কেজি, ডাল ১ কেজি।

করোনা প্রতিরোধে পটুয়াখালী বিসিক শিল্প নগরীর শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরন ।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে পটুয়াখালী বিসিক শিল্প নগরীর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া কলকারখানার কর্মহীন শ্রমিকদের মধ্যে আজ খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো: মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
বিসকি শিল্প নগরীর বায়োজন ফার্মার অনুদানে ত্রান বিতরন কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতী,বিসিক শিল্প নগরীর পটুয়াখালীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক কাজী তোফাজ্জেল হক,বায়োজেন ফার্মার পরিচালক মো: আল আমীন।

বান্দরবানে নিম্ন আয়ের পাহাড়ী-বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া কাজ অব্যাহত
বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোর্টার : করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ও নিষেধাজ্ঞার ৯ম দিনেও বান্দরবানে পুরো জেলার মানুষ ঘর আবদ্ধ। এতে খাদ্য সংকটে হিমশিম হাচ্ছে অসহায়, দরিদ্র, শ্রমজীবি ও নি¤œ আয়ের মানুষ। খাদ্য সংকট মূখে পাহাড়ের দূর্গমাঞ্চলের পল্লী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষেরাও। এসব মানুষের খাদ্য সংকট নিরসনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য ও মানবিক সহায়তা এসব নি¤œ আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে পোঁছে দেয়া দিচ্ছে পার্বত্য জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন।


এছাড়াও বৃহস্পতিবার পার্বত্য মন্ত্রীর পুত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উসিংহাই রবিন বাহাদুরের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দূর্গম পাহাড়ের বসবাসরত বিভিন্ন পরøীর প্রতিটি পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্যশস্য পোঁছে দেয়ার কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাশ, চিং ইয়াং ¤্রাে, ক্য সা প্রু, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান য়ই সা প্রু মারমা, সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বিভিন্ন দূর্গম পাহাড়ী পল্লীর ঘরে ঘরে প্যাকেট করে ১০কেজি চাউল, ৫’শ গ্রাম করে তেল ও ডালসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পোঁছে দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলার দুই পৌরসভা ও ৭টি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০টি নিম্ন আয়ের পরিবারের ঘরে ঘরে জেলা খাদ্যসামগ্রী পোঁছে দেওয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ২৫হাজার
নি¤œ আয়ের পরিবারকে খাদ্যশস্য প্রদান করা হয়েছে এবং এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ী পল্লী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আদি পদ্ধতিতে পল্লীর প্রবেশদ্বার বন্ধ করে রেখেছে ক্ষৃদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
এছাড়াও সেনা বাহিনী জেলার নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে সচেতনতা সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছে।

সুন্দরগঞ্জে পিকাপ ভ্যানে কর্মহীনদের মাঝে এমপি শামীমের চাল বিতরণ
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন হয়ে পড়া অটোবাইক, ভ্যান ও রিক্সা চালকদের মাঝে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর বিভাগ) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চাল বিতরণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এক হাজার লোকের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়। আগের দিন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের দেওডোবা, হাসানগঞ্জ, পল্লীবন্ধু এরশাদ হাসপাতাল মাঠ, ব্রীজ মোড় ও হিরো বাজারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পিকাপ ভ্যানযোগে এক হাজার লোককে এ চাল দেয়া হয়েছে।

এমপির প্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা কর্মীরা চাল বিতরণ করছেন। এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন হয়ে পরেছে অনেক পেশার মানুষ। আপাততঃ  শ্রমজীবী কর্মহীন অটোবাইক, ভ্যান ও রিক্সা চালকদের চাল সহায়তা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে এক হাজার করে কর্মহীন হিসেবে ১৫ ইউনিয়নে ১৫ হাজার লোককে চাল সহায়তা দেয়া হবে। তবে বেশি হলেও সমস্যা নেই। কর্মহীন সবাইকেই পর্যায়ক্রমে এ সহায়তা দেয়া হবে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চাল বিতরণ করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে সহযোগীতার হাত বাড়াতে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

 

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ২‘শ ৪৭ ভিক্ষুকের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা
বাগেরহাট সংবাদদাতা : বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ২‘শ ৪৭ ভিক্ষুকের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যেও বিভিন্ন ভিক্ষুকের বাড়িতে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল ইসলাম। এসময় কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিদ দেবনাথ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শহিদুল্লাহ, গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আবুবকর সিদ্দিকসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
ভিক্ষুকরা জানান, কয়েকদিন ধরে বাড়ি থেকে বের হেতে পারছিলাম না। খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছিল। সকালে স্যারেরা চাল, ডাল, তেল, লবন ও পেঁয়াজ এবং সাবান দিয়ে গেছেন। কয়েকদিন ভালভাবে খেতে পারব।এধরণের পরিস্থিতিতে সরকারের এমন উদ্যোগে খুশি হয়েছেন ভিক্ষুকরা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন দূর্যোগের সময় সব থেকে বেশি সমস্যার মধ্যে পরে। সেই বিষয় বিবেচনা করে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনী পন্যের সহযোগিতা দিয়ে তাদেরকে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছেন। সেই অংশ হিসেবে আমরা কচুয়া উপজেলার ২‘শ ৪৭ পরিবারকে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পরে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে ভিক্ষুকদের বুঝিয়ে বলেন এবং বাইরে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

দিনাজপুরে তৃতীয় লিঙ্গ ও রবিদাস সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন
দিনাজপুর অফিস : দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে ঘরবন্দি মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির সহযোগিতায় দিনাজপুরে তৃতীয় লিঙ্গ ও  রবিদাস সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।


আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের বন্ধন কমিউনিটি সেন্টার, ঢিপিপাড়া, হিজড়াপল্লীসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য চাল, ডাল, তেল, সাবানসহ খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন দিনাজপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শফিকুল হক ছুটু ও দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চিত্ত ঘোষসহ অন্যান্যরা। শহরের দক্ষিন উপকন্ঠে হিজড়া পল্লীর সদস্যদের খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়েছে। এ সময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারও বিতরন করা হয়।

লক্ষ্মীপুরে সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত  ৬শ’ মেট্রিক টন চালসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরন
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মেনে বাড়িতে অবস্থান করায় নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যহত হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিল থেকে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে জেলার ৫টি উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ত্রাণের ৭২ মেট্রিক টন চাল ও ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।


প্রাথমিকভাবে প্রতিটি পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, ৫০০ গ্রাম সরিষার তেল ও একটি সাবান দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সরকারী এসব সামগ্রী প্যাকিং করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে দরিদ্র পরিবার গুলোর তালিকা অনুযায়ী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংঘটনের পক্ষথেকেও ত্রান সামগ্রী বিতরন অব্যহত রয়েছে।

হতদরিদ্র পরিবার গুলোর খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেই সরকারের এমন কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল,পুলিশ সুপার ড. এএইচ এম কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যন মোঃ শাহাজান, পৌর মেয়র আবু তাহের, উপজেলা চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন টিপু, জেলা আ"লীগের সাঃ সম্পাদক এ্যাড,নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংঘটন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ পৃথক পৃথক ভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরন অব্যহত রেখেছেন।

জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুর জেলার সার্বিক পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে। এই দুর্যোগে মানবিক সহায়তা হিসেবে জেলার হতদরিদ্র পরিবার গুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

কক্সবাজারে ১৫ হাজার পরিবারে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে
বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার : কক্সবাজারে করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মজীবী হাজার-হাজার মানুষ কর্মক্ষম হয়ে পড়েছে। রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, সিএনজি-টমটম চালক ও কর্মজীবী খেটে খাওয়া মানুষগুলো প্রচন্ড খাদ্য সংকটে ভুগছেন।

এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাদ্যমত প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে তাদের ঘরে ঘরে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন