কোয়ারেন্টিন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য আজ বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর বুধবার এ সংবাদ প্রচারের পর থেকে কক্সবাজারের রাস্তা-ঘাটে থেমেগেছে বিক্ষিপ্ত চলাচলকারীদের চলাচলও।
সেনাবাহিনী দেশের সকল স্থানে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করছেন। সরকারের দেয়া নির্দেশাবলী অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।
এ খবরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পূর্ণ ফাঁকা দেখা যায় কক্সবাজার শহর। গতকালও ছোটখাটো কিছু যানবাহন যেমন টমটম, ইজিবাইক, অটোরিক্সা চলাচল করছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকে সেগুলোও তেমন চলছে না। গতদিনের মতো মানুষজনও নেই বললে চলে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকালে পর্যটন শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে হলিডে মোড় হয়ে বাজারঘাটা ঘুরে ফাঁকাচিত্র দেখা গেছে।
মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রিত করতে শহরের বিভিন্ন স্পটে রয়েছে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার দেখলেই থামাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। জানতে চাচ্ছেন কেন বের হয়েছেন, কোথায় যাচ্ছেন?
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নেই আগের সেই কোলাহল। চারিদিকে নিরব-নিস্তব্ধতা। করোনায় বদলে গেছে চিরচেনা যানজটের শহর কক্সবাজার।
করোনায় সব ফাঁকা করে দিল। ঘরেঘরে আতংক। মুখেমুখে মাস্ক। বন্ধ দোকানপাট। অফিস আদালতে গুলোও চলে না। শহরের আড়াইশতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ লকডাউন অবস্থায়। এতে বেকার হয়ে পড়েছে মালিক শ্রমিকরা।
শুধু মূল সড়ক নয়, উপসড়কগুলো আটকে দেয়া হয়েছে। যাতে ওখান দিয়েও কোন যানবাহন চলাচল করতে না পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন