বাগেরহাটের চিতরমালীতের গৃহবধূ ইতি বেগম হত্যা মামলায় সানজিদা বেগম এবং শারমিন বেগম নামের দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীররাতে চিতলমারী থানা পুলিশ উপজেলার কুনিয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
এদের মধ্যে সানজিদা বেগম ইতি বেগমের ভাসুর হাফিজুর ইসলামের স্ত্রী। শারমিন বেগম ইতি বেগমের শ^শুর কুনিয়া গ্রামের সদর আলী মীরের মেয়ে। গ্রেফতারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে বুধবার রাতে ইতি বেগমের মা পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার আলালকাঠি গ্রামের লাইলি বেগম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামী করে চিতলমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় সদর আলী মীরের বাড়িতে জবাই করে হত্যা করা হয় ইতি বেগমকে। পরে বুধবার দুপুরে ওই বাড়ি থেকে ইতি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে চিতলমারী থানা পুলিশ।
এর আগে সোমবার দুপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে সদর আলী মীরের বাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয় দূবৃত্তরা। ওই বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকারা মালামাল লুটে নেয় হামলাকারীরা। হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সানজিদা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে চিতলমারী থানায় ১৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ওই মামলায় এখন পর্যন্ত কোন কেউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারেক বলেন, নিহত ইতি বেগমের মায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করেছি। এজাহার নামীয় অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন