নওগাঁর পত্নীতলা এবং আত্রাই উপজেলায় পৃথক দুটি ঘটনায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত ও ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দুই উপজেলার পৃথক স্থানে এ দুই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, পত্নীতলা উপজেলার বালুখা এলাকার মৃত রফাতউল্লাহের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৮) এবং আত্রাই উপজেলার ভর তেতুঁলিয়া গ্রামের মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিন্টু ওরফে শিকদার (৩৬)।
নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম জানান, আত্রাই উপজেলায় মিনহাজুল ইসলাম সিকদারকে গত রাতে জামগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ভোর রাতে উপজেলার তিলাবাদুরী গ্রামের অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে তার সহযোগিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর গুলি চালালে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় ও পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ ৪ সদস্য আহত হয়। আহতরা হলেন, এস, আই মোস্তাফিজুর রহমান, এ, এস, আই মাহবুব, কনষ্টেবল হালিম ও ফরিদ। এদেরকে আত্রাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন ও চারটি তাজা গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। অপরদিকে, জেলার পত্নীতলার উপজেলার দিবরদিঘী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যনুযায়ী পুলিশ বৃহষ্পতিবার ভোর রাতে মাদক উদ্ধার করতেগেলে তার সহযোগিরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে জাহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুটারগান, গুলি, হাসুয়া, ৯৮৫ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আরও জানান, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মিনহাজুল ইসলাম সিকদার ৪ হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও পত্নীতলা উপজেলার জাহিদুল ইসলাম ১২ মাদক মামলাসহ সরকারি কাজে বাধা ও বিভিন্ন মামলার আসামি বলে জানান তিনি। পৃথক ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন