শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভ্যানে সবজি বিক্রয় সরব ফেরিওয়ালারা

রেজাউল করিম রাজু : | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

‘এইযে স্বব্জি তরকারি লিবেন’ পাড়া মহল্লার অলি গলিতে এমনই হাঁক ডাক। করোনা ভাইরাস ছুটিতে মানুষ ঘরে। যানবাহন প্রায় বন্ধ। রয়েছে সতর্কতামুলক বিধিনিষেধ। মানুষের নিত্যদিনের চাহিদা পূরনে টাটকা শাক-সবজি ভ্যানে নিয়ে সবজি ফেরিওয়ালা এখন আরো দারুন ভূমিকা পালন করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজের ও অন্যদের প্রয়োজন মেটাতে কাকডাকা ভোরে পাইকারি বাজার এসে লাউ কুমড়ো পটল শশা করল্লাসহ বিভিন্ন রকমের শাক সবজি ভ্যানে সাজিয়ে নিয়ে ছুটছে। আগের চেয়ে এদের সংখ্যা বেড়েছে। বাজারে যাবার ঝামেলা এড়াতে মানুষ দোড়গোড়ায় এসব কেনাকাটা করছে। বাড়ির গিন্নীরাও হাতের নাগালে পছন্দের সবজি কিনছেন। পরিবারের সদস্যদের দিচ্ছেন টাটকা শাক সবজির স্বাদ। অনেক গৃহিনীর মন্তব্য অন্তত ফ্রীজে রাখা শাক সবজির চেয়ে এসবের স্বাদই আলাদা। এখন আর সপ্তাহের বাজার করার দরকার নেই। রোজ কিনবো রোজ খাব। গতকাল সকালে রাজশাহীর কাঁচামালের পাইকারি বাজারের সামনে সোনাদিঘীর মোড়ে লাইন দিয়ে ভ্যানগুলোকে শাক সবজির পসরা সাজাতে দেখা যায়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল, বাজারের শাকস্বব্জির দামের সাথে ভ্যানওয়ালাদের দামের ফারাক খুব একটা বেশি না। তাছাড়া এখন মাঠে মাঠে প্রচুর শাক সবজি কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা কম। এখানকার উৎপাদিত শাকসবজি রাজধানীসহ বিভিন্নস্থানে চালান হয়। এখন তা প্রায় বন্ধ। এনিয়ে বিপাকে রয়েছে আবাদকারিরা। স্থানীয় বাজারে যা কিছু আসছে খুব কমদামে এসব পণ্য বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। শহরের বাজারে পটল করল্লা শশাসহ বিভিন্ন শাক সবজির দাম কেজিপ্রতি ত্রিশ চল্লিশ টাকার মধ্যে রয়েছে। একটা বড় লাউ কুমড়ো বিক্রি হচ্ছে পনের বিশ টাকায়। কোন শাকের কেজি কুড়ি টাকার বেশি নয়। পেয়াজের ঝাঁজ একেবারে কমে কেজিপ্রতি কুড়ি টাকায় নেমেছে। শহরের বাজারে যখন এমন দাম তখন সহজেই অনুমেয় উৎপাদক পর্যায়ে দামের কি অবস্থা। ক্রেতার অভাবে লাউ কুমড়োগুলোর বয়স বাড়ছে। মাচাতে ঝুলছে। পটল করল্লা পেকে নষ্ট হবার উপক্রম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন