মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘কাজ নেই, লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে পারছি না’

শ্রমজীবীরা মহাবিপদে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসে বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। মারা গেছেন ৬ জন। বাকি ৫০ জনের মধ্যে ২৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং ২৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে শহরের রাস্তাঘাট, অলি-গলিতে কমে গেছে জনসমাগম। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহনে যাত্রী চলাচল। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে দোকানপাট ও মার্কেট। বন্ধ রয়েছে টং দোকান, যা নিম্ন আয়ের মানুষের নাস্তার কেন্দ্র। হোটেল রেস্টুরেন্টের মধ্যে কয়েকটি খোলা থাকলেও বলা হচ্ছে পার্সেল সার্ভিসের জন্য। এমনতাবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষেরা। তাদের হাতে টাকা নেই, কাজ নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, স্বামীবাগ, শনির আখড়া, মতিঝিল, দৈনিকবাংলা, পল্টন, কাকরাইল, নয়াপল্টন, মৌচাক এলাকা ঘুরে দেখা যায় রাস্তা ফাঁকা। কিছু মানুষ রাস্তায় বের হয়েছে; তাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ সময় কয়েকজন শ্রমজীবীর সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, কাজ বন্ধ। সামাজিক কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে পারছি না, কাজ করারও উপায় নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাজধানী সুপার মার্কেট, আয়শা সুপার মার্কেট, আবেদীন মার্কেট, ফরচুন শিপিং মল, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, ইস্টার্ন প্লাস, গাজী ভবন শপিং সেন্টার, পলওয়েল সুপার মার্কেট বন্ধ রয়েছে। এসব মার্কেটের কোল ঘেঁষে থাকা টং দোকানগুলোও বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় শুধু সেনাবাহিনী ও পুলিশি টহল চোখে পড়ছে। পথচারীদের অবাধ চলাচল নেই। গণপরিবহন আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে। তবে হাতেগোনা দু’একটি ব্যক্তিগত গাড়ি চোখে পড়ছে। বিশেষ প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষগুলোর একমাত্র বাহন এখন রিকশা। লোকসমাগম কম থাকায় রাস্তায় রিকশাও কম দেখা গেছে। তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। কারণে যারাই বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেককেই মাস্ক এবং হ্যান্ড গøাভস ব্যবহার করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে আগের মতোই। তবে ক্রেতার উপস্থিতি কম। কমেছে বিক্রির পরিমাণ।

এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। তাদের হাতে নেই কোনো টাকা, পাচ্ছেন না কোনো কাজ।
যাত্রাবাড়িতে পান বিক্রি করেন আনোয়ার। বললেন, সব বন্ধ। পুঁজি ভেঙে খাচ্ছি। শনিরআখড়ায় গাড়া মালের দোকান করে মো. মনির হোসেন। বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন দোকান খুলতে পারছি না। খুলতে গেলেই পুলিশ এসে বন্ধ করে দেয়। মানসম্মানের কারণে দোকান খুলতে পারছি না। হাতে টাকা নেই, পরিবারের চাহিদা প‚রণ করতে পারছি না। সামাজিক মান-সম্মানের কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে সহায়তাও নিতে পারছি না। একই কথা জানান সবুজ হোসনে। তিনি বলেন, এর আগে কোম্পানি চাকরি ছেড়ে রাইড শেয়ারিং করে ভালোই আয় হতো। এখন কাজ বন্ধ আছে। টাকা-খাবার কোনোটাই নেই। অন্যরা তো লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিচ্ছেন, আমরাতো সেটাও পারছি না। কাজ করারও কোনো উপায় নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাহন বিক্রি করে খেতে হবে। আর সেটাও কে কিনবে?

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
মোহাম্মদ সাদিক ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
সরকার ও বিত্তবানদেন পক্ষ থেকে সাহায্য না করলে এরা না খেয়ে মারা যাবে, দুর্ভিক্ষও হতে পারে!
Total Reply(0)
Mohammad Rocky ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৪ এএম says : 0
এ দেশে এখন ফকির গুলো হইতেছে ধনি আর জারা দিন আনে দিন খায় তারা ফকির আমার কথা হলো সরকার জেই আই ডি কাড দিসে সেটা কোনদিন কাজে লাগবে আই ডি কাড জার আছে তাকে আগে সাহায্য করেন তারপর ফকির দের দেখেন কারন ফকির জারা সব জায়গাতেই চাইতে পারে আর দিন মজুর জারা তারা তো ফকির দিয়ে কিনে নেই তাই হচ্ছে
Total Reply(0)
Mojaffar Ahmed ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৫ এএম says : 0
Sudhu lower income noy amder Moto private job dharira o onk problem e ase. Ami nijei ei sutir somoye beton pabona Karon amr onno colleagues ra office korse. Ami dure thaki bole suti nite hoyese. Ekhon vabun amr ki obostha.
Total Reply(0)
Sajib Hossain Joy ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৫ এএম says : 0
মানুষের চেষ্টা, প্রার্থনা এবং আল্লাহর রহমতে পৃথীবিটা শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে ইন শা আল্লাহ।
Total Reply(0)
হাসনা ইসলাম বাঁধন ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৫ এএম says : 0
সরকার সব দিচ্ছে... বাসা বাড়ি গিয়ে খাবার মুখে দিয়ে আসছে................... কে বলে মানুষ সমস্যায় দিন পার করছে।
Total Reply(0)
Narayan Chandra Paul ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৫ এএম says : 0
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, ঢাকা শহরে সকল ভাড়াটিয়া র ভাড়া, করোনা ভাইরাস যতদিন থাকবে ততদিনের ভাড়া মওকুফ করা, বিশেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টুডেন্ট র জন্য, কারন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাএ বিশ্ববিদ্যালয় যার কোনো হল নাই, অনেক কষ্ট করে থাকতে হয়,,, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাএ।।।।।
Total Reply(0)
Asif Ahmed Shuvo ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
গরিব মানুষ ঠিকই জানে যে মহান আল্লাহর রহমত ছাড়া এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না, কিন্তু আমাদের দেশের মন্ত্রী গন তাদের সংবাদ সম্মেলনে এক বারেই মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, যা তাদের জন্যই বিপজ্জনক
Total Reply(0)
Ripon Khan ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
সরকারের লকডাউনের শুরুতে ছিলো অনেক ভুল 24 তারিখ দুপুরে হঠাৎ ঘোষনা নৌ চলাচল বনধ তখন থেকে রাত সদরঘাটে জমা হয় এক লক্ষ লোক নৌযানের আশা ছেড়ে মানুষ ছুটতে থাকে যে যেভাবে যেতে পারে পরে দেখলাম কিভাবে ফেরিতে লোক নিয়েছে ঔ দিন নৌযানটা বনধ করে আরো বেশি নৌযান বাড়িয়ে লোকগুলো পাঠানো
Total Reply(0)
Srabon Chowdury ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
উচ্চবিত্তরা দিচ্ছে, নিম্নবিত্তরা নিচ্ছে, আর মধ্যবিত্তরা না খেয়ে মরতেছে এ যেনো দেখার কেউ নেই মধ্যবিত্তদের যন্ত্রণার কথা কেউ বোঝে না বুঝার চেষ্টাও করে না এদেশে পথের কুকুর বিড়াল দের খবর নেওয়া হয় খাবার দেওয়া হয় কিন্তু মধ্যবিত্তদের খবর কেউ রাখে না
Total Reply(0)
anis ahmed ৩ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৮ এএম says : 0
বিশেষকরে কোনো ক্রান আসলে মময়মনসিংহে দূর্নিতি হয় বেশি। গত এক সপ্তাহ আগে গরিবদুঃখীদের চাউল দেওয়া হয়ছে তাও আবার ৩০০ টাকা দিয়ে। অতিরিক্ত গুলো ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়ছে। তাই যদি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রন না করে তাহলে মানুষ কোনো ক্রাণের আশা করতেও পারবেনা। আশা করি এই বিষয়টি দেখবেন।
Total Reply(0)
Rumanjmiri 1978 ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১১:২২ এএম says : 0
এ বিষয় গুলো সরকারের আরো আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।
Total Reply(0)
গনজমায়েত না করে দুঃস্হ লোকদের তালিকা করে এানগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দিলে জাতি প্রদর্শনী ও করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের সন্দেহ থেকে মুক্তি পেত।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন