বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ট্রাম্পের ইঙ্গিতের পরেই বিশ্ব বাজারে তেলের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ৪:২৫ পিএম

রাশিয়া ও সউদী আরব উৎপাদন কমিয়ে তেলের দাম নিয়ে তাদের যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তার এই মন্তব্যের পরেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে।

সউদী ও রাশিয়া প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাতে পারে বলে ট্রাম্প টুইট করার পরেই ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ৪৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৩৬.২৯ ডলার হয়ে যায়। পশ্চিম টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের তেলের দাম ব্যারেল প্রতি প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়ে ২৭.৩৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে ট্রেডিং গ্রুপ সিএমসি মার্কেটস ইউকে-এর বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাডেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা মনে করছে সউদী ও রাশিয়া মতবিরোধ শেষে উৎপাদন হ্রাসে সমঝোতায় আসছে।’ তবে রাশিয়া এমন কোন সমঝোতায় আসার কথা নাকচ করে দিয়েছে।

ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছেন যে, তিনি সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে কথা বলেছেন, সালমান দাবি করেছেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তার কথা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করছি যে তারা প্রায় ১ কোটি থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমিয়ে দেবে। এমন কিছু যদি ঘটে তবে তেল ও গ্যাস শিল্পের জন্য খুবই ভাল হবে।’

তবে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, সউদী যুবরাজের সাথে প্রেসিডেন্টর কোন কথা হয়নি। এবং এই জাতীয় আলোচনার কোনও পরিকল্পনাও নেই।

যদিও সউদী তাদের উৎপাদন রেকর্ড পর্যায়ে বাড়িয়ে দেয়ার একদিন পরেই ওপেক+ এর সদস্য দেশগুলোর প্রতি ‘তেল বাজার স্থিতিশীল করতে’ বৈঠক করার আহ্বান জানিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বে তেলের চাহিদা কমলেও, সরবরাহ বেড়েছে নাটকীয়ভাবে। কেননা তেল উৎপাদনকারী সউদী আরব ও রাশিয়া তেলের দাম নিয়ে কার্যত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। এর আগে গত মাসের ৩০ তারিখে এশিয়ার বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ১৭ বছরের মধ্যে সব থেকে নিচে নেমে যায়। সারা বিশ্বেই করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক গ্রাস করেছে। যার জেরেই তেলের মূল্যে এই পরিস্থিতি। আমেরিকার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট-এ তেলের দাম ৫.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ব্যারেল পিছু মূল্য দাঁড়িয়েছিল ২০ ডলারে। অন্যদিকে আম্তর্জাতিক ব্রেন্ট ক্রুড-এ তেলের দাম ৬.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ব্যারেল পিছু নেমেছিল ২৩ ডলারে। সূত্র: এএফপি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন