করোনা ভাইরাসে থমকে যাওয়া দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন এখন স্থবির। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকের সংসারের চাকাই অচল হতে চলেছে। নিম্নবিত্তের মত নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতেও নীরব হাহাকার শুরু হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় আর কোন বিকল্প না থাকায় তা মেনে নিতে হচ্ছে সকলকেই। এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর অবস্থাও ভাল নয়। তাদের সংসারের চাকাও ¯øথ হয়ে আসছে ক্রমশ।
বুধবার থেকেই আইন-শৃংখলা বাহিনী সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সহ করোনা ভাইরাস রোধে স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে অনুসরনে রাস্তায় নেমেছে। ওষুধ ও মুদি দোকানের বাইরে অন্যকোন ব্যবসা-বানিজ্য প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ। এমনকি কাঁচা বাজারেও ক্রেতার অভাব প্রকট। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট-এর তত্বাবধানে আইন-শৃংখলা বাহিনী সরকারী নির্দেশনা অনুসরনে বাধ্য করছে অবাধ্য মানুষকে । সরকারী কর্মীদের বেতন মিললেও বেসরকারী বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানেই তা হয়নি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। রবিবারে বেতন না পেলে অনেককেই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে।
তবে বৈশি^ক এ সংকটে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবন এখন অনেকটাই স্থবির। বিশেষকরে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের সমস্যা সবচেয়ে বেশী। যদিও গত কয়েকদিন ধরে প্রশাসন সহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সিমিত আকারে ত্রান বিতরন করছে। কিন্তু তা প্রকৃত চাহিদা মেটাতে পারছে না। এ দূর্যোগে বরিশাল মহানগরী সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ রাস্তাঘাটেই অনেকটা অস্বাভাবিক স্তব্ধতা। মাঝে মাঝে এ্যাম্বুলেন্স আর আইনÑশৃংখলা বাহিনীর গাড়ীর হুইসাল নিরবতা ভঙ্গ করলেও কোন কিছুই স্বাভাবিক নয়। জাতীয় মহাসড়কে কিছু থ্রী-হুইলার সহ পণ্যবাহী যানবাহন চলছে।
জীবন বাঁচানোর তাগিদে বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিকে সবাই মেনে নিলেও তা কতদিন ধরে রাখতে পারবেন সেবিষয়টি বলতে পারছেন না কেউই। অপরদিকে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরোর সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনফা প্রদান বন্ধ রাখায় চরম বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ নারী ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারীÑআধা সরকারী কর্মকর্তাÑকর্মচারী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষও। ভাল নেই এ অঞ্চলের রিক্সাচালক, দিনমজুর সহ শ্রমজীবী মানুষের একটি বড় অংশ। সবাই বর্তমান পরিস্থিতিকে মেনে নিয়েই এ থেকে পরিত্রানে মহান আল্লাহর দরবারে পানাহ চাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন