বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

করোনা আতঙ্কে থমকে গেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী

শ্রমিক বেকার : লোকসানের মুখে মালিক

সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দ শামীম শিরাজী : | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার প্রভাব পড়েছে সিরাজগঞ্জ তাঁত পল্লীতেও। থমকে গেছে তাঁত পল্লী। থমকে গেছে প্রাণচাঞ্চল্য। নেমে আসছে তাঁতপল্লীর ভিন্ন চিত্র। ইতোমধ্যেই করোনার প্রভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশ কিছু তাঁত।

সরজমিনে জেলার তাঁতপল্লীতে গিয়ে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, বেলকুচি, শাহাজাদপুর, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ কাজীপুর ও সদর উপজেলার দেড় লাখের বেশি ইঞ্জিনচালিত ও হস্তচালিত তাঁতে তিন লাখ শ্রমিক জড়িত আছে। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে উৎপাদিত উন্নত মানের শাড়ি-লুঙ্গি দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় রফতানি হচ্ছে। করোনা প্রভাবে তাঁতীরা কারখানা বন্ধ করতে শুরু করেছেন। আর যেসব তাঁত মহাজনরা বন্ধ করতে চাচ্ছেন না, সেসব কারখানার শ্রমিকরাই আতঙ্কে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
কথা হয় বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের শ্রমিক সাঈদ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, দেশ বিদেশে করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে দেখেছি। তাই নিজেকে বাঁচাতে কাজ বন্ধ রেখে বাড়িতে আছি। তিনি আরও বলেন, কাজ বন্ধ করায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শাহজাদপুর পোরজনা গ্রামের তাঁত শ্রমিক আনিছুর রহমান বলেন, চার ছেলে মেয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তাঁতের কাজ করছি। তাঁতের কাজ করেই সংসার ও ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া করাতাম। কিন্তু ভাইরাসের কারনে মালিক তাঁত বন্ধ করে দিয়েছে। সংসার ও ছেলেমেয়ে নিয়ে এখন বিপদে আছি।
গোপালপুর গ্রামের টাঙ্গাইল তাঁত বাজার কারখানার মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বিশ্বে করোনাভাইরাসের কারনে সরকার মিল কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ঘোষণা করলে আমরা কারখানা চালু করব।
সিরাজগঞ্জ হ্যান্ডলুম পাওয়ারলুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বদি জানান, মহামারীতে তাঁতীরাও পরিস্থিতির শিকার। জেলার তাঁতীরা তাঁত বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বেশির ভাগ তাঁতী ক্ষতির মুখে পড়বেন, তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন