বিক্ষিপ্ত দমকা হাওয়া, চৈতালী বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির আবহ তৈরি হয়েছে দেশের অনেক অঞ্চলে। পশ্চিমা লঘুচাপ থেকে আসা বায়ুর সঙ্গে পূবালী বায়ুর সংযোগ ঘটেছে। আবার ঊর্ধ্বকাশের জেটবায়ু (শীতল বায়ু) নেমে আসায় ঝরছে শিলাবৃষ্টি। এরফলে চৈত্রের খরতাপ কমছে।
আবহাওয়া বিভাগ গতকাল সন্ধ্যায় সর্বশেষ পূর্বাভাসে আরও জানায়, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কয়েক জায়গায় এবং খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক স্থানে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টি ও শীতল দমকা বাতাসের ফলে দিন ও রাতে চৈত্রের তাপমাত্রা আজ কম থাকারই সম্ভাবনা।
এদিকে গতকাল ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি, হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় চাঁদপুরে ২৮ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ২, ফরিদপুরে ৬, কুমিল্লায় ১১, শ্রীমঙ্গলে ১৩, নোয়াখালী ও ঈশ^রদীতে ২, বরিশাল ও ভোলায় এক মি.মি. করে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় গত দু’দিনের শীতল বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির ফলে পারদ নেমে গেছে সর্বোচ্চ ৩৫.৪ এবং সর্বনিম্ন ২৪.৩ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭.৪ ডিগ্রি সে.। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে। তবে এরপরের ৫ দিনে বাড়তে পারে। সমুদ্রে সঙ্কেত নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন