বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আরো ৪ জনের মৃত্যু

করোনার সন্দেহভাজন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

মাগুরা : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা সন্দেহে ভর্তি পাখী মোল্লা (৪৮) গতকাল শুক্রবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা গেছে। এ ঘটনায় প্রশাসন তার বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভর্তির পর তাকে হাসপাতালের করোনা আইসোলোশনে রাখা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল নেয়া হচ্ছিল। পথে সে মারা যায়।
করোনা সন্দেহে থাকা ওই ব্যাক্তি ৭দিন ধরে থেকে জর,কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছিল বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা জানান, ওই রোগীর মধ্যে করোনার বেশ কিছু লক্ষণ ছিল। তার মধ্যে করোনা পজিটিভ থাকার সন্দেহ রয়েছে। ওই রোগী পেশায় একজন কৃষক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকছেদুল মোমিন বলেন, বিশেষভাবে ওই রোগীকে হাসপাতালের আইসোলোশনে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কথা ছিল।
মেহেরপুর : মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শ্বাসকষ্টে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই বাড়ি লকডাউন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, শ্বাসকষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এখন রোগীর স্যাম্পল সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া কলেজ ছাত্র হোসেন আলীর বাড়িসহ আশপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সেখানে এই নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরি সাংবাদিকদের জানান, কলেজ ছাত্র হোসেন আলীর বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ওই পাঁচটি বাড়ির ১৮ জন কেউ বাড়ির বাইরে আসতে পারবেন না।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা এক পোশাক শ্রমিক সর্দি কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি গাজীপুরের একটি হাসপাতালে গত বুধবার মারা যান। গত বৃহস্পতিবার লাশ বাড়িতে আনার পর স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সতর্কতার সঙ্গে দাফন করা হয়। এরপর লাশ আনা এবং দাফনের কাজে যুক্ত লোকজনের সাতটি পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘মারা যাওয়া ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক যে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছিলেন তাতে তার শারীরিক দুর্বলতার সঙ্গে সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এ কারণে আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Md Hashem ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০৮ এএম says : 0
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন
Total Reply(0)
নাজিম উদ্দীন আহমেদ ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০৮ এএম says : 0
আল্লাহ পাক আমাদের কে মাফ করুন।
Total Reply(0)
Didarul Alam ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০৯ এএম says : 0
কর্তৃপক্ষ কখনোই দায়ী নয় একটি জিনিস কিন্তু বদলায়নি। কর্তৃপক্ষ আগের মতোই দায়ী নয়। করোনার যে ভ্যাক্সিন বাংলাদেশ আবিষ্কার করেছে তা হলো করোনা রোগী শনাক্তের উদ্যোগ থেকে দুরে থাকা। যদি রোগী চিহ্নিত না হয়, তাঁর মাধ্যমে যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিন করা না হয়, তাহলে চিকিৎসা দেওয়ার দায়ও থাকে না। রোগী না থাকলে ব্যর্থতাও নেই। লকডাউনের ক্ষেত্রেও তাই। আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করতে হলে জীবনধারণের উপায় হারানো মানুষদের সহায়তা করতে হয়। তাদের খাদ্য ও চিকিৎসার দায়িত্ব লকডাউন কার্যকরকারী রাষ্ট্রের ওপর আপনাতেই বর্তায়। লকডাউন প্যাকেজের জরুরি অংশ এই ত্রাণ। যেহেতু লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি, সেহেতু সেই দায় রাষ্ট্রের নেই। নিজ দায়িত্বে বাড়িতে বসে থাকুন। আমাদের দরকার ছিল কঠোর শৃঙ্খলা, জরুরি সেবা এবং প্রয়োজন ছাড়া কারোরই বাড়ির বাইরে না থাকা। কিন্তু শৃঙ্খলা আসেনি। স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিশৃঙ্খল, মানুষের জীবনযাপন বিশৃঙ্খল। করোনার মৃত্যুর খবর এখন গুজব।
Total Reply(0)
Sumon Sharuar ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০৯ এএম says : 0
যেখানে অন্যান্য দেশগুলো করোনা নিশ্চিত করতে সকলের রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করছেন এবং তার সংস্পর্শে আসা সকলের রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন, আর সেখানে আমরা নিশ্চিত রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। যার ভয়াবহতা কঠিন। হয়তো ধনীরা ভাবছেন ঘরে বসে বেচে যাবেন, সত্য বলতে সবারি এ অব্যবস্থাপনার খেসারত দিতে হবে
Total Reply(0)
Faisal Rahman Khan ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:১০ এএম says : 0
প্রতিদিন আক্রান্ত ৫,৬ জন,আরো সতর্ক হলে,এটাও থাকত না,আমরা সরকারের নির্দেশ মেনে চলছিনা,এইজন্যই সমস্যা আরো বেড়েই চলছে
Total Reply(0)
Zakir Hossain ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:১০ এএম says : 0
গতকাল মিডিয়াতে দেখলাম নারায়নগঞ্জের এক নারী মারা যাওয়ার পর পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ ধরা পরছে।
Total Reply(0)
Ar Sumon ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:১০ এএম says : 0
মোট করোনা আক্রান্ত ৬১ জনের মধ্যে কোন জেলা /উপজেলা /ওয়ার্ডে কত জন করে করোনা আক্রান্ত কতৃপক্ষের উচিত তা জনগনকে জানানো।তাহলে মানুষ সতর্ক থাকবে।আক্রান্ত জেলা/উপজেলা /সিটি গুলোতে অন্য অন্ঝলের মানুষ আসা যাওয়া করতো না।এতে করে করোনা প্রতিরোধ সহজ হবে।।
Total Reply(0)
Kazi Shahidul Ahmed ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:১১ এএম says : 0
অপরাজনীতি না করে প্রকৃতভাবে Test করলে দেশে রোগী হবার কথা হাজার হাজার। একজন আক্রান্ত মানে তার আশপাশে গত ১৪ দিন যারা ছিলো সবাই Must infected যে কারণে বিশ্বের সব দেশে সংখ্যাটা Multiply হয় কিন্তু বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে রোগীর সংখ্যা কমে !! এই স্পর্শকাতর বিষয়টা নিয়েও কেনো যে নোংরা রাজনীতি করতে হচ্ছে??
Total Reply(0)
Dipu Malik ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:১১ এএম says : 0
করোনা'য় বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ালো ! এই মৃত্যুর মিছিলে আপনি-আমিও যোগ হতে পারি ! সবাই সচেতন হোন,আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুক।
Total Reply(0)
Delwar Hossen Hasib ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:১১ এএম says : 0
আমাদের উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশে মরে করোনার উপসর্গ নিয়ে! আফসোস যে, মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর কারনটাও নিশ্চিত হয়ে মরা ভাগ্যে জুটছে না! ...ছোটবেলায় পড়েছি 'ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারিয়া গেল' আমাদের সন্তানরা পড়বে 'রোগী মরিয়া যাইবার পর করোনা পরীক্ষা করা হইলো'
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন