সারাদেশে যেহারে মানুষজন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হচ্ছেন তাকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলা যায়, তবে তার আকার খুব সীমিত। শনিবার (৪ এপ্রিল) করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিং এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ।
ডা.আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে দেখেছি এক জায়গায় ১০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সেটা কিন্তু একটা ক্লাস্টার। তবে এ রকম বাংলাদেশের অন্য জায়গায় আমরা পাইনি। আমরা পরীক্ষা আরো বাড়িয়ে দেব এবং আজকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে আরও বৈঠক করব। আমাদের কি করণীয় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
মহাপরিচালক বলেন, যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের মাধ্যমে প্রথমে তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আমরা দেখেছি যে ঐ সদস্যদের সাথেও যারা উঠাবসা করেন তারাও সংক্রমিত হয়েছেন। যেমন মিরপুরের একটি ঘটনা। সেখানে উনি একসাথে নামাজ পড়তে যেতেন এবং একসাথে হাঁটাহাঁটি করতেন। আক্রান্ত ব্যক্তি কিন্তু তার পরিবারের সদস্য ছিল না তার সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তার সংস্পর্শে এসে তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে অবশ্যই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলা যায়। তবে আমাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা কিন্তু এখনো অনেক বেশি নয়। আমরা পরিস্থিতি এখনো বুঝি নাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা অবশ্যই বলতে পারি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন, তবে এটা সীমিত আকারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন