বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লকডাউন, আইসোলেশন এবং হোম কোয়ারেন্টিন ৪ এপ্রিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২০, ৩:২৯ পিএম | আপডেট : ১:১৬ পিএম, ৫ এপ্রিল, ২০২০


রাজাপুরে করোনা রোগী পাওয়া যায়নি, ৪২ জন মুক্ত, তিনজন হোম কোয়ারেন্টানে
রাজাপুর ( ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ৫০ বেডের হাসপাতাল রাজাপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালটিতে করোনা রোগী সন্দেহে ভাজনদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য পৃথক আইসোলেশন নারী ও পুরুষ ওয়ার্ড খোলা হলে ও আজ পর্যন্ত হাসপাতালে কোন সন্দেহভাজন কোন করোনা রোগী পাননি। রাজাপুর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৪৫ জনের মধ্যে ৪২ জন ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। আর মাত্র ৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত করোনার সিমটম পাওয়া যায়নি।৪৫ জনের অধিকাংশ বিদেশে ছিলেন। তবে রাজাপুর উপজেলা থেকে সন্দেহভাজন ২ জনের নমুনা আইইডিসিআরে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি।ফলে রাজাপুর উপজেলা কার্যত করোনামুক্ত বলা যায়। একথা জানালেন রাজাপুর উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবারকল্যান কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল আজ রাত ৯টায় মুঠো ফোনে এ তথ্য প্রদান করেন। তিনি আরও বললেন, আমরা এখনো পুরোপুরি মুক্ত এটি অফিসিয়ালি বলছি না। প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হতো, এখন ক্রমাগত ভাবে কমছে। যেমন শনিবার ২৪ঘন্টায় মাত্র ৩জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রাজাপুরে সর্বশেষ হোম কোয়ােেরন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়ে তিন জন। তাদের সবাই বিদেশ ফেরত।পক্ষান্তরে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হাওলাদার বলেন - করোনার প্রাদূর্ভাব প্রতিরোধে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত রোস্টার ছিল এখন ১১ এপ্রিল পর্যন্ত আপাততঃ কন্ট্রোল রুম খোলা রাখতে রোস্টার মোতাবেক ডিউটি চলছে। তিনি আরও লক ডাউন স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনী সহযোগীতা করছে,আমার জানা মতে রাজাপুরে এখন ও কোন করোনা রোগীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

ধমতলবে তিনটি বাড়ি লকডাউনকরোনা সন্দেহে এক বৃদ্ধার মারা গেছে

মতলব উত্তর(চাঁদপুর)উপজেলা সংবাদদাতা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি গ্রামে করোনার উপসর্গ (জ্বর, বমি, পাতলা পায়খানা) নিয়ে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। তার নাম জুলেখা বেগম (৫০)। তিনি স্বামী পরিত্যাক্ত ।
এসব উপসর্গ নিয়ে ২ দিন ভোগার পরে শুক্রবার রাতেই তিনি তার নিজ ঘরে মারা যান। ঘরে অন্য কোউকে পাওয়া যায়নি বলে এএসপি (মতলব উত্তর) আহসান হাবিব জানান। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে মারাত্মক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনা জানাজানির পর আজ শনিবার সকাল থেকে এ মহিলার বাড়িসহ আশপাশের আরো তিন বাড়ি জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খানের নির্দেশক্রমে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন। ।

উপজেলা স্বাস্থ্্য ওপরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: নুসরাত জাহান মিথেন জানান, খবর পেয়ে আমরা সকালে তার বাড়িতে যাই । তখন তার ঘরে অন্য কাউকে বা স্বামীকে পাওয়া যায়নি। করোনা টেস্টের জন্য মারা যাওয়া এ নারীর মৃতদেহ থেকে স্যাম্পল /নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে ।
এ ব্যাপারে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এসব বাড়ি লকডাউন থাকবে বলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সবাইকে জানিয়ে দেন ।
আজ বাদ জোহর সরকারি বিধি অনুযায়ী এ নারীর মরদেহ দাফন করা হয়েছে ।

স্থানীয়রা জানান, ওই মহিলা ছিলো ভবঘুরে ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। নিখোঁজ/লাপাত্তা এ নারী গত দু’দিন আগে অসুস্থ্য হয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে মতলব উত্তরে নিজ ঘরে আসেন বলে প্রতিবেশিরা জানান। যোগাযোগ করলে, মতলব উত্তর উপজেলার ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

চাঁদপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে ১জনের মৃত্যু, তিন বাড়ি লকডাউন

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি গ্রামে করোনার উপসর্গ (জ্বর, বমি, পাতলা পায়খানা) নিয়ে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। তার নাম জুলেখা বেগম বেগম (৫৫)। শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর আজ শনিবার সকাল থেকে মহিলার বাড়িসহ আশপাশের তিন বাড়িতে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মারা যাওয়া নারীর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে করোনা টেস্টের জন্য। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ওই মহিলা মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। তিনি গত দু’দিন আগে নারায়নগঞ্জ থেকে মতলব উত্তরে আসেন।

দক্ষিণাঞ্চলে হোম কোয়রিন্টিনের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়াল
বরিশাল ব্যুরো
দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও ‘কেভিড-১৯’ রোগী সনাক্ত না হবার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা ৩ হাজার অতিক্রম করেছে। পাশাপাশি সুস্থবস্থায় হোম কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করেছেন আরো আড়াই হাজারেরও বেশী মানুষ। যাদের সবাই বিদেশ ফেরত। তবে বরিশাল ও ভোলার দুটি হাসপাতালে কেভিড-১৯ লক্ষন নিয়ে এখন ১০জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের রক্তের নমুনা ইতোমধ্যে ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠান হয়েছে। শণিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে মাত্র ২জন বিদেশ ফেরত সেচ্ছা হোম কোয়রিন্টিনে গেছেন। আগামী দু এক দিনে তা শূণ্যের কোঠায় নেমে আসতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরিক্ষার ‘পলিমার চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন’টি শণিবার পর্যন্ত চালু করা যায়নি। ইতোপূর্বে কলেজ ও হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্র শণিবার থেকে এ মেশিনের কার্যক্রম শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর মেশিনটি স্থাপন করা হচ্ছে। তবে ভাইরাস পরীক্ষার জন্য যে একজন ভাইরোলজিষ্ট ও দুইজন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান প্রয়োজন, তা এখনো পাওয়া যায়নি। এ ধরনের একজন ভাইরোলজিষ্ট বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে কর্মরত আছেন। বিশেষ প্রশিক্ষপ্রাপ্ত ভাইরোলজিষ্ট ও দুজন টেকনিশিয়ান পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ে ইতোমধ্যেই আবেদন করেছে বরিশাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ৯টি পরিবার লকডাউন
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা  : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ২টি বাড়ির ৯টি পরিবারকে লকডাউনে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামে দুইবছর তিন মাস বয়সী এক শিশু খিঁচুনী ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যায়।
অপরদিকে একই উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নে ৫ বছরের এক শিশু জ্বর ও শ্বাসকস্ট নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আনলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কমলনগর উপজেলার আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, করোনা উপসর্গ থাকায় তাদের দুইজনেরই মৃতদেহের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ২টি বাড়ির ৯টি পরিবারকে লকডাউনে রাখা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন