বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঝুঁকিপূর্ণ জন স্রোত

মহাসড়কে ঢাকামুখি মানুষের ঢল : পথে পথে ভয়ঙ্কর চিত্র মানুষগুলো সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনতে পারে : প্রফেসর ডা. মুজিবুর রহমান, উদ্বেগ প্রকাশ করে গার্মেন্টসের ছুটি পুন:বিবেচনার আহবান মেয়র

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রমরোধে সারাদেশের গণপরিবহন বন্ধ। মানুষকে ঘরে রাখাসহ ‘সামাজিক দূরত্ব’ নিশ্চিত করার জন্য সারাদেশে সক্রিয় সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু সব বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে গত দুদিন ধরে ঢাকামুখি মানুষের ঢল ভয় জাগাচ্ছে মনে। ক্রমে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ারে মধ্যে হাজার হাজার মানুষ গ্রাম থেকে করোনাভাইরাসের জীবানু বহন করে আনছে কি না তা নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনার বিস্তার রোধে যেখানে পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতে লক ডাউন চলছে। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে মসজিদ বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত আসছে সেখানে এই শ্রমিকদের এভাবে ডেকে আনা কি ধরণের দায়িত্বশীলতা? এদের দ্বারা লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হলে তার দায় কে নেবে?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এভাবে গাদাগাদি করে ঢাকায় ফেরা সাংঘাতিক ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে সবাইকে। আর পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা বলেছেন, কারখানা বন্ধের সময় তাদের নিজ নিজ বাসায় অবস্থানের কথা বলা হলেও তারা কেন গ্রামে গেছে জানা নেই। এখন বেতন নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকায় ফেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানুষের ঢল ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না। কারণ ঢাকামুখি সব মানুষের একই কথা, রোববার কারখানা খুলবে। সময়ের আগে কর্মস্থলে না গেলে তাদের চাকরি থাকবে না।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, ট্রাক, পিকআপ, ভ্যানে কিংবা এক সঙ্গে গাদাগাদি করে আসা মানুষগুলো সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনতে পারে। আগতদের মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ থাকলে তার মাধ্যমে কারখানায় ছড়াবে, বাসায় ছড়াবে। সে যেখানে অবস্থান করবে হয়তো সেখানেই সমস্যা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে ঢাকায় আগতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ ইনকিলাবকে বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করে তবে সমস্যা হবে না। সংক্রমণ এড়াতে এদেরকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এমনকি কেউ যদি সংক্রমিত থাকে তিনি যদি সঠিকভাবে সুরক্ষা নিয়ে কাজও করেন তাহলে ভাইরাস অন্যের মধ্যে ছড়াবে না। একইভাবে অন্যরাও যদি সুরক্ষা নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করে তাহলেও করোনা ছড়াবে না।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক গ্রাম ছেড়ে রাজধানী ঢাকা শহরে প্রবেশ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেছেন, এতে শহরে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। তাই গার্মেন্টেস বন্ধের বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। গতকাল বিকেলে ডিএসসিসির নগর ভবনে খাবার পৌঁছে দেওয়া কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে মেয়র এ আহ্বান জানান। মেয়র বলেন, যেভাবে পোশাক শ্রমিকরা শহরে প্রবেশ করছে। তাতে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে বহু নাগরিক ফোনে আমাদের অবহিত করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য আমি বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
করোনার সংক্রমণরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এই ছুটি ঘোষণার পর পরই বাস, ট্রেন ও লঞ্চে গাদাগাদি করে মানুষ ঢাকা ছাড়ে। সে সময়ই এটাকে ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ আখ্যা দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ঘরেফেরা এসব মানুষদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। বরং কদিন না যেতেই একই কান্ড আবার ঘটলো। অনেকেই প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এভাবে হাজার হাজার মানুষকে মহাসড়কে দলবেঁধে চলার সুযোগ করে দিয়ে সরকার তাহলে আমাদেরকে কেন ঘরবন্দি করে রেখেছে? এতে করে রাজধানীর প্রায় দুই কোটি মানুষকে ঝুঁকিতে ঠেলে দেয়া হলো। গত ১০ দিন ধরে মানুষের ঘরে থাকার প্রচেষ্টাও বিফলে গেল।
গত শুক্রবার এবং গতকাল শনিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-মাওয়া এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পায়ে হেঁটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল দেখা গেছে। অন্যদিকে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটেও গতকাল সকাল থেকে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় লেগেই ছিল। চলমান অঘোষিত লক ডাউনের মাঝেই যে যেভাবে পারেন ফিরে আসছেন কর্মস্থলে। যারা কোন যানবাহন পাননি তারা ফিরছেন হেঁটে। গাজীপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম থেকে আমাদের সংবাদদাতারা যে তথ্য দিয়েছেন তাতে এক ভয়ঙ্কর চিত্র পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যে দলে দলে পোশাক শ্রমিকদের এই ফেরা শঙ্কিত করে তুলেছে ঢাকার ঘরবন্দি কোটি মানুষকে। ক্রমে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ার মধ্যে মহাসড়কের এমন চিত্র নিয়ে সমালোচনায় মুখর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। অনেকেই বলছেন, এই ঝুঁকির দায়তো নিয়োগদাতা তদারক প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে পড়ে। সরকারি সিদ্ধান্তে সব ধরণের গণপরিবহন বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকরা যে ঝুঁকি নিচ্ছেন এর দায়ভারই বা কে নেবে।
আমাদের গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক দলে দলে ফিরছেন গাজীপুরে। তারা ট্রাক- পিকআপ ভ্যান এমনকি কাভার্ড ভ্যানে চড়ে এক সঙ্গে এবং ছোট ছোট হালকা যানবাহনে আসছেন দলে দলে। আজ ৫ই এপ্রিল থেকে গাজীপুরের অধিকাংশ পোশাক কারখানা খোলার কথা রয়েছে। আর কর্মস্থলে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে করোনার ঝুঁকি মাথায় নেয়ার পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ পথে গাদাগাদি করে, দাঁড়িয়ে থেকে তারা ফিরছেন গাজীপুরে। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কর্মজীবী মানুষের স্রোত দেখা গেছে। একইভাবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরাঞ্চলের মানুষও এসেছেন দলে দলে। শ্রমিকরা জানান, স্বল্পসংখ্যক পোশাক কারখানা শনিবার থেকে খোলা হয়েছে। তবে অধিকাংশই খোলা রোববার থেকে। সেজন্যই তারা উপায়ান্তর না পেয়ে ফিরছেন কষ্ট করে, অতিরিক্ত ভাড়ায়। শ্রমিকরা বলেন, করোনাভাইরাস এর ঝুঁকি যেমন তাদের রয়েছে তেমনি তাদের রয়েছে চাকরি হারানোর ঝুঁকি। কেননা, যেদিন ছুটি দেয়া হয়েছে সেদিনই কারখানা কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে যথাসময়ে কারখানায় হাজির হতে। নির্ধারিত সময়ে হাজির না হতে পারলে চাকরি থাকবে না।
আমাদের আরিচা (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, গতকাল পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে একটি করে ফেরি নোঙ্গর করছে আর তাতে মানুষ ছাড়া কোনো যানবাহন দেখা যায়নি। শরীরের সাথে শরীর ঘেঁষে এক ধরনের গাদাগাদি করেই মানুষের ফেরিতে উঠা-নামার দৃশ্য দেখা গেছে সকাল থেকে। যেখানে করোনার মতো মহামারী ঠেকাতে সারা দুনিয়া কার্যত লক ডাউন হয়ে আছে সেখানে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের এমন দৃশ্য মানুষজনকে ভাবিয়ে তুলবে।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কেও দেখা গেছে একই চিত্র। ঢাকা-মাওয়া চার লেন এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাক ও কার্ভার্ডভ্যানে করে শত শত মানুষ আসতে দেখা গেছে। অনেককে পরিবহন যান না পেয়ে হেঁটে, মালবাহী লরি ও পিকআপ ভ্যান চেপে ঢাকায় ফিরছেন দেখা গেছে। গাদাগাদি করে গ্রাম থেকে ঢাকামুখী এসব মানুষের ফেরা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, কয়েকটি পিকআপ ভ্যান যাত্রী বহন করে যেতে চেয়েছিল। সেগুলো আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকেই পায়ে হেঁটে রওয়ানা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, গত মাসের ২৫ তারিখে গণপরিবহন বন্ধ হয়েছে। আর আমরা কারখানা বন্ধ করেছি ২৬ তারিখে। আমাদের বেশিরভাগ শ্রমিক থাকেন কারাখানার আশপাশের এলাকায়। তিনি বলেন, যারা ঢাকায় আসছে তারা সবাই যে গার্মেন্টস শ্রমিক তা বলা যাবে না। গাদাগাদি করে ঢাকায় ফেরা প্রসঙ্গে রুবানা হক বলেন, প্রথম কথা হলো আমাদেরকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে হবে। কোনো শ্রমিক যেন মনে না করেন যে উনি ছাঁটাই হবেন। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান বলেন, আমরা কারখানা বন্ধের সময় সব শ্রমিককে নিজ বাসায় নিরাপদে অবস্থান করতে বলেছিলাম। তাদের বলা হয়েছিল তাদের বেতন নিদিষ্ট সময়ে তারা পেয়ে যাবেন। বর্তমানে গণপরিবহন বন্ধ। তাদের বলা হলো বাসায় অবস্থান করতে কিন্তু তারা চলে গেলেন গ্রামের বাড়িতে। তিনি বলেন, এখন তারা আবার ঢাকায় আসছেন বেতনের জন্য। যারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন পান এক্ষেত্রে তাদের বেতন নিতে আসার প্রয়োজন নেই। যথাসময়ে তাদের বেতন অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (15)
Zahiruddin Mohd Babar Faruki ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:২৯ এএম says : 0
ট্রাম্পও বলেছিল,, আমরা চীন না আমরা আমেরিকা,, ফল কি তা সামনে। এখন আত্মতৃপ্তি নেয়ার সময় নয়,!!! গার্মেন্টস নিয়ে এটা কি করলেন,,,???
Total Reply(0)
Mohammad Nur ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪০ এএম says : 0
Every body want to stay his own home. When his / her working place is open they can go work & they can come back there one home. Unless any one cannot go any place. Why they are going village &again come back city. You can stay your one please. Please. This virus is very very dangerous.
Total Reply(0)
Mir Sojol ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪০ এএম says : 0
গার্মেন্টস শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে হেঁটে ঢাকায় আসছে, আবার পায়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে যাবে, বাংলাদেশের মন্ত্রি সাহেব আপনারা নাটক রচয়িতা শুরু করে দিয়েছেন করুনা আপনারা ছরিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে, আপনারা ঘরে বসে থাকেন আর মুভি দেখেন আর কিছুই হচ্ছে না আপ্নাদের দিয়ে হায়রে বঙবন্ধুর দেশ
Total Reply(0)
Helal Masud ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪১ এএম says : 0
#সরকার ও বিজিএমইএ কাছে জানতে চাই? গার্মেন্টস শ্রমিক ও অফিসারদের কি করোনা ভাইরাস এর প্রতিষেধক কোন টিকা দেওয়া হয়েছে?? নিশ্চয়ই দেওয়া হয়নি। #তাহলে কোন যুক্তিতে বা কাদের স্বার্থে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫% উৎপাদনকারী একটি দক্ষ প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিৎ মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে?? #লকডাউন! এটা কিসের লকডাউন? লকডাউনে কেন দ্বৈত নীতি?? #গার্মন্টস শ্রমিকদের কি করোনা ভাইরাস আক্রমণ করবে না?? তাদের মাধ্যমে বা তাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াবে না?? #এভাবে এত গুলো নির্রাহ্ মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে যাওয়া অধিকার বিজিএমইএ কোথায় পেয়েছে?? নিশ্চয়ই সরকারের কাছ থেকে?? #নাকি বাংলাদেশের গার্মন্টস শিল্প ও দক্ষ প্রশিক্ষিত জনবলকে ধ্বংস করার জন্য নতুন কোন একটি চক্রান্ত??
Total Reply(0)
J M Ahidul Islam ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪১ এএম says : 0
এসব কিছুই হচ্ছে সরকারের দ্বিমুখী নীতি,, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারা মানুষ,, তাদের নিরাপত্তা দরকার আর গার্মেন্টস শ্রমিকরা শুধুই শ্রমিক এদের নিরাপত্তার কোন অধিকার নেই নাই সুস্থ জীবন নিয়ে বেচেঁ থাকার অধিকার
Total Reply(0)
Nazmul Huda ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪২ এএম says : 0
করোনা যখন গার্মেন্টস মালিকদের ধরবে তখন হুস ঠিকানায় আসবে, কিন্তু তখন অনেক দেরী হয়ে যাবে
Total Reply(0)
Obaidur Rahman ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪২ এএম says : 0
সমস্যা নাই আমাদের সরকার এই ভাবেই করোনাকে চাইনাতে পাঠাতে পারবে আবার সেই শক্তি আছে সরকারের
Total Reply(0)
Bulbul Hussain Chowdhury ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
এটাই হচ্ছে বাংলাদেশ,আজব লকডাউন!!এ যেন করোনার বিস্তারে সরকারী ভাবেই সহযোগীতা হচ্ছে !!!আসুন সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করনার বিস্তারে সরকারকে সহযোগিতা করি এতে সরকারী অনুদান ও পেতে পারেন ,অবশ্যই সেটা হবে বিনা পয়সায় আপনাদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা!!!
Total Reply(0)
Tanmoy Howlader ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের মানুষ মনে করে না। বর্তমানে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তারা কিভাবে কর্মস্থলে যোগদান করবে এ বিষয়গুলো আসলে চিন্তা করা উচিত। আমি মনে করি এই পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ করা উচিত। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে আরো বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।আশা করছি সরকার এ বিষয়ে নজর দিবেন এবং খুব শিগগিরই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Total Reply(0)
Shah Golam Rahman ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
It’s a double standard decision, transport lockdown, Peoples lockdown, govt office maximum lockdown , garments factory open where there is millions of workers !!!! Thus the way we will face Covid-19 !!!! So silly !!! For this kind of decision,We are going to face a terrible situation. Allah forgive us.
Total Reply(0)
Md Hridoy Hossain Manik ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের জন্য যা করছে তাতে আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি,কিন্তু কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে আমার মনে হয়,"সরকার আমাদের নিয়ে সার্কাস করতেছে।" যেমন-প্রবাসীদের সরকার কর্তৃক কোয়ারেন্টাইনে না রেখে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত।
Total Reply(0)
mannan abdul ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
একদিকে আমাদের সরকার প্রধান বলেন লকডাঊন করতে আর সামাজিক দুরত্ত বজায় রাখতে। আর অন্যদিকে মানুস কর্মস্থলে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে করোনার ঝুঁকি মাথায় নেয়ার পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ পথে গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরছেন।কে শুনছে কার কথা। তাই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের ভাষায় বলতে হয় যে ,আমি দুঃখিত, কিছু মানুষকে মরতেই হবে।
Total Reply(0)
ash ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৫:৫১ এএম says : 0
BANGLADESH CORONAR DISASTER E PORINOTO HOBE!
Total Reply(0)
ইসমাইল ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৮:২৩ এএম says : 0
এই জনস্রোত পূরা দেশের লকডাউনকে বৃদ্বাংগুলি দেখাল।।তবে ইহা দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
Total Reply(0)
গার্মেন্টস মালিকদের সাথে আলোচনা করে ফ্যাক্টরি বন্ধ রেখে সরকার ঘোষিত সময়সীমা পর্যন্ত্য প্রত্যেক সেক্টরের জন্য লকডাউন কার্যকরী করা হউক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন