গোটা বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কিত মানুষ। ব্যবসা-বাণিজ্যে চলছে চরম অচলাবস্থা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও সতর্কতায় জনসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। কোন কোন দেশে চলছে লকডাউনন। কী হতে যাচ্ছে বা কী হবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ।
একই অবস্থা আরব আমিরাতেও। দেশটিতে দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। ইতোমধ্যে দেশটির বাণিজ্য ও পর্যটন নগরী দুবাইয়ে দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে আমিরাত জুড়ে ‘স্টে হোম’ ‘স্টে সেফ’ ক্যাম্পেইন তো চলছেই। এতে নিরব আর্তনাদ আর হতাশায় দিনাতিপাত করছেন কর্মহীন হয়ে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। দেশটিতে প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় একটি অংশ যায় এ দেশটি থেকে। এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিস্তৃতি রোধ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আমিরাত সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা আর গৃহীত নানাবিধ নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের কারণে দেশটিতে বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কবে নাগাদ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খুলবে বা ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে তার অনিশ্চয়তায় ব্যবসায়ীরা যেমন হতাশায় ভুগছেন তেমনিভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া, বেতন না পাওয়া, বেতনাদির অনিশ্চয়তা এবং চাকরি হারানোর আতঙে¦ চোখে-মুখে অনিশ্চয়তা-অন্ধকারের হাতছানি তাড়া করে বেড়াচ্ছে হতাশা-দুর্দশাগ্রস্ত, সঙ্কটাপন্ন কর্মহীন প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
তাদের এখন একটাই চিন্তা তাদের কিছু হয়ে গেলে দেশে তাদের পরিবার-পরিজনদের কী হবে। কী হবে তাদের ভবিষ্যৎ। তাই দিন দিন বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। বাড়ছে পরিবার-পরিজনদেরও দুশ্চিন্তা। ফলে নিরব আর্তনাদ আর হতাশার যেন শেষ নেই কর্মহীন প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন