বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের নিয়মিত স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন। ফুটবলই যার ধ্যান, জ্ঞান, সাধনা। ফুটবল ছাড়া কিছুই ভাবতে পারেন না তিনি। খেলার মাঠকেই যিনি নিজের আসল ঠিকানা মনে করেন, সেই জীবনই এখন ঘরে বন্দি। বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কে অন্য সবার মতো হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন দেশসেরা স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন। এই সময়ে ফুটবলকে খুব বেশি মিস করছেন তিনি।
দেশে খেলা নেই। করোনাভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বর্তমানে সব খেলা বন্ধ রয়েছে। গতমাসের মাঝামাঝিতে স্থগিত হয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। তার আগেই স্থগিত হয় কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের সব খেলা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় দল ও আবাহনীর অনুশীলন। এরপর থেকেই আবাহনীর স্থানীয় সব ফুটবলাররা আছেন যে যার বাড়িতে। একমাত্র বিদেশি কোচ আর খেলোয়াড়রা আছেন ক্লাবের অধীনে। স্থানীয় ফুটবলাররা ঘরে বসেই যে যেভাবে পারছেন ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। লন্ডন থেকে ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’র নির্দেশনা অনুযায়ীই চলছেন জাতীয় দলের সব ফুটবলার। অখন্ড এ অবসরে জীবন এখন বগুড়ায় নিজ বাড়ীতেই অবস্থান করছেন। ঘরের মধ্যে হালকা ব্যায়াম করা ছাড়া ফিটনেস ধরে রাখতে তেমন কিছু করার সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। বলা চলে ঘরে বসে অনেকটা অলস সময়ই কাটাচ্ছেন দেশসেরা অন্যতম এই স্ট্রাইকার।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে হোম কোয়ারেন্টাইানে কেমন কাটছে জীবনের সময়? এ প্রসঙ্গে রোববার তিনি মুঠোফোনে ইনকিলাবকে বলেন,‘খুবই অলস সময় পার করছি। খেলা বন্ধ, তাই অনুশীলন নেই। এমনকি বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগও নেই। এক কথায় করোনাভাইরাস ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে আমাদের সবাইকে। কষ্টের সঙ্গেই দিনগুলো অতিক্রম করতে হচ্ছে। আশা করি, সহসাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সবকিছু আগের মতো হয়ে যাবে। মানুষ আবার নিয়মিত কর্মব্যস্ততার মাঝে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে। তখন আমরাও ফিটনেস ধরে রাখার কাজটা শুরু করতে পারবো।’
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে এবং আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন জীবন। এমন দূর্যোগের সময়ে ফিটনেস কিভাবে ধরে রাখা যায় সেই পরামর্শ দিচ্ছেন কোচদ্বয়। দুই কোচের নির্দেশনা অনুসরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন নাবিব নেওয়াজ জীবন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন