শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

ছোঁয়াচে রোগ সম্পর্কে মহানবী (সা.) এবং আমওয়াস মহামারী

কে. এস. সিদ্দিকী | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

মহাতঙ্ক ‘করোনাভাইরাস’ মহামারী হিসেবে সমগ্র দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাস স্মরণ করিয়ে দেয় ইসলাম যুগে হজরত উমর (রা.) এর আমলে ‘তাউনে আমওয়াস’ বা ভয়ংকর মহামারীর কথা। তাতে শাহাদত বরণ করেছিলেন ২৫ হাজার সাহাবী মোজাহেদ।

প্রাচীন চিকিৎসকদের মতে, সাত প্রকারের রোগকে সংক্রামক অর্থাৎ ‘ছোয়াঁচে’ রোগ বলা হয়। এ সাত প্রকারের ছোয়াঁচে রোগ হচ্ছে: (১) কুষ্ঠরোগ, (২) খোশ-পাঁচড়া, (৩) বসন্ত, (৪) ফোসা, (৫) চোখের রোগ, (৬) মুখের দুর্গন্ধ, (৭) অবা (তাউন) মহামারী ইত্যাদি
জাহেলী যুগে আরবদের ধারণা ছিল যে, কোনো ব্যক্তি যদি রোগাক্রান্ত হয় তা হলে কোনো সুস্থ ব্যক্তি তার নিকটবর্তী হলে এবং তার সাথে পানাহার করলে, তার মধ্যেও ঐ ব্যক্তির রোগ সংক্রমিত হয়। অর্থাৎ ‘ছোয়াঁচে’ রোগের এ ধারণা ইসলাম পূর্বযুগ থেকেই প্রচলিত। রসূলুল্লাহ (সা.) এর সময়ে কুষ্ঠ রোগের ঘটনা ঘটেছিল। বোখারী শরীফের বরাতে বলা হয়েছে, তিনি বলেছেন, ‘কুষ্ঠ রোগীর কাছ থেকে এমনভাবে পলায়ন কর, যেভাবে তোমরা বাঘ হতে পলায়ন কর।’ ইবনে মাজা’র হাদিসে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সা.) একজন কুষ্ঠ রোগীর হাত ধরে একটি দোয়া পাঠ করে তাকে খাবারে শরিক করেন। কুষ্ঠ ও শেতি (ধবল) রোগ সম্পর্কে হজরত ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন, এটি এবং ধবল উভয় সংক্রামক বা ‘ছোয়াঁচে’ রোগ। তিনি আরো বলেন, কুষ্ঠ রোগীর সন্তানও এ রোগ হতে কম নিরাপদ। পিতার মধ্যে এ রোগ হওয়ার কারণে সন্তানাদির মধ্যেও তা স্থানান্তরিত হয়। এ বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ইমাম দামেরী (রহ.) বলেন, ‘কুষ্ঠ ও ধবল মূলত সংক্রামক নয় বরং আল্লাহ তাআলা কর্তৃক এতে আসর বা প্রভাব বিস্তার করার ফলে সংক্রমিত হয়েছে। কেননা আল্লাহর সুন্নাত বা বিধান প্রচলিত যে, কোনো কোনো সুস্থ নিরাপদ ব্যক্তি যদি কোনো রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অস্বাভাবিক নৈকট্য রাখে অথবা উভয় এক সাথে বসবাস করে, তাহলে দ্বিতীয় ব্যক্তিও তাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। অনুরূপভাবে সে সঙ্গী তার সাথে অবস্থানের কারণে জড়িয়ে পড়ে। আর দ্বিতীয় ব্যক্তিও যদি ঐ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে তখন লোকেরা মনে করে এসব রোগ সংক্রামক। অথচ রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামে কোনো সংক্রামক (ছোয়াঁচে) রোগ নেই এবং কোনো অশুভও নেই।’ প্রথমে হুজুর (সা.) এর দুইটি পরস্পর বিরোধী হাদিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ দুই’র মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। সার কথা হচ্ছে, কুষ্ঠ রোগী হতে দূরে থাকার নির্দেশ সে ব্যক্তির জন্য যে নিজের মধ্যে বিশ্বাস ও ভরসা (একিন ও তাওয়াক্কুল) উচ্চ স্তরের রাখে না, বরং তার ভয় ও আশঙ্কা হয় যে সে কুষ্ঠ রোগীর সাথে উঠা বসা করার দরুন আক্রান্ত হয়েছে। এ ধারণার বশবর্তী হয়ে অর্থাৎ সন্দেহ ও সংশয়ের কারণে শিরকে খফি বা অপ্রকাশ্য শিরক গোনাহের ভাগী হয়ে গেল। এ কারণে শরীয়ত এই বিশ্বাসকে বাতিল করে দেয় যে, একজনের রোগ অন্যের মধ্যে সংক্রমিত হয় অথবা উড়ে গিয়ে পেয়ে বসে, এ কথার কোনো বাস্তবতা নেই বরং প্রকৃতির বিধান এবং আল্লাহর ইচ্ছায়ই এরূপ হয়ে থাকে। কারণ প্রথম ব্যক্তির যেভাবে রোগ হয়েছে, দ্বিতীয় ব্যক্তিরও অনুরূপভাবে হয়ে থাকবে। সুতরাং, শায়খ কেরমানী উল্লেখ করেছেন, রসূলুল্লাহ (সা.)-এর এই কথা বলা যে, সংক্রামণ (ছোয়াঁচে) রোগের কোনো বাস্তবতা নেই, তবে কুষ্ঠ রোগ এর চেয়ে আলাদা।
‘কুষ্ঠ রোগ (ছোয়াঁচে) সংক্রমণ হয়ে থাকে’ শেখ সালাহউদ্দীন ইরাকী হুজুর (সা.) এর একটি উক্তি উদ্ধৃত করেছেন। যাতে বলা হয়েছে যে, ‘ধ্বংসাত্মক কোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কোনো ব্যক্তির সংস্রবে যাবে না।’ এ হাদিস দ্বারা তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন, যদি কোনো শিশুর মা কুষ্ঠ অথবা ধবল রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে তার জিম্মা হতে (লালন-পালন, দুধ পান করার) অধিকার বাতিল হয়ে যায়। কেননা মায়ের সাথে বসবাস ও দুধ পান করার ফলে শিশুর মধ্যেও কুষ্ঠ ও ধবল রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। শাফেয়ী মাজহাবের ইমাম দামেরী (রহ.) বলেন, ইরাকী যা বলেছেন তা অত্যন্ত স্পষ্ট। অতঃপর তিনি হাম্বলি মাজহাবের ইমাম ইবনে তাইমিয়ার এ মতের প্রতি সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন এবং মালেকী মাজহাবের সমর্থনের উদাহরণ প্রসঙ্গে বলেন যে, রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যদি সুস্থ লোকদের সাথে মোসাফিরখানা অথবা সরাইখানা ইত্যাদিতে থাকতে চায় তাহলে তার প্রতি বাড়াবাড়ি আরোপ করা হবে তবে অধিবাসীরা যদি অনুমতি দেয় তা ভিন্ন কথা।
একবারের ঘটনা। রসূলুল্লাহ (সা.) এর খেদমতে এক কুষ্ঠ রোগী বায়াতের জন্য হাজির হয়। তিনি উম্মতের শিক্ষার জন্য তার দিকে হাত বাড়ালেন না, বরং তিনি বললেন, ‘তুমি নিজের হাত বাড়াবে না, আমি তোমাকে বায়াত করলাম।’ অপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো সুস্থ লোক কোনো কুষ্ঠ রোগীকে লাগাতার দেখবে না এবং যখন তোমরা এ শ্রেণির লোকদের সাথে কথাবার্তা বলবে তখন মনে রাখবে যে, তার এবং তোমাদের মাঝখানে কমপক্ষে এক বর্শা (বল্লম)-এর তফাত থাকা উচিত।’
আগেরকার যুগের চিকিৎসাবিদগণ ‘আমরাযে মোতাআদ্দিয়া’ বা সংক্রমক রোগ সাত প্রকারের উল্লেখ করেছেন যা পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে। হুজুর (সা.) এর সময়ে ‘কুষ্ঠ ও ধবল রোগে’র কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ণিত সাত প্রকারের সংক্রামক রোগ সেকালেও বিদ্যমান ছিল। সুতরাং, রসূলুল্লাহ (সা.) এর উক্তি সব সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। বর্ণিত বিবরণে তিনটি মাজহাব শাফেয়ী, মালেকী এবং হাম্বলির কয়েকজন ইমামের মতামত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা কুষ্ঠ ও ধবলকে সংক্রামক মনে করেন এবং সংক্রামক রোগগুলো হতে দূরে থাকার নির্দেশ দেন। এ মতের সমর্থনে তারা কয়েকটি হাদিসও পেশ করে থাকেন।
প্রাচীন কালের সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে একটি বিখ্যাত রোগের নাম ‘অবা’ যাকে ‘তাউনও’ বলা হয়। এর অর্থ হচ্ছে, মহামারী, কলেরা প্রভৃতি প্রাণঘাতী রোগ। ইসলামের খেলাফত যুগে হজরত উমর (রা.) এর শাসনামলে হিজরী ১৮ মোতাবেক ৬৩৯ সালে ‘তাউন আমওয়াস’ নামক মহামারী সিরিয়া, মিশর, ইরাক প্রভৃতি আরব দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েক মাস ব্যাপী স্থায়ী এ ভয়ানক মহামারীতে পঁচিশ হাজার মুসলমান মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছিলেন বলে ইতিহাসে বর্ণিত। এসব মোজাহেদ সৈনিক তৎকালীন বিশ্বের এক চতুর্থাংশ জয় করার জন্য যথেষ্ট ছিলেন বলেও ইতিহাসের বর্ণনা। এ মহামারীর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্ণিত দেশগুলোতে মুসলমানদের অবিস্মরণীয় বিজয়মালার সময় লাখ লাখ রোমক সৈন্য নিহত হয় এবং মুসলমান শহীদানের সংখ্যাও ছিল বিপুল। মুসলমানগণ তাদের লাশগুলো অবিলম্বে দাফন করে ফেলেন। পক্ষান্তরে যুদ্ধে নিহত লাখ লাখ রোমক সৈন্যের লাশ রণাঙ্গণে যত্রতত্র বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকে এবং পচে গলে একাকার হয়ে যাওয়ার ফলে অবর্ণনীয় দুর্গন্ধ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
‘তাউনে আমওয়াসে’র বিবরণ ইতিহাস গ্রন্থসমূহে উল্লেখিত হয়েছে। এখানে আমাদের আলোচ্য বিষয় এ সংক্রামক রোগ নিয়ে। এ সর্ম্পকে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল। ১৭ হিজরীতে শুরু হওয়া এ মহামারীর ফলে খলিফা হজরত উমর (রা.) দামেশক ও সিরিয়ার বিভিন্ন শহর সফর করতে পারেননি। তাকে এ সফর হতে বিরত রাখা হয়। আল্লামা শিবলী নোমানী ঘটনাটি বিশদভাবে উল্লেখ করেছেন। সংক্ষিপ্ত বিবরণ নি¤œরূপ:
‘তাউনে আমওয়াস’ ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে হজরত উমর (রা.) প্রথমে এর প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য যাত্রা করেন এবং ‘সারা’ নামক একটি স্থানে পৌঁছেন। তাকে স্বাগত জানাবার উদ্দেশ্যে হজরত আবু উবায়দা (রা.) প্রথমে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। মহামারী দ্রæত ভয়াবহ রূপ ধারণ করার খবর পেয়ে তিনি মোহাজেরীন ও আনসারগণকে ডেকে তাদের মতামত অবহিত হন। বিভিন্ন জন বিভিন্ন মত ব্যক্ত করেন। মোহাজেরীন এক বাক্যে বললেন, ‘আমিরুল মোমেনীন! আপনার এখানে অবস্থান করা উচিত হবে না।’ হজরত উমর (রা.) হজরত আব্বাস (রা.)-কে প্রচার করতে বলেন যে, ‘আগামী কাল যাত্রা।’ তকদীরে কঠোর বিশ্বাসী হজরত আবু উবায়দা (রা.) অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, ‘আ ফেরারুন মিনকাদরিল্লাহ’, অর্থাৎ “এটা কি ‘তকদীরে এলাহী’ হতে পলায়ন নয়?” হজরত উমর (রা.) এরূপ কড়া উক্তি হজম করে গেলেন এবং বললেন, ‘নাআম! আফিররু মিন কাযায়িল্লাহি ইলা কাযায়িল্লাহ’, অর্থাৎ হ্যাঁ! “আমি ‘তকদীরে এলাহী’ হতে পালিয়ে তকদীরে এলাহী’র দিকেই পলায়ন করছি।” এরপর খলিফা খোদ মদীনায় চলে আসেন এবং আবু উবায়দা (রা.)-কে লিখলেন যে, ‘তুমি কিছু দিনের জন্য চলে এসো, তোমার সাথে কাজ আছে।’ আবু উবায়দা (রা.) মনে করলেন যে, মহামারীর ভয়ে তাকে ডাকা হয়েছে। তিনি জবাবে লিখলেন, মুসলমানদেরকে ছেড়ে তিনি আত্মরক্ষার জন্য সেখান থেকে সরে যেতে পারেন না। তকদীরে যা কিছু লেখা আছে তাই হবে। হজরত উমর (রা.) জবাব পাঠ করে কাঁদলেন এবং তাকে লিখলেন, ‘ফৌজ যেখানে অবতরণ করেছে, তা নিচু ও স্যাঁতস্যাঁতে স্থান, তাই কোনো উত্তম স্থান দেখে সেখানে চলে যাও।’
হজরত আবু উবায়দা (রা.) খলিফার নির্দেশ অনুাযয়ী মনোরম আবহাওয়ার স্থানে তাঁর সেনাবাহিনী সমেত ‘জাবিয়া’ নামক স্থানে গিয়ে অবস্থান করেন। আমওয়াস মহামারী যখন তীব্র আকার ধারণ করে তখন লোকদেরকে সমবেত করেন এবং এক হৃদয়গ্রাহী ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন, তাতে মূল্যবান উপদেশ ছিল। হজরত মাআজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেন। যেহেতু জোহরের নামাজের সময় ছিল, তাই তিনি হজরত মাআজ (রা.)-কে নামাজ পড়াতে বলেন। নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে হজরত আবু উবায়দা (রা.) ইন্তেকাল করেন। মহামারী এতই মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল যে, সৈন্যদের মধ্যে দারুণ বিশৃংখলা দেখা দেয়। এ সময় হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) লোকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এ মহামারী ও বালাগুলো বনি ইসরাইলের ওপর নাজেল হয়েছিল। তাই এখান হতে সরে যাওয়া উচিত।’ তার বক্তব্য শুনে হজরত মাআজ (রা.) মিম্বরে উঠে ভাষণ প্রদান করেন এবং বলেন, ‘এটি মহামারী নয়, আল্লাহর রহমত।’ খুতবা শেষে তিনি শিবিরে আগমন করেন, তখন দেখতে পান ছেলে অসুস্থ। অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বললেন, ‘ইয়া বুনাইয়া! আল হক্কু মির রাব্বিকা ফালা তাকুনান্না মিনাল মোমতারীন।’ অর্থাৎ ‘হে বৎস! এটি আল্লাহর পক্ষ হতে দেখ, সন্দেহ পোষণকারীদের মধ্যে হবে না।’ ছেলে জবাবে বললেন, ‘সাতা জিদুনি ইনশাআল্লাহু মিনাসসাবেরীন’ অর্থাৎ ‘আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।’ এ কথা বলে ছেলে ইনতেকাল করেন। ছেলের দাফন কাজ শেষ করে আসার পথে হজরত মাআজ (রা.) অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তিনি হজরত আমর ইবনুল আস (রা.)-কে তার স্থলাভিষিক্ত করেন এবং ইন্তেকাল করেন।
‘তাউনে আমওয়াস’ মহামারীকে হজরত মাআজ ইবনে জাবাল (রা.) আল্লাহর রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাই তিনি এর প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। কিন্তু হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) মাআজ (রা.) এর ইন্তেকালের পর দায়িত্ব ভার গ্রহণ করে সাধারণ সভা ডেকে ভাষণ দেন এবং বলেন মহামারী যখন শুরু হয়েছিল তখন আগুনের ন্যায় বিস্তার লাভ করতে থাকে। তাই সকল সৈন্যকে এখান থেকে স্থানান্তরিত হয়ে পর্বত মালায় চলে যাওয়া উচিত। এতে মতভেদ সত্তে¡ও হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) সৈন্যদেরকে নিয়ে পর্বত মালায় উঠে যান। অতঃপর মহামারীর আশংকা দূর হয়ে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Zohurul Haque ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:০৫ এএম says : 0
আল্লাহই ভাল জানেন
Total Reply(0)
মোহাম্মদ আদিল ২৯ মার্চ, ২০২১, ৬:৫৭ পিএম says : 0
আমি একজন মুসলিম আমার আল্লাহ পাঁক ও উনার সকল নবী,রাসূল, ফেরেশতা, জান্নাত, জাহান্নাম, জীবন, মৃত্যুর সহ সব কিছুই প্রতি ঈমান আছে।তাই আমি সম্পূর্ণ রুপে আল্লাহ পাঁকের উপর তাওয়াক করি।
Total Reply(0)
মো সানোয়ার হোসেন পাইক ২০ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৭ পিএম says : 0
الله فى عون العبد ما كان العبد عون اخيه
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন