বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মসজিদ লকডাউনে আনা হচ্ছে না কেন : জুমা ও শবে বরাতে ঘরে থাকুন

ইসলামী ভাষ্যকার | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:১০ এএম, ৬ এপ্রিল, ২০২০

দেশের সচেতন ইমাম ও মুসল্লি সমাজ আবেগমুক্ত শরিয়তের বিধান বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। তারা বিজ্ঞ ও সচেতন আলেম সমাজের দেওয়া নির্দেশনা পুরোপুরি মেনে চলবেন। এই ছিল রাজধানীর একটি অনলাইন ইমাম সম্মেলনের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের মসজিদসমূহ এই মুহূর্তে লকডাউনের আওতায় আনা উচিত। মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সরকার এর দায় এড়াতে পারবে না।
বর্তমানে মক্কা-মদিনাসহ সারা বিশ্বের প্রায় সব মসজিদ লকডাউনের আওতায়। ইমাম-মুয়াজ্জিন খাদেমসহ সীমিত কয়েকজন জামাত কায়েম করেন। সব মুসল্লি নিজ নিজ গৃহে নামাজ পড়ছেন। এমতাবস্থায় কেবল ব্যতিক্রম বাংলাদেশের কিছু মসজিদ। অনেক মসজিদে মুসল্লি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা করোনাভাইরাস বিস্তারে সহায়ক হতে পারে। ইমামগণ বলেন, আমরা মুসল্লিগণকে মসজিদে না এসে নামাজ বাসাবাড়িতে পড়ার জন্য যতই বলছি ততোই উল্টো ফলাফল প্রকাশ পাচ্ছে। ফাঁকা হয়ে দাঁড়াতে বললে তারা আরো মিলেমিশে দাঁড়ান, বরং ক্ষেত্রবিশেষ উল্টো মন্তব্য করে, ইমাম সাহেবের আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) কম। এছাড়া মসজিদগুলি কমিটি শাসিত। কমিটির যত মানুষ, তত মত। ইমামের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন।
এ বিষয়ে খতিব মুফতি ওযায়ের আমীন কর্তৃক প্রচারিত বিবৃতিতে ইমামগণ বলেন, সরকারের ভাবে এমন মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, ওলামায়ে কেরামের অনুমোদনের অভাবে সরকার মসজিদকে লকডাউনের আওতায় আনতে পারছেন না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দুইবার মিটিং করেও সরকার আলেমদের কথা সামনে এনে জনগণকে বোঝাতে চাইছে যে, আলেমদের পরামর্শ ছাড়া মুসল্লিদের স্রোত সরকার ফেরাবার চেষ্টা করবে না। আসলে বাস্তবতা কী? দেশের কোন সিদ্ধান্তটা ওলামায়ে কেরামের অনুমোদনের জন্য আটকে থাকে। আমরা তো দেখি, ওলামায়ে কেরামের বিরোধিতার পরও হাজারো সিদ্ধান্ত সরকার নিয়ে থাকে।
ইমামগণ বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলে দিয়েছে মসজিদে সীমিত আকারে সংক্ষিপ্তভাবে জামাত ও জুমা চলবে। সাধারণ মুসল্লিগণ নিজ গৃহে নামাজ পড়বেন। কিন্তু সীমিতকরণের সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা না থাকায় সীমিতকরণের অনুরোধ জানানোর পর মসজিদে মৌসুমী মুসল্লির সংখ্যা আরো বাড়ছে। এখানে মুসল্লি সমাগম সত্যিই সীমিত হচ্ছেন না কেন? (অথচ সীমিত না বলে ইমাম-মুয়াজ্জিন ও অন্য দুই একজন নিয়ে জামাত ও জুমা হবে, এর বেশি মুসল্লি আসবেন না বলে দিলেই হত)। এ ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের বক্তব্য কী? অথবা এর জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন? আলেম সমাজ, ইমাম, খতিব ও সচেতন ধর্মপ্রাণ মানুষ তা জানতে চায়।
সউদী আরবসহ সারা মুসলিম বিশ্বের এমনকি সারা দুনিয়ার মসজিদসমূহে সাধারণের গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি ও শক্তি প্রয়োগে, এমনকি কারফিউ দিয়ে বলবৎ করা হয়েছে উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, যেসব দেশে মসজিদকে লকডাউন করা হয়েছে সেখানে কি ইমাম-খতিবদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে, নাকি সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে? অবশ্যই সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। তাহলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইমামদের কেন দায় নিতে হবে? সরকার কেন সিদ্ধান্ত নিবে না? কোনো অবস্থায়ই সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।
ইমাম-খতিবগণ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা বিজ্ঞ ও সচেতন ওলামায়ে কেরামের দেয়া পরামর্শ দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের পূর্বে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিন এবং তা বাস্তবায়ন করুন। অতি সীমিত আকারে আজান-নামাজ-জুমা চালু রেখে সব মুসল্লিকে ঘরে নামাজ পড়তে বাধ্য করুন। জুমা ও শবে বরাতে যেন তারা ঘরেই নামাজ পড়েন। বিপদের কিছুদিন শরিয়তের এ সতর্কতামূলক নির্দেশনা মেনে চলে এবং ঘরে অবস্থান করে তারা অশেষ নেকি পাবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে ইন শা আল্লাহ, সব সময়ের মতো তারা প্রাণভরে মসজিদে নামাজ-বন্দেগি করতে পারবেন।
এ ছিল রাজধানীর ইমামগণের একটি সম্মিলিত বক্তব্য। এ বিষয়ে মক্কা ও মদিনার দুই হারাম শরিফের বর্তমান নামাজ পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং সারা দুনিয়ার মান্য মুফতিগণের ফতোয়া ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব। কিন্তু যে কোনো কারণে দেশের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যেতে থাকলেও মসজিদের সমাগমটি কেবল ইমাম ও খতিবগণের কাঁধে একটি দায়ের মতো চাপিয়ে রেখে সরকার সময় ক্ষেপণ করছে। যখন মাসাধিককাল থেকে হারামাইন শরিফাইন সীমিত আকারে নামাযের দৃষ্টান্ত পেশ করেছে। ইতোমধ্যে ওমরাহ স্থগিত এবং বর্তমানে হজ বাতিলের কথা প্রায় পাকা হতে যাচ্ছে। এসব সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আলেমগণ শুধু পরামর্শ দিচ্ছেন। বাংলাদেশেও মুসল্লিদের কেবল অনুরোধ করা ছাড়া ইমামগণের বেশি কিছু করার নেই। এ প্রসঙ্গে দেওবন্দ, আল-আজহার, হারামাইন শরিফাইন, কুয়েত-কাতার, ভারত-পাকিস্তান, বাংলাদেশ বিশেষত আল্লামা মুফতি তাকি ওসমানী, আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানীসহ বিশ্বের সব আলেম শুধু মসজিদ, আজান, জামাত, জুমা চার-পাঁচজন লোক নিয়ে চালু রাখা এবং মহামারি কবলিত ও ভয়াবহ সম্ভাবনাময় সংক্রমণের আশঙ্কাজনিত শরিয়তসম্মত কারণে মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার অনুরোধ পাওয়া যাওয়ার পরেও বাংলাদেশে মুসল্লিদের কেন এ হুকুম পালনে বাধ্য করা হচ্ছে না তা বোধগম্য নয়। বাজারে, রাস্তঘাটে প্রয়োজন ছাড়া চলাফেরা বন্ধ। সারাদেশে দীর্ঘদিনের সাধারণ ছুটি। প্রায় ১৮ কোটি মানুষের অনুন্নত ও বিশৃঙ্খল দেশে সব বাহিনী কাজ করে মানুষকে ঘরে রাখার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব ভালো সাফল্য দেখিয়েছে। মসজিদের ব্যাপারে তারা ব্যর্থ কেন? এটা কি কোনো বেøইমগেম সাজানোর জন্য। আল্লাহ না করুন, এদেশে মহামারি বড় ও ভয়াবহ রূপ নিলে কেউ যেন অনিয়ন্ত্রিত ও আবেগপ্রবণ নামাজিদের দোষ দিতে না পারে। এই মুহূর্তে এর বেশি বলার কিছু নেই। এরই মধ্যে আমরা দেখেছি, পাকিস্তানে আলেমগণের এ পরামর্শ না মানায় ৩৪ জন ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুঃখজনক হলেও আলেমদের সিদ্ধান্ত না মেনে তাবলীগি এজতেমা করায় মালয়েশিয়ায় প্রথম সেখান থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যায় যা সামাল দিতে দেশটি গলদঘর্ম হচ্ছে। পাকিস্তানে রাইওয়েন্ড এজতেমা থেকে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সিন্ধুতে তাবলীগি জামাতকে গণপ্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। দিল্লির সা’দ সাহেবের বিষয় এখন সারা ভারতে মুসলমানদের জন্য বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো রূপ নিয়েছে। নিজাম উদ্দিন মারকাজ পুলিশের হাতে। মাওলানা সা’দ সাহেব মামলা ও গ্রেফতারির মুখোমুখি। এর চেয়েও বেশি শঙ্কা রয়েছে তার করোনা পজেটিভ হওয়ায়। ইতোমধ্যে কয়েকজন তাবলীগি প্রাণ হারিয়েছেন, কয়েক শ’ আক্রান্ত, বাকিরা চরম হয়রানির শিকার। বাংলাদেশিরাও দিল্লিতে আটকা পড়েছেন। অবশ্য এসবের পর ঢাকার কাকরাইল মসজিদ তার আওতাধীন সকল জামাতকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পরিস্থিতির নাজুকত্ব বুঝতে হবে, অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করি না হয়ে বিজ্ঞ আলেমদের কথা শুনতে হবে, বেশি আবেগ না দেখিয়ে শরিয়তের বিধান মানতে হবে।
এই মুহূর্তে মসজিদে বড় জামাত, জুমা, শবেবরাত, তাবলীগী জামাত, দোয়া মাহফিল ও লোকসমাগম এড়িয়ে চলাই ইসলামের নির্দেশ। এ সংক্রান্ত বহু আয়াত ও হাদিস আলেমগণের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা আছে। আমরা কেবল ইতিহাস থেকে কিছু বাস্তবতা ও সাহাবায়ে কেরামের কিছু নির্দেশনা পেশ করছি।
ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) মহামারি সম্পর্কে তার অনবদ্য গ্রন্থ ‘বাজলুল মাঊন ফি ফাদ্বলিত তাউন’ এ দুটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। দামেশকে একবার মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন তারা হাজারো মানুষ সমবেত হয়ে ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেছিলেন। আগে প্রতিদিন ৫০ জন করে মারা যেত দোয়া মাহফিলের পর হাজার মানুষ মারা যেতে লাগল।
অনুরূপ, কায়রোতে ৮৩৩ হি সনে ব্যাপক মহামারি সৃষ্টি হয়েছিল। সকলে তিন দিন রোযা রেখে মরুভূমিতে গিয়ে দোয়া করল। জমায়েতের ফল হল হিতে বিপরীত। মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়ে গেল দৈনিক হাজারে।
দোয়া মাহফিল ভালো নিঃসন্দেহে। কিন্তু মহামারির সময় ঘরে অবস্থান করা ইসলামের নির্দেশ। আর এ কারণে ভয়াবহ আমওয়াস মহামারির সময় আমর বিন আস (রা.) বললেন, হে লোকসকল, এ মহামারি হল আগুনের মত। যখন আসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই তোমরা পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়। তখন সকলে পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।
সুতরাং আমাদের প্রত্যেককে এখন ইসলামের নির্দেশনা মেনে ঘরমুখী হতে হবে এবং ঘরকেই মসজিদে রূপান্তরিত করতে হবে। দুনিয়ার সব বিজ্ঞ ও সচেতন মুফতি এবং আলেমগণের নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকুন। এমনকি জুমা ও শবেবরাতেও ঘরে নামাজ ও ইবাদতে নিমগ্ন থাকুন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (38)
Mohammed Shah Alam Khan ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫৫ পিএম says : 0
খুবই দুঃখজনক বিষয়, বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিতব্যাক্তিরা রাজধানী ঢাকা শহরে বসবাস করে; আর সেই শহরেই মূর্খতা বিরাজ করছে এবং এই মূর্খতা প্রকাশ পাচ্ছে শিক্ষিত ব্যাক্তিদের মধ্যথেকে। আমি শুনে আসছি মসজিদে লোকসমাগম কম হতে হবে, জামাত সিমিত লোকদিয়ে সারতে হবে। কিন্তু আমি এখন বিদেশে অবস্থান করছি এবং পত্রিকা খুলে দেখছি গায়ে গায়ে লেগে প্রচুর লোক মসজিদে নামাজ আদায় করছেন। এটা সত্যই দুঃখ জনক, এখন কোন ধর্মীয় ভয়ের কারন নেই, সেনাবাহিনী ও পুলিশকে কঠিন রূপ ধারন করে এসব শিক্ষিত অপদার্থ লোকদেরকে লাঠি পেটা করে মসজিদে যেতে বাধা দিতে হবে, তাহলেই দেশের লোকজনের কল্যাণ হবে। নয়ত এই করোনাভাইরাস যদি এই সমাবেশে একজনের থাকে তাহলে সবাইকেই আক্রান্ত করবে এটাই সত্য। কাজেই দেরী নয় এখনই সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনীকে প্রতিটি মসজিদ পাহাড়া দিতে হবে যাতে করে ইতর প্রকৃতির তথাকথিত শিক্ষিত লোকজন প্রবেশ করতে না পারে। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য জানার ও বুঝার ক্ষমতা দান করুন এবং সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
mirajul islam ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪১ পিএম says : 0
Agree with you.
Total Reply(0)
Saif Zaman ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫২ পিএম says : 0
সব মসজিদ,মন্দির, গীর্জা লকডাউনের আওতায় আনা উচিত খুবই দ্রুত। কেউই রক্ষা পাবেন না। ইসলামে বোকাদের স্থান নেই। গনজামায়েত হয় এমন সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা জরুরী।
Total Reply(0)
Akid Ahsan ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম says : 0
ধন্যবাদ ইনকিলাবকে। করোনার ভয়াবহতা যাতে বিশ্বে ছড়িয়ে না পড়ে, দেশের সার্বিক কল্যাণে যথার্থ সিদ্ধান্ত নিতে আহবান জানাই ।
Total Reply(0)
Shahdot Hossin ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম says : 0
আমার মতে-কিছু দিন মসজিদ বন্ধ থাকা ভাল হবে। তাতে করে ধরা পড়বে অরজিনাল রোগী। আল্লাহর কাজ বাড়িতে করা যায় প্লাস গরীব লোকদের সাহায্য করাটাও আল্লাহর বড় কাজ। অতএব গায়ের জোরে কথা বলে লাভ কি? যখন বেশি সংখ্যক লোক এই রোগে আক্রান্ত হবে,তখন কি করবে? অন্যের খারাপ চেয়ে লাভ কি? আল্লাহর প্রতি ভালবাসা থাকলে গরীবদের প্রতি উদাসীন হন প্লাস নামাজ পড়ুন বাড়িতে
Total Reply(0)
মোহাম্মদ কাজী নুর আলম ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৫ পিএম says : 0
বিষয়টি অনেক সুন্দরভাবে স্ষ্পষ্ট করে বুঝিয়ে লেখায় ইনকিলাবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি সবাই বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে দেখবেন। আসলে ইসলাম ধর্মে গোড়ামির কোনো স্থান নেই, শতভাগ একটি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম।
Total Reply(0)
MD Al Amin ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৫ পিএম says : 0
বাংলাদেশের আলেমদের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাই আমি
Total Reply(0)
Kabita Khan ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৬ পিএম says : 0
মুসলমানদের কেন্দ্রীয় স্হান মক্কা মদিনা বন্ধ করা হয়। আরব দেশের সকল মসজিদ বন্ধ করা হয়। ঘরে ঘরে নামাজ আদায় করার অনুমতি দেন।সব মসজিদে তালা। জুমার নামাজ স্থগিত । সে খানে আমাদের দেশের আলেমগন এইসব কিছুই মানছেন না এর মানে কি?? তাহলে মক্কা মদিনার ছেয়ে বড় আলেম আমাদের দেশে????
Total Reply(0)
Rajib Ahmed Raju ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৭ পিএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ,,,,, এই সিদ্ধান্তের কারণে হয়তো মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের এই মহা গজব হইতে রক্ষা করতে পারেন। আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর।
Total Reply(0)
Emran Islam ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৮ পিএম says : 1
আমাদের দেশের সাধারণ মুসলিমদের উচিত আলেম-ওলামাগণ যে রায় পা পথ অনুসরণ করতে বলছেন সে পথেই আমাদের চলতে হবে , সে পথে চললে কামিয়াব হবে ইনশাল্লাহ । দয়া করে কেহ অহেতুক মন্তব্য করবেন না ।
Total Reply(0)
Milon Ahamed ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম says : 0
“এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি উট বেঁধে রেখে আল্লাহর উপর ভরসা করব, না বন্ধনমুক্ত রেখে? রাসূল (সাঃ) বললেন, আগে উট বেঁধে নাও, অতঃপর আল্লাহর উপর ভরসা কর।” (তিরমিযী হা/২৫১৭)
Total Reply(0)
Shimul Rahman ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম says : 0
লেখকের প্রতি শুকরিয়া। আসলে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এই জাতির ধ্বংস অনিবার্য! যাদেরকে উষ্ঠা খাইয়াও কোনদিন পশ্চিম দিকে পড়তে দেখিনাই, আজ এই দুর্যোগের সময় তারাও মসজিদে গিয়ে ভীড় করছে! সৌদিতে যেখানে মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী বন্ধ করে দিয়েছে সেখানে ধুরন্দর বাংগালী মসজিদ খোলা রাখার জন্য লাফাচ্ছে। এদের নিয়ে বলার কিছুই নাই, এরা করোনায় মরবেনা এরা মরবে বিশ্বাসের ভাইরাসে!
Total Reply(0)
Shimul Rahman ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম says : 0
লেখকের প্রতি শুকরিয়া। আসলে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এই জাতির ধ্বংস অনিবার্য! যাদেরকে উষ্ঠা খাইয়াও কোনদিন পশ্চিম দিকে পড়তে দেখিনাই, আজ এই দুর্যোগের সময় তারাও মসজিদে গিয়ে ভীড় করছে! সৌদিতে যেখানে মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী বন্ধ করে দিয়েছে সেখানে ধুরন্দর বাংগালী মসজিদ খোলা রাখার জন্য লাফাচ্ছে। এদের নিয়ে বলার কিছুই নাই, এরা করোনায় মরবেনা এরা মরবে বিশ্বাসের ভাইরাসে!
Total Reply(0)
Emran Islam ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম says : 1
আমি সাধারন মুসলিম , দেশের আলেম সমাজ যেরকম আমল করতে বলবে সেরকম ভাবে চলার অঙ্গীকার করব ইনশাআল্লাহ ।
Total Reply(0)
Lokman Hossain Bahar ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম says : 0
বর্তমানে আপদকালীন সময়ে কাতারে জামাতে নামাজ পড়লে তিন বছরের জেল দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে কাতার সরকার।
Total Reply(0)
Rasel Ahammed ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম says : 0
ইনশাল্লাহ ভাল ডিসিশন।
Total Reply(0)
কে এম শাকীর ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১:৫২ এএম says : 0
বেশি আবেগ না দেখিয়ে বাস্তবতাকে মেনে নেয়াই মুসলিমদের সেরা সিদ্ধান্ত হবে। যেখানে হাদিসে সুযোগ দেওয়া আছে সেখানে বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। ধন্যবাদ ইনকিলাবকে সময় উপোযোগী লেখা প্রকাশ করায়।
Total Reply(0)
Hedaetullah ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৪৭ এএম says : 0
ইনকিলাবকে ধন্যবাদ, আমি একজন ইমাম, আগে আমার মসজিদে হাজার বারোশো লোক হত ওয়াক্তিয়া নামাজে, এখন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার লোক হয় প্রতি ওয়াক্তে জুমা 8 থেকে 10 হাজার লোক হচ্ছে, আমি মনে করি, বিষয়টি আমলে আসা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে প্রয়োজনে বারবার সমাজের সামনে তুলে ধরতে হবে এবং রমজানে তারাবির নামাজ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
Total Reply(0)
মাওলানা এহছানুল হক ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৮:০৭ এএম says : 0
দৈনিক ইনকিলাব থেকে এ ধরনের পোষ্ট আমরা আশা করি নি বাংলাদেশে এখনো মসজিদ লকডাউন করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি
Total Reply(0)
Saiful Baten Tito ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫৮ এএম says : 0
সব বিষয়েে সরকারকে দায় দেয়্ বন্ধ করেন। এদেশর মুসলমানেরা যতটা না ধার্মিক তার চেয়ে বেশি লোক দেখানো।
Total Reply(0)
Arif Ahmad ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৪৮ পিএম says : 0
আমি একজন মুসলিম হিসাবে বলতে পারি, এটা সঠিক পরামর্শ, তা আমাদের জন্য অনেক ভালো, আমার ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে, তিনি সৌদি আরবে থেকে বললেন, সৌদি আরব অনেক আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ,মসজিদে তিনজন করে নামাজ পড়া হয়।
Total Reply(0)
Mohd Sayem ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৪৯ পিএম says : 0
আমরা যেনো করোনা ভাইরাস নিয়ে হাসি- ঠাট্টা কিংবা ট্রল না করি।বরং আমরা সুস্থ আছি,এটা আল্লাহর দয়া।তাই শুকরিয়া জ্ঞাপন করি #আলহামদুলিল্লাহ্।
Total Reply(0)
Johirul Islam Nayan ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫০ পিএম says : 0
মসজিদে ৫ জন এর বেশি নয় বুঝলাম,বাজারে শতশত মানুষ তা কি করবেন?পুলিশ চা এর দোকানে বসে চা খায় আর গল্প করে তা ফিরাবেন কি করে।
Total Reply(0)
MD Ruhul ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৩ পিএম says : 0
১- সৌদি আরবে মক্কা মদিনা থাকা সত্ত্বেও জুমার নামাজ আদায় হচ্ছে না! ২- উজবেকিস্তানে সিহা সিত্তাহ হাদিস সংকলনকারি ইমাম বুখারীসহ অসংখ্য হাদীস তফসিরকারকদের জন্মস্থান সত্ত্বেও জুমার নামাজ হচ্ছে না! ৩- ইরাকে অসংখ্য নবী পয়গম্বর ও সাহাবিদের জন্মস্থান এবং মাজার থাকা সত্ত্বেও জুমার নামাজ হচ্ছে না! ৪- সিরিয়াতে দুনিয়ার প্রথম কাবা মসজিদুল আকসা বিজয়ী বীর সালাউদ্দিন আইয়ুবীর জন্মস্থান ও বিখ্যাত উমাইয়া মসজিদ থাকা সত্ত্বেও জুমা নামাজ হচ্ছে না! ৫- মিশরে বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও বিখ্যাত ক্বারী আব্দুল বাসিতের জন্মস্থান সত্ত্বেও জুমা হচ্ছে না! ৬- ইরান শেখ সাদি, ইমাম গাজ্জালি, ইবনে সিনা, ইমাম মুসলিম রাজির জন্মস্থান, সমাধি ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র হয়েও জুমার নামাজ আদায় হচ্ছে না! ৭- ফিলিস্তিনিরা এত নবী রাসূল পেয়েও জুমা নামাজ আদায় করছে না! ৮- ইয়েমেন, জর্ডান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান জুমার নামাজের কাছেও যাচ্ছে না! ৯- মাহাথিরের মালেয়শিয়াতে জুমার নামাজ আদায় হচ্ছে না! ১০- ইন্দোনেশিয়া এত সংখ্যক মুসলিম নিয়েও জুমার নামাজ আদায় করছে না! ১১- আফ্রিকার অধিকাংশ মুসলিম দেশগুলোতে জুমার নামাজ আদায় হচ্ছে না! ১২- মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো কেউই জুমার নামাজ আদায় করছে না! * গত দুই সপ্তাহ যাবত এইসব দেশের বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ করে তথ্যগুলো জানলাম! তারপরও কারো কাছে ভিন্ন তথ্য থাকলে আমাকে দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন প্লিজ।
Total Reply(0)
Mamun Rashid Khan ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৫ পিএম says : 0
একশত ভাগ কার্যকর করা হউক, আবেগ নয় এখন বিবেকের প্রয়োজন, আর গ্রাম্য বাজার দোকানপাট মহিলাদের গীবত সমাবেশ বন্ধ করা হউক।
Total Reply(0)
Syed Zulfikar Ali Haider ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৫ পিএম says : 0
মসজিদে প্রটেকশনবিহীন সালাত পড়ে বলছেন হায়াত তো আল্লাহর হাতে। আপনার মেয়েকে বেকার ছেলের নিকট বিয়ে দিচ্ছেন না কেন? রিজিকও তো আল্লাহর হাতে। নাকি এই যায়গায় তাওয়াককুল মার খেয়ে যায়?
Total Reply(0)
Sabbir Ahmed r ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৬ পিএম says : 0
আমাদের দেশের মুসলমানরা মনে করে মসজিদে না গেলে নামাজ হবে না। নামাজ বাসায়ও পড়া যায়। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মহামারী বা প্রতিকুল অবস্থায় বাসায় নামাজ আদায় করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। সরকার কিন্তু আমাদের নামাজ পড়তে নিষেধ করে নি। বরং মহামরী এই পরিস্থিতিতে সাময়িক সময়ের জন্য মসজিদে না পড়ে বাসায় পড়তে বলছে। এখানে এটা একটা সঠিক সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ছাড়াও অনেক মুসলিম দেশ নিয়েছে। এই বিষয়েও পৃথিবীর সব আলেমরা একমত। কিন্তু আমরা এইগুলো বুজি না। আমাদের এটাই সমস্যা। আমরা এমন মুসলিম, আমরা নিজেদের জন্য নিজেরা দোয়া করতে পারি না। আমাদের ভায়া লাগে দোয়া কবুল করার জন্য। আমরা টাকা দিয়ে অন্য একজনের মাধ্যমে দোয়া করাতে হয়। আমরা এতিম, গরীব এবং ভাল কাজে দান না করে বাবার মাজারে দান করি। আমরা মনে করি আমরা পীর আউলিয়া না ধরলে জান্নাতে যাওয়া যাবে না। আমাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড এবং ভন্ডামি ইসলামে জায়গা নেই। আমরা বিশ্বাস করি মানুষের কথায়, ভন্ডদের কথায় কিন্তু বিশ্বাস এবং জ্ঞান রাখিনা আল্লাহ তাআলার কিতাব এবং নবী কারিম(সঃ) এর বাণীতে।
Total Reply(0)
M K Hossain ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৮ পিএম says : 0
যেখানে সরকার গার্মেন্টস বন্ধ করতে পারেনি সেখানে মসজিদ নিয়ে এত টানাটানি কেন।। শুধু কি মসজিদে গেলে সংক্রমণ হবে। আর গার্মেন্টস থেকে সংক্রমণ হবে৷ না???
Total Reply(0)
Md Labu Miah ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৯ পিএম says : 0
এটা মহামারী নবী করিম সাঃ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেছেন এই সময়ে নামাজ জামাতে আদায় করতে হবে?সময় মত পাছ ওয়াক্ত নামাজ ঘরে পড়েন।আমাদের দেশে অনেক মুসল্লী আছেন মনগড়া কথাবার্তা বলেন।
Total Reply(0)
Md Labu Miah ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৭ পিএম says : 0
এই সিদ্ধান্তটা আরও আগে নেওয়া হলে অনেক ভালো হতো । আমরা এমন অজ্ঞানী মুসল্লী যেখান সারা পৃথিবীর মানুষ এই গজবে পেরেশান আমরা কানেই তুলছি না। অথচ মহামারী, দুর্যোগ, অতি বৃষ্টি ও প্রখর রোদে নামাযের ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল ( সাঃ) হাদীস রয়েছে। আল্লাহ আমাদের রহমত
Total Reply(0)
Runa Parvin ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৭ পিএম says : 0
যদি সৌদি আরবে কাবা শরীফ ও মসজিদে নববী বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে মসজিদ বন্ধ করে দিতে আমাদের সমস্যা টা কোথায়।
Total Reply(0)
Ridwanul Islam ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৮ পিএম says : 0
একটা ভুলকে অন্য ভুল দিয়ে জাস্টিফাই করছে মানুষ। মসজিদ বন্ধ করতে গেলেই বলে বাজার খোলা, দোকান খোলা, গারমেন্টস খোলা তাহলে মসজিদ কেন বন্ধ থাকবে। আবেগি মানুষের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে সমাজে।
Total Reply(0)
Zakaria Ahsan ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৮ পিএম says : 0
যদিও কষ্ট লাগছে শুনে কিন্তু এই অবস্থায় এটাই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। সবাইকে মেনে চলার আহবান জানাচ্ছি। আল্লাহ এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের সকলকে শীঘ্রই পরিত্রাণ দান করুক।
Total Reply(0)
Zakaria Ahsan ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৮ পিএম says : 0
যদিও কষ্ট লাগছে শুনে কিন্তু এই অবস্থায় এটাই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। সবাইকে মেনে চলার আহবান জানাচ্ছি। আল্লাহ এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের সকলকে শীঘ্রই পরিত্রাণ দান করুক।
Total Reply(0)
Nahid Hasan ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৯ পিএম says : 0
আ্যয় আল্লাহ্,তুমি সকল মানুষকে হেদায়েত দান করো।বিধর্মীরা যেহেতু মসজিদে যায় না,নিশ্চই তারা ভুলে মারা যাচ্ছে।তুমি আমাদের ক্ষমা করো।এবং বসায় নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করো।তোমার ঘর কে তুমি আবাদ রেখো।আমাদের সাবধান থাকার তৌফিক দান করো,মহামারী থেকে হেফাজত করো।
Total Reply(0)
MD Saiful ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:২০ পিএম says : 0
১।হাফেজ ইবন হাজর 827 হিজরির ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, ‘এ বছরের শুরুতে মক্কায় ভয়াবহ মহামারী ছড়িয়ে পড়ে, প্রতিদিন 40 জন করে মারা যাচ্ছিল, কেবল রবিউল আউয়াল মাসেই মারা যায় 1700 জন।এমতাবস্থায় সেখানে গনমানুষের জামায়াতে সালাত সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।মাকামে ইবরাহীমের ইমাম মাত্র দু’জন মুক্তাদি নিয়ে নামায আদায় করতেন।' (তথ্যসূত্র:শায়খ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আল-আজহারী ২।মহান আল্লাহ বলেন: "তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করো না"। এই আয়াতে মহান আল্লাহ আত্মরক্ষার জন্য সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। কুরআনের যে আয়াতে শুকরের মাংস খাওয়া হারাম বলা হয়েছে,ওই আয়াতে বাড়তি করে এটাও বলা আছে যে,যদি কাউকে অনিচ্ছাসত্ত্বে,জীবন বাঁচানোর তাগিদে একান্ত বাধ্য হয় শুকরের মাংস খেতে হয়, তাহলে সে ওই পরিমাণ খেতে পারে যে পরিমাণ একেবারে না খেলেই তার জীবনরক্ষা করা সম্ভব না।খেয়াল করুন, এগুলো সব কিন্তু জরুরি মুহূর্তের ব্যাপার। ৩।উম্মুল মু'মেনীন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে তিনি প্লেগ রোগ (এক প্রকারের মহামারী) সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি উত্তর দিলেন: "এটা আল্লাহ প্রদত্ত একপ্রকারের শাস্তি, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তার উপর প্রেরণ করেন। তবে মু'মিনদের জন্য এটা রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন"। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৬৬১৯) এইধরনের মহামারীর উদ্ভব হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্ভবকৃত এলাকার লোকজনকে অন্যত্র চলে যাওয়া ও অন্য এলাকার লোকজনকে উদ্ভবকৃত এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে ধৈর্য্য ধারণ করতে আদেশ দিয়েছেন। ৪।আবূ সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি আবূ হুরায়রা (রা.) কে বলতে শুনেছেন, নবী কারীম (দ.) বলেছেন: "কেউ যেন কখনো রোগাক্রান্ত উট সুস্থ উটের সাথে না রাখে" (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৫৭৭১, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭৪৩) এই হাদীসে অসুস্থ উটকে সুস্থ উটের সাথে না রাখার জন্য আল্লাহর হাবীব (দ.) নির্দেশ দিয়েছেন। তাহলে মানুষ হল সৃষ্টির সেরা জীব। অসুস্থ মানুষকে কিভাবে সুস্থ মানুষের সাথে রাখা যাবে? অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, ৫।আব্দুল্লাহ ইবনে হারেছ বলেন: "এক বর্ষনমুখর দিনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) মুয়াজ্জিনকে বললেন: যখন তুমি (আযানে)'আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলবে,তখন 'হাইয়া আলাস্ সালাহ্' বলবে না,বলবে "সাল্লু ফি বুয়ুতিকুম" (তোমরা নিজ নিজ ঘরে নামাজ আদায় কর)। তা লোকেরা অপছন্দ করল। তখন তিনি বললেন: আমার চাইতে উত্তম ব্যক্তি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)তা করেছেন।(সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৯০১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৬৯৯)। এই হাদীসে প্রচুর বৃষ্টিতে রাস্তায় কাদা হওয়ার কারণে মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হবে বিধায় ইবনে আব্বাস (রা) লোকজনকে ঘরে নামাজ আদায় করতে বলার জন্য মুয়াজ্জিনকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারী মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই সতর্কতাস্বরুপ সাময়িকভাবে জুম'আ বা জামায়াত নিষিদ্ধ করা জায়েয আছে। ৬।সম্মানিত শায়েখ Sayed Golam Kibrya Azhari থেকে জানতে পেরেছি যে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের থেকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার সংক্রান্ত যুক্তিসংগত ব্যাখ্য গ্রহণ করে হাজার বছরের ইসলামি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র বিশ্বখ্যাত মিসরস্থ আল্-আয্হারের সিনিয়র স্কলারদের ফতওয়া কমিটি এই ভাইরাস থেকে আত্মরক্ষার্থে সাময়িকভাবে জুম'আ ও জামায়াতে নামাজ আদায় না করাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন।
Total Reply(0)
Sujan Khan ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:২১ পিএম says : 0
ভাই আমরা কেন বুজতে চাচ্ছি না যে রোগটা যেন সমাজের সবার মাঝে না ছড়ায় তাই এই ব্যবস্হা গ্রহণ। খুব যদি কারো মনে হয় মসজিদে না গেলে পারবেনা, খুবই নামাজি তাইলে উনি মসজিদে ইত্তেকাফ এ বইসা গেলেই পারে। এতে উনার সওয়াব আরো বেশি হবে। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমিন।
Total Reply(0)
Rafik Islam ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১১:১১ পিএম says : 0
মসজিদ অবশ্যই লকডাউন করা উচিৎ, তবে তার আগে অন্য সবধরনের গনজমায়েত বন্ধ করতে হবে। মসজিদ বন্ধ করলেই ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে বা মসজিদে ভাইরাস ছড়াবে না এরকম ভাবার কোন কারণ নেই।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন