বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কৃষিতে গতিশীলতা

করোনা সঙ্কটে বহুমুখী কার্যক্রম

মিজানুর রহমান তোতা : | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভয়াবহ করোনাভাইরাস আতঙ্কের ভয়াল থাবার মধ্যেও উৎপাদনের ধারা সচল রাখতে বহুমুখি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। কৃষিপ্রধান দেশে মাঠে মাঠে চলছে কর্মবীর কৃষকের উৎপাদনের যুদ্ধ। সাবধানতা অবলম্বন করে কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, খাদ্যের যোগান অব্যাহত থাকে, কৃষক কোনরূপ সমস্যায় না পড়ে সেদিকে নজর দিতে কৃষি বিভাগ অতিমাত্রায় তৎপর। কৃষকও দিনরাত সমানতালে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। দৈনিক ইনকিলাবকে এসব কথা জানালেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. আবদুল মুঈদ। তিনি বললেন, জরুরি পণ্য হিসেবে কৃষি উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাশ্রয়ী ও ভর্তুকি মূল্যে ফসল রোপন ও কর্তনে খামারযন্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে শ্রমিক সঙ্কট মোকাবেলা সহজ হবে। আউশে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা। ইনশাআল্লাহ সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধান, গম ও ভুট্টাসহ মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে চাল উৎপাদনে অবস্থান রয়েছে ৪র্থ। দেশে প্রতিবছর খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় ৫ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ফিল্ড সার্ভিস উইংএর পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডিদাস কুন্ডু জানান, করোনা আতঙ্কের মধ্যেও সারাদেশে কৃষি কর্মকান্ডে এসেছে বিরাট গতিশীলতা। দেশের ৬৪ জেলা, ৪শ’৮৫ উপজেলা ও ১২ হাজার ৬শ’৪০টি ব্লক রয়েছে। সবখানে সমানতালে জোরদার হলে আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে কৃষি উৎপাদন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ‘কৃষি যন্ত্রপাতি উন্নয়ন সহায়তা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সেল’ এর মাধ্যমে চলতি বছরে রাজস্ব খাতে ১শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। দেশের বিভিন্ন উপজেলায় চাহিদা মোতাবেক ৫০-৭০% ভর্তুকি মূল্যে ধান গম লাগানো ও কাটার যন্ত্রপাতির (কম্বাইন হারভেস্টর, রিপার ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার) বরাদ্দ হয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যে এসব যন্ত্রপাতির সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর কৃষি মন্ত্রণালয়। একথা জানালেন, বিভাগের সমন্বয়ক কৃষি প্রকৌশলী শেখ নাজিম উদ্দিন। মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. আখতারুজ্জামান জানান, মাঠে মাঠে ধান, সবজি আবাদ, পাট বপন চলছে পুরোদমে। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সিভিল প্রশাসনের সহায়তায় সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচযন্ত্রের দোকাপাট খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৈশ্বিক দুর্যোগে যাতে কৃষকের কোনরকম সমস্যায় না পড়তে হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। তদারকিও চলছে সার্বক্ষণিক। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস প্রসঙ্গক্রমে বলেন, কৃষিই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, করোনার কোন প্রভাব এখনো কৃষিতে খুব একটা পড়েনি। মাঠে মাঠে কৃষকের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কৃষক আব্দুস সালাম, যশোরের শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের জসিম উদ্দীন ও মো. আলমসহ মাঠে কর্মরত বেশ কয়েকজন কৃষক জানালেন, আমরা দুর্দান্ত গতিতে উৎপাদনে কাজ করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন