মাদারীপুর ও শরিয়তপুরে করোনা রোগের বিস্তৃতির মুখে এ দুটি জেলার সাথে বরিশালের সীমান্তে কঠোর নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। ঢাকার পরে মাদারীপুর ও নারায়নগঞ্জেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশী বলে জানা গেছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত মাদারীপুরে ১১জন আক্রান্তের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যাদের প্রায় সকলেই বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তি কালকিনি উপজেলার। শরিয়তপুরের গোসাইরহাটেও ১জন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। এ উপজেলাটির সীমান্তে বরিশালের হিজলা উপজেলা।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান সোমবার জানান ‘ঐ দুটি জেলার সাথে আমাদের গৌরনদী ও হিজলা উপজেলার সব ধরনের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্থাণীয় পুলিশÑপ্রশাসন সার্বিক বিষয় কঠোর নজরদারীতে রেখেছেন’ বলেও জানান তিনি।
বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলায় এখনো কোন করেনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে এখনো প্রায় ৩ হাজার ১শ জনকে হোম কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে সোমবার দুপুরের পূর্ববর্ত ২৪ঘন্টায় নতুন যূক্ত হয়েছেন ৭জন। এছাড়া আরো ২ হাজার ৭৭৫ জন সুস্থবস্থায় কোয়ারিন্টিন শেষ করেছেন বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কেভিড-১৯’এর লক্ষন নিয়ে ১২জন রোগী বরিশাল ও ভোলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। যার মধ্যে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন ও ভোলা সদর হাসপাতারের আইসোলেন ওয়ার্ডে ৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার এ রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮জন। বরিশালের বাইরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে সামান্য সর্দি-জ¦র ও গলা ব্যথার রোগী আসলেই তাদের বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হেসেনও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন